কিছু (অ)মানুষরূপী জীবের হাতে মিরপুর-কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়া-তালতলা রুট এর মানুষ এখন জিম্মি। সকালে মানুষ যখন কর্মমুখী হয়, তখন এই রুটের লোকাল বাসগুলো সিটিং বাস হিসেবে যাত্রা শুরু করে। যাত্রীরা তখন নিরুপায় হয়ে বাসে ওঠার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। এতে করে প্রতিনিয়তই তাদেরকে বিভিন্ন দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। কখনো রিকশার সাথে ধাক্কা লেগে, কখনো বা হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে থাকা অবস্থায় ছিটকে গিয়ে আহত হচ্ছেন অনেকে। এগুলো নিয়ন্ত্রনের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যে সমস্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিগণ আছেন, যারা ট্রাফিক পুলিশ ও ট্রাফিক সার্জেন্ট নামে পরিচিত, তাদের নির্বিকার আচরণ দেখে হতবাক হতে হয়। কেননা, কর্মমুখী মানুষগুলোর এ ভোগান্তি যেন তাদের জন্য সার্কাসের খেলার মতো আনন্দদায়ক!!
এ বিষয়ে একটা ছোট্ট হিসেব দেয়া যাক- প্রতিদিন এ রুটে প্রায় ৫০টি সম্পূর্ণ লোকাল বাস চলাচল করে। প্রতিটি বাসে কমপক্ষে ৫০ এর অধিক যাত্রীবহন করা সম্ভব। কিন্তু অফিস যাত্রার সময়ে এ বাসগুলো যখন সিটিং বাসে রূপ নেয় তখন তাতে ৩২-৩৫ জন যাত্রী আরোহণ করতে পারে। অর্থ্যাৎ, এ সময় প্রতিটি বাসের কমপক্ষে ২০জন করে যাত্রী বাসে উঠতে সুযোগ পান না, যা হিসেব করলে দাঁড়ায় ৫০ী২০ = ১০০০ জন। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, এই বাসগুলোই আবার ঠিক ১১টা থেকে লোকাল হিসেবে যাত্রা শুরু করে!! অর্থ্যাৎ অফিসমুখী যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে রেখে তারা স্বেচ্ছাচারীর মতো আচরণ করে আর তাতে মদদ দেয় ট্রাফিক পুলিশ।
আমরা জানতে চাই এ অনিয়ম আর কতদিন চলবে। আমরা কি এভাবেই এহেন অন্যায়ের হাতে জিম্মি হয়ে থাকবো? এ বিষয়ে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং এসকল মানুষরূপী পশুদের যথাযথ শান্তি দাবী করছি।