somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

অধরা

০৮ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

('অল কোয়ায়েট ইন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট।')

একদিন বিকেলে হিমির মন খারাপ দেখে আমি হিমি কে একটা কৌতুক বলি।আমার কৌতুক শুনে হিমি রাগ করে একটা সিএনজি ডেকে চলে গেলো।কৌতুকটা ছিল এই রকম-
"নারী বিদ্বেষী এক যুবক ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করল—হে ঈশ্বর, তুমি নারীকে এত সুন্দরী বানিয়েছ কেন?
—যাতে তুমি তাকে ভালোবাস।
—তাহলে ঈশ্বর, তুমি নারীকে এত বোকা বানিয়েছ কেন?
—যাতে সে তোমাকে ভালোবাসে।"
এই কৌতুকে রাগ করার কি আছে আমি বুঝতে পারি না।ইদানিং হিমি আমার উপর খুব বেশী রাগ করছে।

মন থেকে কিছু চাইলে সেটা বিফল হয় না।হিমি একটু একটু করে আমার রক্তে মিশে গেছে।যত ক্ষন হিমির সাথে থাকি তত ক্ষন নিজেকে সম্রাট বলে মনে হয়।তখন কোনো চিন্তা মনে আসে না।কোনো সমস্যার কথা মনে পড়ে না।মনে হয় পৃথিবীটা খুব সুন্দর।হিমি পাশে থাকলে সব সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে পাবো।আত্নবিশ্বাস বেড়ে যায়।কিন্তু হিমি মুখটা গম্ভীর করলেই বুকের ভেতরে জ্বলে।মরে যেতে ইচ্ছা করে।
আবেগ ব্যাপারটা আমি ঠিক বুঝি না।আমার কৌতুহল ও খুব কম।আমি ভাবতাম হিমি আমাকে খুব বুঝে।হিমি আমাকে একটুও বুঝে না।সে সবাই কে বুঝে শুধু আমি ছাড়া।আমাকে শুধু বকতে পারে।আদর করতে পারে না।

হিমিকে আমি বুঝাতে পারি না-আমি একা।বড়ো একা।আমার জীবনের সব সুন্দর মুহূর্তে আমি একা ছিলাম।আমার আজও স্পষ্ট মনে আছে আমি যখন হিমিকে ভালোবাসি,তখনো আমি একা ছিলাম।যেই মুহুর্তে আমি হিমিকে মনে করি ঠিক সেই মুহুর্তেও আমি একা।আমার কপাল এমন খারাপ যখন প্রথম সমুদ্র দেখি,সেটাও আমি একা।
বোকা হিমিকে আমি বুঝাতে পারি না-অবিশ্বাস আর সন্দেহের কারনে ভালোবাসা হারিয়ে যায়।কিন্তু অবিশ্বাস আর সন্দেহ দিয়ে ভালোবাসা পাওয়া যায় না।একটু ভুলের জন্য পরে সারা জীবন কাঁদবে।হিমির মূল সমস্যাটা কোথায় বুঝতে পারছি না।ফলাফল আমার মাথায় যন্তনা হচ্ছে।

"যতই আমি দূরে যেতে চাই
ততই আসি কাছে
আমার গায়ে তাহার গায়ের
গন্ধ লেগে আছে।"

গভীর রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তখন হঠাৎ কেন জানি চোখ ভিজে উঠে।আকাশের সবচেয়ে জ্বল জ্বল করা তারাটির নাম হিমি।আকাশের দিকে তাকিয়ে বলি 'হে ইশ্বর ভালোবাসা কি আমাকে বুঝিয়ে দাও।এই ভালোবাসা কোথায় লুকিয়ে থাকে?কোন অচেনা ভুবনে?কি করে সে আসে?কেন সে আসে?কেন সে আমাদের অভিভূত করে?হাসায় কাদায়?
পাশের বাসায় ইংরেজী গান বাজছে।গানটি সুর সারা জগতময় যেন পরিচিত।গানের কথা গুলো এই রকম-

"f u missed the train l'am on/U will know that l am gone/U can hear the whistle blow a hundred miles/A 100 miles A 100 miles/Not a Penny to my name/And the land that l once loved is not my own/Lord l'm 1,Lord l'm 2,Lord l'm 3,Lord l'm 4/Lord l'm 500 miles Away from Home/Away from Home."

সেদিন আমার ভাবি আমাকে বলছেন,তোমার হিমিকা'র খবর কি?আমি ভাবি কে বললাম-ভাবি হিমিকা নয় 'হিমি'।
অনেক দিন থেকে কিছু কথা গুছিয়ে রেখেছি,হিমিকে বলার জন্য।আজ বলবো।হিমি পৃথিবীর যেখানেই তুমি থাকো-তুমি আমার'ই।চিরটা কাল তুমি আমার'ই থাকবে।মনে রেখ আদিম মানুষেরাই ঠিকভাবে বাঁচতে জানত।কারন তারা ছিল জ্ঞানী এবং স্বপ্নবাজ।তারা অনুভব করতো বেঁচে থাকার গভীর আনন্দ।জ্ঞানী এবং সৎ স্বপ্নবাজ মানুষদের সভ্যতার কৃএিমতা থেকে দূরে থাকাই ভালো।আমাদের বাঁচতে হবে মুক্ত আকাশের মতো।চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে আনন্দের বীজ।

গতকাল রাতে স্বপ্নে দেখি হিমির সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেছে!বিয়ের তিন দিন পর্যন্ত ভালো ছিলাম।তারপর শুরু হয়েছে অত্যাচার।হিমি কঠিন গলায় আমাকে বললো-প্রতি মাসে তাকে সংসার চালানোর জন্য ৬০,০০০ হাজার টাকা দিতে হবে।আরো অনেক কথা।
তারপর ৩ বছর চলে যায়।আমাদের দু'টা বাচ্চা হয়।মেয়েটার নাম নীলাঞ্জনা আর ছেলেটার নাম মেঘ।বাচ্চাদের নাম হিমি'ই রাখে।সারাদিন কর্মব্যস্ততার পরে যখন বাসায় ফিরি নীল শাড়ি পড়া হিমি কে দেখলে আমার সব ক্লান্তি ভুলে যাই।হিমি হাসে।বড়ো ভালো লাগে এই বোকা মেয়েটার হাসি।এই হাসির জন্য আমি অনেক কিছুই করতে পারি।হিমির হাসি অনেক সুন্দর।মনে হয়,একসঙ্গে অনেকগুলি কাচের চুড়ি বেজে উঠলো।হিমির হাসি জলতরঙ্গের মতো।শুনলেই মনে হয়-এটা শুধু হাসি নয়।হাসি দিয়ে দু'হাত বাড়িয়ে দেয়া।হাসির মাধ্যমে কাছে ডাকা।(সত্যি সত্যি কি কেউ বাস্তবে এমন করে হাস্তে পারে?আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে?)

তোমার একটু স্পর্শ।অদ্ভুত এক ভালো লাগা।হিমি তুমি কেন এতো রহস্যময়?কী অদ্ভুত আকর্ষন শক্তি তোমার ভেতর।মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে তুচ্ছ এই জীবন থেকে পালিয়ে যাই।এটা কি মোহ?আবেগ?নাকি নিছক পাগলামি,না ভালোবাসা?জানি না আমি জানি না।এই অনুভূতির শেষ নেই?জানি ভুল,তবু মায়াময়।
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×