নাহ্, জাপানে যাইনি কখনও। একবার শুধু টোকিওর নারিতা বিমানবন্দরে নামার সুযোগ হয়েছিল।
২০০৫ সালের কথা - ঢাকা থেকে আমেরিকা যাচ্ছি একটা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে। টোকিও হয়ে স্যান ফ্র্যান্সিস্কো যাব। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে জাপানী কেবিন ক্রু ছিল বেশ ক'জন। প্লেনের ভেতর যে এত প্রচণ্ড ঠান্ডা হতে পারে ধারণা ছিল না। হাত পায়ের চামড়া শুষ্ক হয়ে বিচ্ছিরি অবস্থা। জানতাম না যে লম্বা বিমানপথে ছোট এক বোতল ক্রিম বা লোশন সাথে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।
উপায়ন্তর না দেখে জাপানী এক মহিলা কেবিন ক্রুকে বলেছিলাম আমাকে একটু ক্রিম/লোশন কোনভাবে দেয়া যাবে কিনা। মহিলা নিজের হাতব্যাগ থেকে এক বোতল লোশন এনে দিলেন। কতটুকু নিয়ে তাকে বোতল ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তিনি নেননি, বলেছিলেন, তোমাকে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে, তখন প্রয়োজনে আসবে লোশনটি।
তার কথা সত্যি ছিল। শুধু আমি না, আমার গ্রুপের বাকি মেয়েরাও লোশনটি ব্যবহার করেছিল লম্বা সেই যাত্রাপথে।
আজ কেন যেন সেই জাপানী মহিলার কথা মনে পড়ল। মনে এতটুকু নেই সেই মহিলার চেহারা অথবা কন্ঠস্বর। কিন্তু আমাদের এই ছোট্ট জীবনে এমন অনেক মানুষের সংস্পর্শে আমরা আসি যাদের চেহারা, কন্ঠ ভুলে গেলেও কখনও ভুলি না তাদের উপকারের কথা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৩৪