এই মাত্র প্রগিতির লেখাটা পড়ে মনে পড়ে গেল। ব্যাংকটা একই। ডাচ-বাংলা ব্যাংক। প্রগিতি বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন টাকা জমা দিতে গিয়ে। আর আমি এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি টাকা তুলতে গিয়ে। তাও ব্যাংক কাউন্টার থেকে নয়, এটিএম বুথ থেকে। যেটা কিনা গ্রাহকদের চব্বিশ ঘন্টা সেবা দানের উদ্দেশ্যে তৈরী করা। গতকালকের ঘটনা। সকালে আদমজী কোর্টের সামনে বাস থেকে নেমে অফিসে ঢুকার আগে ডাচ বাংলা ব্যাংকের দিলকুশা বুথের সামনে গেলাম টাকা উঠানোর জন্য। কিন্তু লম্বা লাইন দেখে টাকা না উঠিয়ে চলে গেলাম। কারণ, এই লাইনে দাঁড়ালে আমার অফিসে পৌঁছুতে দেরী হয়ে যাবে। ভাবলাম অফিস থেকে বের হয়ে বাসে উঠার আগে টাকা উঠিয়ে নিয়ে যাব। সন্ধ্যায় বুথে গিয়ে দেখি ফাঁকা। ভাবলাম যাক বাঁচা গেল। মেশিনে কার্ড ঢুকালাম। কিন্ত্র টাকা বের হলোনা। স্লিপ এলো একটা Unable to pay লেখা। দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করতেই জানালো মেশিনে টাকা নেই। কিন্তু আমার টাকা দরকার। ভাবলাম বাস থেকে নেমে ফার্মগেটের বুথ থেকে উঠিয়ে নিব। সেখানে বুথে ঢুকার আগেই দারোয়ার জানালো মেশিনে টাকা নেই। তারপর ভাবলাম বাসার কাছে তেজতুরী বাজার বুথ থেকে উঠিয়ে নিয়ে বাসায় ঢুকব। কিন্তু সেখানেও একই অবস্থা। এবার একটু বিরক্ত হলাম এবং অন্যায়ভাবে সেটা দারোয়ানের উপর প্রয়োগ করলাম। দারোয়ান জানালো রাতের মধ্যে টাকা চলে আসবে, ভোরে পেয়ে যাবেন। আজকে সব টাকা শেয়ারে চলে গেছে তো তাই মেশিনে টাকা নেই। আমি বাসায় ফিরে গেলাম। যথারীতি সকালে অফিসের জন্য বের হয়ে আগে ঢুকলাম বুথে। কিন্তু সেই একই অবস্থা। টাকা এলোনা, এলো স্লিপ। আমি এবার যারপর নাই বিরক্ত হলাম। গ্রাহক সেবার নামে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এ ধরনের তামাশার মানে কি? অবশেষে আজ সকালে দিলকুশার বুথে এসে অফিসে ঢুকার আগে টাকা উঠাতে পেরেছি লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর পর। এখানে পাশাপাশি দুটো বুথ থাকলেও একটা প্রায় সময়ই অকেজো থাকে। আজও সেই অবস্থা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৫২