আবাসন খাতের জন্য আবারো পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব করেছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
Published : 20 May 2013, 03:01 PM
একই সঙ্গে তহবিলের আকার বাড়িয়ে ১৫০০ কোটি টাকা করারও অনুরোধ করেন তারা।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ প্রস্তাব জানায় রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক আবাসন খাতের জন্যে একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করে। ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে এই তহবিল চালু হলেও পরে তা বাড়িয়ে ৭০০ কোটি টাকা করা হয়। ২০১১ সালে মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বগতি বিবেচনায় তহবিলটি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
মন্দার কারণে আবাসন খাতের অনেক ব্যবসায়ী ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, এদের মধ্যে যারা প্রকৃত ব্যবসায়ী, তাদেরকে এক বছররের গ্রেস পিরিয়ড দিয়ে ঋণগুলো পুনঃতফসিল করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই তহবিল থেকে ক্রেতা সাধারনের চাহিদা মতো ঢাকা শহরের আশেপাশে বা পৌর এলাকার পাশে ১৫০০ বর্গফুট বা তার চেয়ে ছোট ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৮ থেকে ৯ শতাংশ হার সুদে ঋণ দেওয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পরবর্তী মুদ্রানীতি প্রণয়নের সময় রিহ্যাবের এ প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “রিহ্যাবের এই প্রস্তাব এখনই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কেননা এর সঙ্গে মূল্যস্ফীতি জড়িত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন খাতে যে অর্থ যোগ করবে তা বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বাড়াবে। এর ফলে বাজারে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটতে পারে।”
তবে এখন পর্যন্ত পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে বিতরণ করা অর্থের মধ্য থেকে মাত্র ১০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে বলে জানান ডেপুটি গভর্নর।
তাই ‘এই তহবিলের ১০০ কোটি টাকা আদায়ের পর সে অর্থ পুনঃঅর্থায়ন করা যেতে পারে’ বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে গভর্নর আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে রিহ্যাবের ৬ সদস্যের একটি দল অংশ নেয়। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।