somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

:P :P বিশ্বকাপের মাসকট গুলা দেখেন ... মজাক পাইবেন ;) B-) B-) B-)

০৫ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাসকট হলো ফুটবল বিশ্বকাপের আসর জমবে যে দেশে, ঐ দেশটির গাছ-পালা, পশু-পাখি, পোশাক-পরিচ্ছদ বা এককথায় ঐ দেশটির সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী বৈশিষ্ট্য। B:-) B:-)

কিন্তু মাসকট কিন্তু মোটেই জটিল কিছু না। কারণ, মাসকট সবসময় হয় কার্টুনের মতোন। ১৯৩০ এ বিশ্বকাপ শুরু হলেও মাসকটের প্রচলন প্রথম শুরু হয় ১৯৬৬ তে ইংল্যাণ্ড বিশ্বকাপ থেকে। B:-) B:-)

আসুন এবার এক এক করে পরিচিত হই মাসকটগুলোর সঙ্গে। মুড়ি-চানাচুর মাখায়া নিয়া বসেন। চিবান আর দেখতে থাকেন।

১. উইলি - ইংল্যাণ্ড,১৯৬৬ : উইলি হলো একটি সিংহ, যে ইংল্যাল্ড এর জাতীয় পতাকা পরিহিত। এ সিংহ যুক্তরাজ্যের প্রতীক । আর ইংল্যাণ্ড দলের নিক নেম জানেন তো !!!! দি থ্রি লায়নস



২. জুয়ানিতো - মেক্সিকো, ১৯৭০: এই পিচ্চি হচ্ছে এক মেক্সিকান বালক। সে সমব্রিরো (মেয়েদের পড়ার জন্য এক ধরনের মেক্সিকান হ্যাট) পড়ে আছে যেখানে লেখা - মেক্সিকো ৭০। স্প্যানিশ ভাষায় হুয়ান বা জুয়ান নামটি মোটামুটি কমন একটি নাম।



৩. টিপ এণ্ড ট্যাপ - পশ্চিম জার্মানী, ১৯৭৪: টিপ এণ্ড ট্যাপ নামের দুটি শিশু জার্মানির পতাকা গায়ে। একজনের জার্সিতে লেখা wm যা জার্মান (Weltmeisterschaft, World Cup) ভাষায় বিশ্বকাপ বোঝায়। অন্যজনের জার্সিতে লেখা ৭৪ ।



৪. গাউচিতো - আর্জেন্টিনা, ১৯৭৮: গাউচিতো হল আর্জেন্টিার পতাকা পড়া এক সাহসী কিশোর, যার ডান হাতে একটি চাবুক। তার পায়ে বল আর মাথার টুপিতে লেখা ছিল আর্জেন্টিনা ৭৮। কি মনে হয়, লিওনেল মেসি মনে হয় পিচ্চিকালে এমন ই ছিলো তাই না B-) B-)



৫. নারানযিতো - স্পেন, ১৯৮২: এই মাসকাটটি কোনো প্রানীকে নিয়ে না। কমলাকে নিয়ে । :P :P স্পেনের ভাষায় কমলাকে বলা হয় নারানযা। স্পেনের পতাকাবাহী কমলার হাতে ছিল একটি ফুটবল। ইমো মার্কা একটা হাসি ও ছিল তার মুখে ;) । ভাই মুড়ি কি ফুরাইয়া গেছে। এইবার ফ্রিজ থেকে একটা কমলা খেয়ে দেখতে পারেন।



মুড়ি চানাচুর কমলা যদি শেষ হয়, এইবার গরম গরম একমগ কফি নিয়া বসেন।
৬. পিকু - মেক্সিকো, ১৯৮৬: মেক্সিকো এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজকের গৌরব অর্জন করে। মেক্সিকান খাবারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল প্রচণ্ড ঝাল। স্প্যানিশে ঝাল মসলাদার সসকে বলে পিকান্তে। এখান থেকেই পিকু এসেছে। পিকু নামের মরিচ টি ডান বগলে একটি আস্ত ফুটবল বগলদাবা করে আছে "মুই কি হনুরে -ভঙ্গিতে"।



৭. চ্যা্ও - ইটালি, ১৯৯০: ইতালির পতাকার রঙের তালপাতার সেপাই মার্কা শরীর আর মাথার স্থানে বল, এটাই হল চ্যা্ও(Ciao)।



৮. স্ট্রাইকার - যুক্তরাস্ট্র, ১৯৯৪: কুকুর আমেরিকানদের খুব ই প্রিয়। আমেরিকার জাতীয় দলের পোশাক পড়া এই কুকুরটির নাম স্ট্রাইকার। অবশ্য নিন্দুকেরা বলে সকার হল তার পঞ্চম পছন্দের খেলা। বাকি চারটি হল বেসবল, বাস্কেটবল, ফুটবল আর হকি। বুঝলাম না। ব্রিটিশরা যেটাকে ফুটবল বলে, আমেরিকানরা তো তাকেই সকার বলে । এটা কেমন কৌতুক হল। :-*:-*



৯. ফুটিক্স - ফ্রান্স, ১৯৯৮: ফুটিক্স শব্দটি এসেছে ফুটবলের ফু আর জনপ্রিয় কমিকস্ সিরিজ অ্যাস্টেরিক্সের ইক্স থেকে। ফ্রান্স দলের জার্সির সাথে মিল রেখে এর রঙ ও নীল। এর বুকে লেখা ফ্রান্স ৯৮।



১০. এটো, ক্যাজ, নিক - কোরিয়া-জাপান, ২০০২: কমলা, লাল আর নীল রঙের তিনটি মাসকটের একটি ফুটবল দল। যেখানে, এটো হল কোচ, ক্যাজ ও নিক হল খেলোয়াড়। আর দলটার নাম অ্যাটমোবল।



১১. গোলিও এবং পিল্লে - জার্মানী,২০০৬: গোলিও হচ্ছে এমন একটা সিংহ যে ডিজনির দি লায়ন কিং এর মুফাসা নামক সিংহের চরিত্রে অংশ নিতে চায়। কিন্তু অডিশন রাউণ্ডে ব্যথ্য হ্ওয়ায়, সে পিল্লে নামের একটি কথা বলা বলের প্রেমে পড়ে। গোলিও শব্দটি গোল এবং লিও(সিংহ) থেকে এসেছে। এর মানে হল গোলদাতা সিংহ।



১২. জাকুমি - সাউথ আফ্রিকা, ২০১০: জাকুমির জা হল দক্ষিণ আফ্রিকার কোড। আর আফ্রিকার বিভিন্ন ভাষায় কুমি মানে হল দশ । জাকুমি-র সবুজ এবং হলুদ বা সোনালী রঙ টি দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের জার্সির এবং জাতীয় পতাকার রঙ নির্দেশ করে । জাকুমি হল একটি লিওপার্ড বা চিতা। জাকুমি তার চুল আচড়াতে খুব পছন্দ করে এবং আইলাইনার দেয় চোখে।




ভাই কফি কি ফুরাইয়া গেছে???? :D :D আমার পোস্টাটা্ও ফুরাইয়া গেছে। ভালো থাকবেন সবাই।







১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×