নারীর দিনরাত্রি
অফিস থেকে বাসে চেপে ফিরে এসে বাড়ি
তড়িঘড়ি পালটে শাড়ি, চুলায় বসাই হাড়ি
কর্তা বসেন পেপার নিয়ে, চায়ের কাপটি হাতে
হেঁকে বলেন, “শুনছ, আজ মাংস খাব রাতে।“
কুটনা কুটে ফ্রিজে দেখি মাংসতো নেই আর
মাথায় বাড়ি, পালটে শাড়ী চল্লাম বাজার
ফিরে এসে রান্না চড়াই, খোকা পড়াই, সময় বয়ে যায়
মাঝে মাঝে উদাসী মন অতীত পানে ধায়।
রাত দশটায় খাবার বেড়ে কর্তাকে দেই ডাক
প্রথম গ্রাসটি মুখে তুলে কুচকে তিনি নাক
বলেন, “কিযে রাঁধ অখাদ্য সব, খাবই না আজ রাতে--
আহা, মায়ের রান্না অমৃত সে জুটবে কি আর পাতে!”
সাধি তারে হাতটি ধরে, “একটুতো খাও, ডিম ভেজে আনি”
বেড়ে খাওয়াই, খোকা সামলাই, মুছে চোখের পানি
গভীর রাতে নির্ঘুম চোখ, কর্তা ঘুমান পাশে
ভাবি, এই কয়েদে কয়েদ আমি কোন সে সুখের আশে?
ভেবে ভেবে প্রহর ফুরায়, না পাই কোন তল
নেই যে আমার দিনবদলের সাহস কিম্বা বল
আমার মায়ের জীবনখানিও এমনি তো ছিল
লিখে পড়ে চাকরি করে এমন কি বদলালো?