-তোমার আজকের শিডিউল কী?
-ভাইয়া নয়টা থেকে দুটো ইন্টারভিউ পরপর, তারপর একটু বাইরে লাঞ্চে যাবো। ফিরে এসে আপনার মীটিং টা শেষ করে আবার চারটা থেকে এসসিএমের দুজনের আপগ্রেডেশেন।
-আপগ্রেডেশেনের বেলায় কিন্তু ইউ হ্যাভ টু বি ভেরী কেয়ারফুল। এস্পেশিয়ালি দিস পার্টিকুলার কেইসেস, ইউ নো ওয়াট আই মিন?
-জ্বি ভাইয়া।
-অফিস লীভ করার আগে আমাকে ওভারঅল একটা স্ট্যাটাস দিয়ে যেও তো, আপগ্রেডেশন নিয়ে আসলে আমরা কতখানি সাক্সেস্ফুল সেটা এমটি কে প্রেজেন্ট করতে হবে।
-ওকে ভাইয়া।
-আর গ্রুপ থেকে যে রিপোর্ট এসেছে সেটা সবার সাথে শেয়ার করতে হবে। সবাইকে একটা মীটিং এ ডেকে দাও।
-আজকেই?
-হুম্ম ফার্স্ট হাফ-এ।
-উম্ম, দেখি।
-নোপ, দেখি না, এটা নিয়েই বসতে হবে।
-অলরাইট ভাইয়া।
-নতুন যে ছেলেটা জয়েন করেছে তাকে একটু গাইড কৈরো।
-থ্রী ব্যাগস্ ফুল, ভাইয়া।
-হুম্ম?
-না ভাইয়া, কিছু না।
-কী যেন বললে?
- থ্রী ব্যাগস্ ফুল ।
- থ্রী ব্যাগস্ ... ওয়াট???
-না ভাইয়া কিছু না।
(কড়া চোখে তাকিয়ে) –ইস ইট সাম কাইন্ড অফ জোক?
-না ভাইয়া, ছোট বেলায় একটা রাইমস্ পড়েছিলাম। বা-বা ব্ল্যাকশিপ হ্যাভ ইউ এনি ওয়ুল, ইয়েস স্যার ইয়েস স্যার থ্রী ব্যাগস্ ফুল!
(বিরতি, খানিকটা হতাশ চোখে তাকিয়ে)-তোমার ক্যারিয়ার কতদিনের?
-তিন বছর ভাইয়া।
-এন্ড ইউ উইল নেভার চেঞ্জ, দ্যাটস্ ওয়াট ইউ হ্যাভ ডিসাইডেড?
-গেস সো ভাইয়া।
(হাত নাড়িয়ে ইশারা করে)-ওকে ওকে তুমি ডেস্কে যাও।
-ওকে ভাইয়া।
উপরের এই ঘটনাটা মনে হয় ২০০৫ সালের মাঝামাঝি সময়কার। তারপর থেকেই “থ্রী ব্যাগস্ ফুল” কথাটা আমার পুরোনো চাকরিতে একটা চালু ডায়লগ হয়ে যায়। দু-তিন বার ইয়েস স্যার বলা হয়ে গেলেই চারবারের বেলায় মুখে অটোমেটিক্যালি চলে আসতো “থ্রি ব্যাগস্ ফুল!”।
গতকাল নতুন অফিসে মুখ ফস্কে (আসলে হাত ফস্কে, টাইপ করে কথা বলার সময়) বলে ফেললাম “থ্রী ব্যাগস্ ফুল, ভাইয়া।”
সাথে সাথে রিপ্লাই আসলো – “থ্রী ব্যাগস্----ওয়াট????”
নিজেকে নিজে এবার জিজ্ঞেস করলাম "উইল ইউ এভার চেঞ্জ??"