রাজনীতি আমি ভালো বুঝি না। যতদূর জানি মাহমুদুর সাহেব একটি রাজনৈতিক দলের কট্ট্রর সমর্থক। তিনি সে সরকারের আমলে জ্বালানী উপদেষ্টা ছিলেন। ক্ষমতার পালা বদলে সে দলের মুখপাত্র হয়েছেন এবং আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও।
মিডিয়া সরকারের খারাপ কাজের সমালোচনা করবে সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে কাজটি করা কতটা যৌক্তক সেটাই আমার প্রশ্ন? সরকারের বেশ কিছু খারাপ কাজের সমালোচনা করে পত্রিকাটি সচেতন মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। কিন্তু সে প্রশংসাকে পুজি করে আমার দেশ নিজেদের দলের পজেটিভ ইমেজ সৃষ্টি করার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে।
যার প্রমান গত ২৭ এবং ২৮ মে তারিখে আমার দেশ এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ তার পরিবারকে রাজাকার পরিবার আখ্যায়িত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে কামরুল ১৯৭১ সালে ভারতের দেরাদুন মিলিটারি একাডেমিতে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের প্রথম ব্যাচে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন বলে জানা গেছে। আমি যতদূর জানি সংবাদপত্রের বিধি মোতাবেক কোন ভূল সংবাদ প্রকাশ করার জন্য ক্ষমা চাওয়ার বিধান রয়েছে যা আমার দেশ কর্তৃপক্ষ পালন করেন নি। মিডিয়ার স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে কোন ভূল তথ্য প্রকাশ কখনোই কারও কাম্য হতে পারে না। এজন্য আমরা আম জনতা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা কামনা করছি।