জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোনে সাড়া দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি খেদ প্রকাশ করেছেন সাবেক রাস্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
Published : 24 Aug 2013, 10:24 PM
শনিবার রাজধানীতে দলের ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের এক অনুষ্ঠানে দুই নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের চিঠি দিয়েছিলাম, বলেছিলাম আলোচনায় বসুন। আপনারা আমার কথা শোনেননি।
“এখন জাতিসংঘের মহাসচিবও আপনাদের ফোন করে একই কথা বলেছেন। সুতরাং কথা বলতেই হবে।”
চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে গত ১০ এপ্রিল শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে পৃথক চিঠি দিয়েছিলেন এরশাদ।
শেখ হাসিনাকে প্রেরিত চিঠিটিতে এরশাদ লিখেছিলেন, “আপনার অবস্থান থেকে এই মুহুর্তে আপনি শান্তির উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন।
“আপনি বিরোধী দলীয় নেতাকে ডাকুন, আমাকে ডাকুন দেশের বরেণ্য ও নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিদেরও ডাকুন। আলোচনায় বসুন।”
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে এরশাদ লিখেছিলেন, “দিশেহারা জাতি একান্তভাবে কামনা করছে, আপনারা দুটি দলের দুই সম্মানিত নেত্রী একত্রে বসুন। আমি আপনাদের পাশে থাকব।
“যে কারণেই হোক দেশে বিপর্যয় নেমে এসেছে। তাই ত্রুটি বিচ্যুতির কথা না হয় এই মুহুর্তে ভুলে গেলাম।”
এরশাদের উদ্যোগে সাড়া দেননি দুই নেত্রীর কেউই।
শুক্রবার সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। আট ঘন্টা পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেও ফোন করেন তিনি।
ফোন আলোচনার বিষয় ছিল আগামী নির্বাচন, দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। সরকার ও বিরোধী দলীয় প্রধান উভয়ই মহাসচিবের ফোনকে স্বাগত জানিয়েছেন।