somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্রেনে কেন লোকসান হয়?

৩১ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছাত্র জীবনে আমি প্রচুর ট্রেন ভ্রমণ করতাম। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতাম । আবার ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা আসতাম। বলতে গেলে ১৯৯৪-২০০১ সাল পর্যন্ত ছিল আমার নিয়মিত ট্রেন ভ্রমণ। আমি ট্রেন ভ্রমন পছন্দ করতাম কারণ ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে বাস ভাড়া ছিল অনেক বেশী আর তা প্রায়ই অ্যাক্সিডেন্ট করত । ফলে আমি ঝুঁকি এড়ানোর জন্য ট্রেনকেই বেছে নিতাম। আর ট্রেনে চড়ার মজাই অন্যরকম। । কারণ এতে হাঁটাহাটি, ঘুরাঘুরি করতে করতে যাওয়া যায়। যেটা আর কোন স্থল পরিবহনে সম্ভব হয় না। নিরাপদ ভ্রমনের জন্য ট্রেনের কান বিকল্প নেই।

এখন আর ট্রেন ভ্রমন করি না। কারণ দরকার পড়ে না। তবে আজ প্রথম আলোর একটি খবর পড়ে আমার কাছে কেম যেন অবিশ্বাস হতে লাগল। ট্রেনে কেন লোকসান হবে? ট্রেনের ব্যবস্থাপনা ভাল হলে তো লোকসান হবার কথা নয়।

৩১ মে ২০১০ তারিখের প্রথম আলোর খবরে প্রকাশ, “৪০ বছরে জনসংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হলেও রেলওয়ের যাত্রী ও মালামাল পরিবহন কমেছে। এর ফলে রেলওয়ে একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে রেলওয়ে বছরে লোকসান গোনে গড়ে ৫০০ কোটি টাকা। গত নয় বছরে রেলওয়ে লোকসান দিয়েছে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি।

রেলওয়ের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৬৯-৭০ অর্থবছরে রেলওয়েতে যাত্রী পরিবহন হয়েছিল সাত কোটি ২৮ লাখ জন এবং মালামাল পরিবহন হয়েছিল প্রায় ৪৯ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু জনসংখ্যা দ্বিগুণ হলেও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে রেলওয়ে যাত্রী পরিবহন করে সাড়ে ছয় কোটি জন এবং মালামাল পরিবহন করে ৩০ লাখ টন।
১৯৭৪ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি ৬৪ লাখ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী ২০০৮ সালে দেশের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৬০ লাখে।”

আমি যখন ট্রেনে ভ্রমণ করতাম তখন সিট একটাও ফাঁকা থাকত না। তারপরও “স্ট্যান্ডিং সিট” নামে এক ধরনের সিট পাওয়া যেত যার দাম ছিল সমানই। এই সিটের অসুবিধা ছিল একটাই তা হল বসার কোন ব্যবস্থা ছিল না। দাঁড়িযে দাঁড়িয়ে যেতে হত। অনেক মানুষ আমার মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যেত। স্বাভাবিক সিটের চেয়ে বেশী সিটে মানুষ যেত। তাও ফাঁও না। দাম ছিল বসে যাবার সিটের দামের সমানই। এখনও নিশ্চয়ই এররকম হয়। মানুষ এখনো ট্রেন পছন্দ করে।

আমার প্রশ্ন হল: টাকা যায় কোথায়? আন্ত:নগর ট্রেনগুলোতে কোন যাত্রীই ফাও যাতায়াত করে না। তাহলে টাকা কোথায় যায়? আর লোকসানই বা হয় কেন?

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×