মূল ও সম্পূর্ণ লেখাঃ Is banning Facebook the right decision?
প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর ব্যাঙ্গাত্মক ছবি প্রকাশের দায়ে এক ব্যক্তি গ্রেফতার এবং সেইদিনই সন্ধ্যায় ফেসবুক ব্লক করা। এই দু'টো ঘটনাকে পাশাপাশি দাঁড় করালে স্পষ্ট বোঝা যায় ঐ ছবিগুলোই ফেসবুক ব্লক করার একমাত্র কারণ।
অথচ বিটিআরসি বলছে, অ্যান্টি-রিলিজিয়াস এবং পর্নোগ্রাফিক সামগ্রী থাকার কারণেই ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হলো, অ্যান্টি-রিলিজিয়াস বা পর্নোগ্রাফিক সামগ্রী যদি থাকেই, তাহলে আগেই কেন ফেসবুক ব্লক করা হলো না? দুই নেত্রীর ব্যাঙ্গাত্মক ছবি প্রকাশের দায়ে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার পরপরই কেন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো?
সরকারের পদক্ষেপ দেখে মনে হয় এই দেশের সব মানুষকে গাধা/গরু/ছাগল ইত্যাদি ভাবে তারা। যেন আমরা কিছুই বুঝি না। একটা কিছু দিয়ে বুঝ দিয়ে দিলো আর আমরা খুশি হয়ে গেলাম। বাংলাদেশের মানুষ যে কত এগিয়ে গেছে সে ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ধারণাও নেই বাংলাদেশ সরকার বা রাজনৈতিক নেতাবৃন্দের, তাদের কথাবার্তা শুনলে এমনটাই মনে হয়।
এবারে আসি ফেসবুক ব্লক করার উপকারিতা প্রসঙ্গে। আসলে ফেসবুক ব্লক করে লাভটা কোথায়? মানুষ কিন্তু ঠিকই প্রক্সি দিয়ে ফেসবুকে ঢুকছে। তারচেয়েও বড় কথা, যদি ইসলামের বিরুদ্ধে ঘৃণিত বক্তব্য বা ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করাই হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় হচ্ছে ফেসবুকে ছবিগুলো রিপোর্ট করা। এতে করে ছবি বা পেজগুলো মুছে দেয়া সম্ভব হবে, কেননা ফেসবুকের শর্তসমূহের বিরুদ্ধে যায় সেসব কার্যকলাপ।
তা না করে দেশের কিছু কিছু দল মুক্তাঙ্গনে ফেসবুক বন্ধের দাবি জানান আর সরকারও ঠিক সেই কাজই করে, যদিও তা সেসব দলের দাবি মেনে নিয়ে নয়, বরং নিজেদের স্বার্থে।
অর্থাৎ, সরকারও নিজের স্বার্থ বুঝে।
আরেকটি প্রশ্ন হলো, এভাবে ফেসবুক ব্লক করে কি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে? এই উদ্দেশ্যেই কি ফেসবুক ব্লক করেছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ? আমার তো মনে হয় না এটা কোনো শক্ত যুক্তি। বরং টিকে থাকার মতো নয় এমন একটি যুক্তি এটি।
অতএব, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ফেসবুক ব্লক করার সিদ্ধান্তটি হাস্যকর ও থটলেস। এ ব্যাপারে আপনাদের মন্তব্য জানতে আগ্রহ বোধ করছি।
আর হ্যাঁ, অনুগ্রহ করে এই বিষয়ে লেখা বিস্তারিত পোস্টটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।