somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা

২৬ শে মে, ২০১০ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গণতান্ত্রিক সরকারের সংঙ্গা যদি হয় Govt of the people, by the people and for the people; তা হলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সঙ্গায় রাষ্ট্রের ৪টা (৩টা নয়) স্তম্ভের প্রত্যেকটা - of the people,by the people and for the people হওয়া উচিৎ। অর্থাৎ রাষ্ট্র আমলাতান্ত্রিক না হয়ে গণতান্ত্রিক হতে হলে ----- Legislature of the people, by the people and for the people; Executive of the people, by the people and for the people; Judiciary of the people, by the people and for the people; Logistic Support of the people, by the people and for the people.- হিসেবে সংগঠিত হওয়া আবশ্যক এবং এটাই হওয়া উচিৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোগত সঙ্গা।

এক সময় রাষ্ট্র ছিল প্রভু, রাজা বাদশাহ, পুরোহিত, সামন্ত প্রভৃতিদের সম্পত্তি। প্রজা শাসন ও কর আদায় করে রাজ ভান্ডারের সম্পদ বৃদ্ধি ছিল তাদের লক্ষ্য। কিন্তু আধুনিক ধারণায় রাষ্ট্রকে জনগণের সেবাদান মূলক সামাজিক প্রতিষ্ঠান গণ্য করা হয়। যদিও ক্ষমতাবান প্রভাবশালীদের শাসন শোষণ রাষ্ট্রে এখন বিদ্যমান; তথাপি রাষ্ট্র ও সরকার জনগণের সেবক একথা আজ সভ্যজন স্বীকৃত। মানুষের চাহিদা পুরণের সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্তমানে রাষ্ট্রের কাছে তিন প্রকারের চাহিদা পুরণের দায়িত্ব দেয়া হয়----
১। প্রাকৃতিক চাহিদা---মাটি,পানি,বায়ু,বন,পরিবেশ ও আবাসন বা হ্যাবিটাট রক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখা:

২। মৌলিক চাহিদা---(ক) খাদ্য, যৌন,পরিধেয়,গৃহ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি ইত্যাদি (খ) শিক্ষা, বিনোদন,জ্ঞান ইত্যাদির প্রাপ‌্যতা নিশ্চিতকরা; এবং

৩। সামাজিক চাহিদা--- প্রতিরক্ষা, আইন ও বিচার, কর্ম সংস্থান ও শ্রম উন্নয়ন,পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা, যোগাযোগ ও পরিবহন, সরবরাহ ও বাণিজ্য, সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি, বৈদেশিক নীতি ইত্যাদির ব্যবস্থা করা।

অতএব বুঝাই যায় উপরোক্ত চাহিদা সমূহ জনগণের সার্বিক অংশগ্রহন ব্যতীত শুধু সরকার ও আমলাতন্ত্র দিয়ে পূরণ করা সম্ভব না। আর রাষ্ট্রকে জনগণের অংশগ্রহন মূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হলে রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতন্ত্রায়ন তথা Socio-Political এবং Socio-Economic ক্ষমতার বন্টন করে জনগণের ক্ষমতায়ন করা আবশ্যক এবং জনগণের কতৃত্বে রাষ্ট্রের বিভাগ সমূহ পরিচালনা করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা আমলাতান্ত্রিকভাবে সংগঠিত। আর সেই আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে পরিচালনা করার চেষ্টা করা হয় গণতান্ত্রিক সরকার ( শুধুমাত্র নির্বাচিত জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রী পরিষদ) দ্বারা। ফলাফল স্বৈরাচার, আমলাতন্ত্রের দাপট, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা যা আজ বাংলাদেশের সর্বত্র বিরাজমান। এর থেকে বাঁচতে হলে প্রথমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে; অত:পর তা গণতান্ত্রিক সরকার দ্বারা পরিচালিত করতে হবে।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিভাগ সমূহঃ
১। Legislature( আইন প্রণয়ন বিভাগ) of the people, by the people and for the people প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাষ্ট্রের সর্বনিম্ন স্তর হতে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত সকল শ্রেণী - পেশার জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা সংসদ গঠন করতে হবে। বাংলাদেশে ইউনিয়ন সংসদ, উপজেলা সংসদ, জেলা সংসদ এবং জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

২। Executive( নির্বাহী বিভাগ) of the people, by the people and for the people প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাষ্ট্রের র্সর্বনিম্ন স্তর হতে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা নির্বাহী পরিষদ গঠন করতে হবে। বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ এবং জাতীয় পরিষদ বা মন্ত্রী পরিষদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

৩। Judiciary (বিচার বিভাগ) of the people, by the people and for the people প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাষ্ট্রের সর্বনিম্ন স্তর হতে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত বিচার বিভাগ জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত সংশ্লিষ্ট সংসদ কতৃক অনুমোদিত বিচার পরিষদ ও জুরী পরিষদ (ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, জাতীয়) এবং ইউনিয়ন কোর্ট, উপজেলা কোর্ট, জেলাকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট গঠন করতে হবে।

৪। Logistic Support(জনবল ও অর্থসম্পদ সরবরাহ বিভাগ) of the people, by the people and for the people প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাষ্ট্রর সর্বনিম্ন স্তর হতে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত সংশ্লিষ্ট সংসদের অনুমোদন ক্রমে লজিস্টিক সাপোর্ট পরিষদ (ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, জাতীয়) গঠন করতে হবে। এই পরিষদ হতে সংশ্লিষ্ট কমিশন সমূহ ( নির্বাচন কমিশন, কর্ম কমিশন, অর্থ কমিশন ইত্যাদি) গঠন করতে হবে।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কাঠামো হতে পারে এরকম ঃ



রাষ্ট্র পরিচালনাকারী গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা ঃ

রাষ্ট্রপ্রধান ঃ
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১০ রাত ১২:১৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×