somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

*কোন শিরোনাম খুঁজে পেলাম না*(জন্মদিনের শুভেচ্ছামূলক পোষ্টের শিরোনাম কী?)

২২ শে মে, ২০১০ রাত ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছেলেটা খুব ভাল গল্প লিখত। সংলাপ নির্ভরতায় নির্মিত এক একটা জীবনঘনিষ্ট গল্পে আমাদের সবারই যাপিত জীবনের গভীরতর ছাপ পাওয়া যেত। লিখত বলছি এই জন্য যে, ছেলেটাকে এখন আর লিখতে দেখি না।

আকারে-প্রকারে ছোটখাট, মাথা গরম ছেলেটা চশমা পরে না। বোঝাই যাচ্ছে, মানবচক্ষু দিয়ে দেখতে তার কোন সমস্যা নেই। কিন্তু, ও দু’টো ছাড়াও যে ছেলেটার মানসচক্ষুর দেখার ক্ষমতাও অসাধারণ- সেটা আমি টের পাই। যারা তার গল্পগুলো পড়েছে তারাও নিশ্চয়ই টের পেয়েছে।

ছেলেটা খুবই বন্ধুবৎসল। বন্ধুদের নিয়ে তার আবোল-তাবোল কথাগুলোও কী সুন্দর শ্রুতিমধুর স্মৃতিকথায় রূপ নিয়েছিল। ‘পথে পথে চিরকাল’ থাকতে চেয়ে ছেলেটা আপন নিবাসেই কী বন্দী এখন? ব্লগে আর লেখে না ছেলেটা।

ছেলেটা এখন ক্যামেরা চোখ দিয়ে দুনিয়া দেখে। লক্ষ টাকার ক্যামেরা কিনেছে। ছুটির দিনগুলোতে বেরিয়ে যায় পৃথিবীর পথে। একটা দুইটা ব্লগ দেয় না- তা কিন্তু না। কিন্তু, সেই সবই ভর্তি থাকে ক্যামেরার কারুকাজ, দৃশ্যকল্পে। বলতে নেই, দিনেদিনে হাত বেশ পেকে উঠেছে। স্থিরচিত্রগুলোও চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠছে। আমার সবরকমের দেখার চোখই খারাপ, তবু আমি বুঝি আমি এই সব কিছুর মাঝে আগামীদিনের এক বিখ্যাত স্থির চিত্রগ্রাহকের ছায়া খুঁজে পাচ্ছি।

আমি অবশ্য একদিন বলেছিলাম, ঐ করতে গিয়ে আসল চোখগুলো দিয়ে দুনিয়া দেখতে ভুলে যেও না। সাদা চোখে দুনিয়া দেখার মজাই আলাদা।

ড. জাফর ইকবালের প্রিয় ছাত্র সে, যাকে এই বৃদ্ধ বয়সেও কোলে তুলে নিয়ে তিনি ছবি তোলার দুঃসাহস দেখিয়েছেন!

যাই হোক, আগামীকাল বেচারার জন্মদিন। মেঘে মেঘে বেলা কম গড়ায় নি। আটাশে পা’ দিচ্ছে এবার। ছোকরার সাথে পরিচয়ের দুই দশক আর বন্ধুত্বের এক দশক পূর্তি হচ্ছে এ বছর।

গতবছরের এমনি দিনে সেই ইতিহাসের উপর একটি তথ্যবহুল পোষ্ট দিয়েছিলাম যার শিরোনাম ছিল, “বন্ধুর জন্মদিনে কিঞ্চিৎ স্মৃতিচারণ। ('স্মৃতি তুমি বেদানা' টাইপ পোষ্ট)

সেই পোষ্টের একেবারে শেষদিকে বলেছিলামঃ

প্রিয় রাকিব, শুভ জন্মদিন।
ব্লগীয় রীতি অনুযায়ী কেক-কুক খাইতাম চাই।
বয়সও তো কম হলো না; চাকরির বয়স ও দুই পেরিয়ে গেল। তার উপর পরিবারের বড় ছেলে। বুঝতেই পারছ, তোমার মায়ের এখন একটা হেল্পিং হ্যান্ড(Helping Hand) দরকার।


কপাল এমনই খারাপ যে, এ বছর ও একই কথা বলতে হচ্ছে, ছেলেটার এখনো কোন গতি হয় নি। দেশসেরা এক টেলিকম কোম্পানির কর্তা-ব্যক্তিদের মাথার উপর ছড়ি ঘোরায়। স্বাভাবিকভাবেই আয়-ইনকাম মাশাআল্লাহ্‌। কিন্তু, মায়ের পক্ষ হতে তাকেই মেয়ে পছন্দ করতে বলায় তার জবাব ছিল, “এ কথা ছাত্রজীবনে বলেন নি কেন? এখন এই চাকরিজীবনে আমি মেয়ে কোথায় খুঁজবো?” ‘পেটে ক্ষিধে, মুখে লাজ’- বোধকরি একেই বলে! সেইসাথে, ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতকোত্তর(আমরা অভাজনেরা এইটারে এমবিএ কইয়া ডাকি) করার জন্য ভর্তি হয়ে ছেলেটা কি মা’কে এই বুঝাতে চাইলো যে, বিয়ে যখন করাতে পারছেন না, এখন এমবিএ করি!

যাইহোক, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে যে, ছেলেটার মাতৃদেবী এখন তোলপাড় করে পুত্রবধু খুঁজছেন এবং অতি সম্প্রতি তার তুতো ভাইদের(Cousins) মধ্যে তার নিকটতম অগ্রগামীটির গতি হয়ে যাওয়ায় সে পথেও এই মূহুর্তে আর কোন বড় মাপের বাধা-বিঘ্ন নেই। অতএব, এ বছরেই হয়তো আমরা ধুমধাম করে একটি ব্লগীয় বিয়ে খেতে যাচ্ছি। আগাম নিমন্ত্রন রইল।

ও আচ্ছা, সবাই তো বুঝেই ফেলেছেন, ছোকরাটা কে?
ব্লগের সনামধন্য ছোটগল্পকার কাম ক্যামেরাম্যান আহমেদ রাকিব।
:D:D :D
আসুন ওকে অভিনন্দন জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১০ রাত ৯:২০
৫৭টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×