সবুজ রং অন্য সব রং থেকে গাঢ় বলে চোখে পড়ে বেশি। ক্লোরোফিল যখন সূর্যের আলোর সঙ্গে কাজ করে, তখনই পাতা বেশি সবুজ দেখায়।
পাতার ভেতরে আছে খুব সরু শিরা উপশিরা। ওগুলোর ভেতর দিয়ে পাতায় পানি ঢোকে। কিন্তু শীতের আগে আগে পাতার বোঁটার মুখে নরম কাঠের একটি স্তর জমে। ফলে পাতায় পানি ঢোকার পথ বন্ধ হয়ে যায়। তখন পানি না পেয়ে পাতার সবুজ ক্লোরোফিল বিবর্ণ হয়ে যায় এবং এক সময় খসে পড়ে যায়।
সে সময় পাতার জ্যানথোফিল ও ক্যারোটিন রঙই চোখে পড়ে। তাই শরৎকালে অনেক গাছের পাতার রঙ হয় হলুদ বা কমলা রঙের। শরতে কোনো কোনো গাছের পাতা লাল রঙ ধারণ করে। কারণ গোটা গরম কাল জুড়ে পাতারা গাছে খাদ্য হিসাবে চিনি উৎপাদন করে। ওই চিনি রসের আকারে সারা গাছে ছড়ায়। কিন্তু যখন পাতার বোঁটার মুখে নরম কাঠের স্তর জমে, তখন ওই চিনি পাতায় আটকে যায়। ঐ আটকে পড়া চিনি লাল রঙ ধারণ করে।
পাতাগুলো যখন শুকিয়ে মরে যায়, তখন বাদামি রঙের হয় এবং ঝরে যায়। ঐ যে পাতার বোঁটার কাছে নরম কাঠের স্তর জমেছিল সেটা তখন শক্ত হয়ে জায়গাটাকে রক্ষা করে, যাতে এই জায়গা দিয়ে গাছের পানি বেরিয়ে যেতে না পারে। এই প্রক্রিয়ায় যেসব গাছের পাতা ঝরে যায়, সেগুলোকে বলে পাতাঝরার গাছ।।
কি নিখুত শিল্পকৌশল ব্যবহার করেছেন এর স্রষ্টা। কতই মহান তিনি...
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১:৪২