শ্রী শ্রী ঠাকুর রাম চন্দ্র দেব ১২৬৬ বঙ্গাব্দের ২১ মাঘ ফরিদপুর জেলার ডিঙ্গামানিক নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হিমালয়ের কৈলাস পর্বত, কৌশিক পর্বতসহ বিভিন্ন স্থানে সাধনা করে সিদ্ধি লাভ করেছেন বলে জানা যায়। ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে তিনি ভ্রমণ করেছেন।
নোয়াখালীতে আগমনের সঠিক সময় সম্পর্কে না জানাতে পারলেও ভক্তরা জানান, শ্রী শ্রী ঠাকুর রামচন্দ্র দেব নোয়াখালী জেলার চৌমুহনীতে বেশ কয়েকবার আসেন। জীবনের অন্তীম সময়ে তিনি চলে আসেন চৌমুহণী। ভক্তদের বিশ্বাস ঠাকুর রামচন্দ্র দেব একই সময়ে বিভিন্ন স্থানে বিরাজ করতেন। অত্যন্ত স্বল্পাহারি ছিলেন তিনি। আহার যা দেয়া হতো তা ভক্তদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন।
স্বর্গীয় উপেন্দ্র কুমার সাহা, নরেন্দ্র কুমার ভূইয়া ছিলেন ঠাকুরের শীষ্য। ঠাকুর নোয়াখালীতে এলে নোয়াখালীর দক্ষিণ বাজারে টালি ঘরের ব্যবস্থা করেন তারা। এ টালি ঘরেই থাকতেন ঠাকুর। ১৩৫৬ বঙ্গাব্দের ১৮ বৈশাখ নোয়াখালী জেলার চৌমুহনীতে সে টালিঘরেই তিনি দেহত্যাগ করেন। পরবর্তিকালে ধিরে ধিরে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় তার সমাধীকে ঘিরে গড়ে ওঠে শ্রী শ্রী ঠাকুর রামচন্দ্রের সমাধিক্ষেত্র।
আগামি ১৬ মে পূণ্য অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে এ মহামণিশীর ৬১তম তিরোভাব উৎসব মহাপবিত্র সমাধীক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ১৪-১৭ মে ৪ দিনব্যাপি বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করা হয়েছে ।
তিনি ছিলেন মহাপুরুষ। যার কাছে হিন্দু মুসলিম কোনো ভেদাভেদ ছিলোনা। জাতী ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে তিনি মানুষ হিসেবেই দেখতেন সবাইকে আর সত্যব্রতই ছিলো তার ধর্ম।
http://www.youtube.com/watch?v=VZv2u9SGJIM