তার দু'এক দিন পর বৃষ্টি শেষে বসে আছি বিলের পাড়ে। আকাশে ছোপ ছোপ মেঘ, চারপাশে ভেজা মাটির গন্ধ। পলকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই যেন রংধনুটা উঠল আকাশে। এক্কেবারে চোখের সামনে। সে এক অদ্ভুত অনুভূতি! অপার্থিব। সেদিন আর কবিতা লিখতে ভাবতে হয়নি। সব বর্ণমালারা যেন রংধনু বেয়ে ঠাঁই পাচ্ছে কলমে।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলাম। এত্তোগুলো বই পেয়েছিলাম। বিচারক ছিলেন তৎকালীন ভোরের কাগজ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক, কলামিস্ট বিপ্রদাস বড়ুয়া, ছড়াকার রহিম শাহ, ছড়াকার আলম তালুকদার। আর বাড়তি পাওনা ছিল, বিপ্রদাস বড়ুয়া উনার সে সপ্তাহের সাহিত্য পাতায় আমার এই কবিতাটি নিয়ে পুরো একটি কলাম লিখেছিলেন। কি সৌভাগ্য!)
একদিন শরতে; একদিন শৈশবে
রং লেগেছে,বদলে গেছে সুদূর চারিদিক,
যাচ্ছে সবে জয়োৎসবে, বরণ করে নিক।
নীল আকাশে, তারই আশে উড়ছে যে সব আশা,
সকাল বেলায় মেঘের ভেলায়, নামছে ভালোবাসা।
দূর গগণে, হিম পবণে, রামধনুরই রঙ্গে,
রং এর ঝিলিক, দিচ্ছে যে ঠিক পিছলে পড়ার ঢঙ্গে।
ওইতো দেখি, রঙ্গিন পাখি ছড়ায় খুশির রেণু,
মনকে সাজায়, মন যে বাজায় প্রেমপিয়াসী বেণু।
ইচ্ছে করে, জীবন ভরে সুর তুলে যাই মনে,
তাকিয়ে থাকি, যত্নে রাখি মণিকোঠার কোনে।
এমন রঙ্গিন-এমনই দিন হয়তো বা জীবনে
আসবেনা যে জীবন সাঁঝে-ভালোলাগার ক্ষণে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৫০