রাজধানীর উত্তরায় র্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন।
Published : 22 May 2013, 04:06 AM
র্যাবের-১ এর অপারেশন অফিসার মঞ্জুর মোর্শেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার ভোর ৪টার দিকে উত্তরায় র্যাবের চেকপোস্ট থেকে একটি প্রাইভেট কারকে থামার সংকেত দেয়া হয়। কিন্তু চালক না থামিয়ে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিলে র্যারে একটি টহলদল তাদের পিছু নেয়।
“উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের কাছে ওই গাড়ি থেকে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলি থামার পর ওই গাড়ির ভেতরে গুলিবিদ্ধ দুই যুবককে পাওয়া যায়।”
তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে মঞ্জুর মোর্শেদ জানান।
র্যাব জানায়, ওই গাড়ি দুটি পিস্তল, ছয়টি গুলি, দুটি চাপাতি, একটি ছোরা ও একটি হাতুড়ি পাওয়া গেছে।
নিহত দুজনের পকেটে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় র্যাব।
অপারেশন অফিসার মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, হোটেল রেডিসনের কর্মী আলেয়া ফেরদৌসী গত ১৩ মে সকালে কাওলা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় অপহৃত হন। ওই রাতেই গাজীপুরের জয়দেবপুরে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় আলেয়ার স্বজনদের দায়ের করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে একটি ছিনতাইকারী চক্রের সন্ধান পায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
“এই চক্রটি গাড়ি ও প্রাইভেটকারে যাত্রী উঠিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও ক্রেডিটকার্ড ছিনিয়ে নেয়। তারপর বুথ থেকে ওই কার্ড দিয়ে যাত্রীকে টাকা তুলতে বাধ্য করে। কাজ শেষ হলে তাকে মেরে ফেলা হয় অথবা নির্জন কোনো জায়গায় ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়া হয়।”
মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, জহিরুল ইসলাম ও সাজু আকন্দ ওই চক্রেরই সদস্য বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। নিহত জহিরুলের পকেট থেকে আলেয়া ফেরদৌসীর ক্রেডিট কার্ডটিও পাওয়া গেছে।
আলেয়াকে অপহরণের দিন গত ১৩মে টঙ্গীতে এবং ১৪ মে বনানীর এটিএম বুথ থেকে ওই কার্ড দিয়ে টাকা তোলা হয়।
এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওতে টাকা তোলার দৃশ্যে জহিরুলকে দেখা গেছে বলে মঞ্জুর মোর্শেদ জানান।
অভিযানের সময় ওই গাড়িতে আরো দুজন থাকলেও ‘কোনো এক ফাঁকে’ তারা পালিয়ে যায় বলে র্যাব কর্মকর্তা জানান।
নিহত দুই যুবকের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।