somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সম্মুখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ চলছে, সাবধান!!!

০৯ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গল্পটা এই রকম- একজন মহান দেশদরদী, জনকল্যানকামী রাজনীতিক জননেতা সুসজ্জিত মঞ্চে ভাষন দিচ্ছেন। প্রায় ষোলকোটি প্রতিশ্র“তির পর তার একটি প্রতিশ্র“তি নিয়েই দেখা দিলো তুলকালাম কান্ড। নেতা বলছেন- আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করে দেশের বারোটা বাজিয়েছে। আমরা কখনই সেই পথ অবলম্বন করতে পারিনা। আপনারা জানেন আমার মঞ্চের পেছনে একটি নদী রয়েছে সেই নদীর উপরে তারা একটি ব্রীজ নির্মাণ করবে বলে প্রতিশ্র“তি দিয়ে আপনাদের নিকট থেকে ভোট আদায় করেছে। কিন্তু গত ৫বছরে তা করতে পারেনি। আমি জানি তারা আগামী ৫০ বছরেও এই কাজটি করতে পারবেনা। এটা শুধু শুধু জনগনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবুও আপনারা গতবার ভুল করেছেন। এই বার আর কোন ভুল নয়। আমরাও কোন ভুল কাজ করবো না বিধায় আমরা মঞ্চের পিছন দিকে অর্থাৎ পশ্চিম দিকে কোন প্রকার ব্রীজ নির্মাণ করে এই এলাকার সর্বনাশ করতে পারিনা। আমরা আপনাদের ভোটে মতায় গেলে, এই মঞ্চের পূর্ব দিকে একটি ব্রীজ নির্মাণ করবোই করবো। সেই সময় মঞ্চে বসা জননেতার সহকারী (স্থানীয় ভাষায় যাকে আমরা চ্যালা বলি) বললেন- বস ভুল হইলো, পূর্বদিকে তো কোন নদী নাই, ব্রীজ দিবেন ক্যামনে? তখন জননেতা মাউথপিসেই সগর্বে বলে উঠলেন- নদী নাই তো কি হয়েছে নদী কেটে তারপর ব্রীজ বানিয়ে ছাড়বোই ছাড়বো। এ আমার নির্বাচনী ওয়াদা।

এরপরও উপস্থিত জনতারা ভোট কিন্তু সেই নেতাকেই দিয়েছিলেন। কারণ আমরা বাঙ্গালীরা কর্মের চেয়ে গল্পই বেশি ভালোবাসি ও সেই সাথে গল্পবাজদেরও। সেই সুবাদে মতা পাওয়ার পর এখন কিন্তু পুরোদমে কাজ চলছে। স্থলভাগ কেটে নদী তৈরী করে তারপর ব্রীজ তৈরী হবে। জিটিটাল বাংলাদেশ গড়া বলে কথা! অতএব সাবধান স্থলভাগে কেউ থাকবেন না। নদীতে নেমে পড়–ন নয়তো আপনি কাটা পড়তে পারেন। জিটিটাল বাংলাদেশের কাজ খুব জোরে শোরেই হচ্ছে, দেখা দেখির টাইম নাই! আর টাইম নাই বলেই ১ঘন্টা ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে দেয়া হয়েছে। এতেও যদি না হয় পুরো ১দিন বাড়িয়ে দেয়া হবে। তবু জিটিটাল বাংলাদেশ গড়তেই হবে; সময় খু-উ-ব কম!
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×