somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বড় গল্প-উদ্বাস্তু ঘুঘু : পর্ব-৬(স্বজন)

০৯ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উদ্বোধন ঃ Click This Link
পুরো আশিক ঃ Click This Link

ক্রমশ ঃ


সৌর জগতে ঢুকে সে একটু থমকে দাঁড়ালো। অভ্যাস বশতঃ বেয়ারা সূর্যের দিকে তাকিয়ে সানগার্ডদেরকে শুভাশিস জানাল। বুধ, শুক্র ঘুরে ছোট্ট সবুজ গ্রহটাতে তার চোখ আটকে গেল। তার অন্য কোথাও যাবার কথা ছিল কি না-আমি জানি না। কিন্তু সে ধীরে মোহাবিস্টের মত সবুজ গ্রহের দিকে অগ্রসর হতে আর স্মৃতিতে, মনে, আবেগে, খুঁজতে অথবা মিলাতে প্রাণপন চেষ্টা করছিল। সে কিছু পেল কি না সে জানে কিন্তু সবুজের পরশ, অশ্রুর গন্ধ, আবেগ জানায়ে দিল সবুজ এক স্বজন পেয়েছে আজ। তাই সবুজ তারে দিলো সজল সম্ভাষণ। আর বহুকালের তৃষ্ণার্ত সে নরম বৃক্ষপত্রের, এই ফুল, সেই ফুল, ঘাসফুলের পেলব পরশ, ঘাসের সুড়সুড়ি, বৃক্ষের নরম আঘাত, কাঁটার খোঁচা, জলের কলকল, বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ, বৃক্ষপত্রের পতপত, ঝরাপাতার ফরফর, বিচরণশীলদের বিবিধ মুখরিত রবে আমুল ডুবে যেতে যেতে বহুকাল পরে নিজেকে হারায়। হাসি মুখে। হৃস্টচিত্তে।

হৃদয় শান্ত হলে পর, সে গানের পাখি, এসেছিল- কথা, নাথগীতি অথবা শ্যামা সঙ্গীতে, কীর্তনে প্রিয়তম প্রভুর শংসাগীতের সূর ইতস্তত ছড়িয়ে দেবার জগতকে গানের সূরে ভরে দেবার ব্রত সম্পন্ন করবার কাজে। আর এখন আপ্লুত, আকুল সে মহার্ঘ্য স্বহৃদ নিজেরে নৈবেদ্য সাজাল। বৃক্ষপত্র, শাখা, কান্ড, প্রতি ইঞ্চি ভুমি, স্পেসকে বেদী করে জল ও ভুমিস্থিত স্নেহশীল সকলেরে ঈশ্বরের অংশ জ্ঞানে ঈশ্বররুপে সাধন ও ভজনে নিরত হলো। ভজনে ভজনে কেটে গেল বহুকাল। ইত্যবসরে নবীন সবুজে কেউ কেউ ফলবতী, কোন কোন প্রবাহ শীতল, সুমিষ্ট। প্রাণের হরষে, ধুয়ার ফাঁকে সে হলো তুষ্ট, তৃপ্ত আর ধুয়ায় ধুয়ায়, সুরে সুরে গলা মিলাতে স্থির ও অস্থির, কুঁড়ি ও পূর্ণ বৃক্ষপত্র, জল ও হাওয়ার অভিভূত প্রবাহদের হলো সুর সাধা ধরণীর বিণায়। তাইতো নিরবধী তারা গেয়ে চলে ভজনগীত।

আর সে ? সে কি সবুজ গ্রহের অবুঝ, নবীন, কাঁচাদের ভক্তিরসে নাইয়ে গেল ? না বিস্মৃতপ্রায় ইত্যাদি ইত্যাদি স্বাদ ও গন্ধের সাথে হলো তার পুনঃ পরিচয় কিংবা ভোজন কিংবা জিহ্বা ও উদরের ভজনে কিঞ্চিত পার্থিব বিষয়াদি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল? জানি না। কিন্তু শীঘ্রই সে বর্জ্যরুপে কঠিন তরল ও বায়বীয় কিছুর নিকাশে হালকা হলো।

হয়তো বা সবুজ স্বজনের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন আর গাঁজন সাপেক্ষে কিছু মিথেনের সম্ভাবনা তৈরী করে প্রভুর অপার করুণায় সিক্ত, পরিশ্রুত, পবিত্র হয়ে আকাশে উড়াল দিল সোনালী ডানার চিল।

চলবে........................
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×