somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্যক্তিকেন্দ্রীক ভোগবাদিতা পরিহার করে বিকশিত সমাজ নির্মাণেই বাজেট হওয়া উচিত

০৮ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ব্যক্তিকেন্দ্রীক ভোগবাদিতা পরিহার করে বিকশিত সমাজ নির্মাণেই বাজেট হওয়া উচিত

যানজট, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট, পয়:বর্জ্য সমস্যা, জলাবদ্ধতা সমস্যায় জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। নদী খাল বিল জলাশয়ের পানি দূষণ, বাতাস দূষণ, মাটি দূষণ ইত্যাদির ফলে ক্রমবর্ধমান হারে মানুষ ক্যান্সারসহ নানা রকম জটিল রোগে আক্রান- হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের পাশাপাশি লাখ লাখ এমনকি কোটি মানুষ নানান জটিল রোগে আক্রান- হবে এবং অনেকে ধুকে ধুকে মৃত্যুর মুখে পতিত হবে। ক্রমশ আমরা অসুস' ও পঙ্গু জাতিতে পরিণত হব। আমরা যদি এখনই এ বিষয়গুলি চিন-া না করি তাহলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ? আমাদের জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন চিন-ায় ও আগামী জাতীয় বাজেটে এই সমস্যাগুলো প্রতিকারে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। পরিবেশ বিপর্যয় রোধে এবং সমতা ভিত্তিক উন্নয়নে আমাদের এবারের জাতীয় বাজেট একটি বড় ভুমিকা পালন করতে পারে।

আজ ০৮ মে ২০১০ শনিবার সকাল ১১:০০ পবা মিলনায়তনে ‘পরিবেশ বিপর্যয় রোধে জাতীয় বাজেট” শীর্ষক সেমিনারে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান একথাগুলো বলেন। প্রফে.মনোয়ার উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশ নেন,পবার সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী; উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল বাবুল; বিশিষ্ট পরিবেশ অর্থনীতিবিদ, প্রফে. এনামুল হক, বিএমএ এর সাবেক সভাপতি প্রফে. রশিদ-ই-মাহবুব; এআইইউবির প্রফে. প্রিয় ব্রত পাল; কানাডা প্রবাসী বিশিষ্ঠ সাংবাদিক মাহাবুবুল হাসান নিরু, ডা: কাজী মুস-ফা আনওয়ার প্রিন্স, ডব্লিউবিবির মাহবুবুল আলম তাহিন, পরিবেশ কর্মী সৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীক প্রমুখ।

সেমিনারে আলোচকরা বলেন, আমাদের জাতীয় বাজেট উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, ব্যক্তি কেন্দ্রীক ভোগবাদিতা পরিহার করে বিকশিত সমাজ গঠনের উদ্দ্যোগ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ- মহিলাদের কর্মসংস'ান, স্বাস'্যসেবার উন্নয়ন, আর্থিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, স'ানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে স'ানীয়ভাবে সিদ্ধান- গ্রহণের ক্ষমতা এবং বৈষম্যবিহীন স'ানীয় উন্নয়ন, প্রত্যেক পরিবারের জন্য গ্রহণযোগ্য আকারের বাড়ী/ফ্ল্যাট তবে একাধিক নয়, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট- নৌ-রেল অগ্রাধিকার দেয়া, পর্যাপ্ত কমন ফ্যাসিলিটিজ মাঠ, পার্ক, পাসপাতাল নির্মাণ, পরিবেশ/প্রতিবেশ/স'ায়িত্বশীল উন্নয়ন, বিষয়গুলি শিক্ষা ব্যবস'ায় এবং ট্রেনিং ব্যবস'ায় সম্পৃক্ত করা। সকল কর্মকান্ডে পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিষয়গুলি বিবেচনায় করা, প্রকৃতি বান্ধব কৃষি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা।

আগামী বাজেটে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিন্মোক্ত সুপারিশগুলি বাস-বায়নের প্রস-াব করা হয়-
সুপারিশসমুহ: ১.গাড়ির সিসি অনুসারে আনুপাতিক হারে আমদানী কর ভ্যাট ইত্যাদি কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা। পরিবারে একাধিক গাড়ি থাকলে এর পরিমাণ বৃদ্ধি করা। একইভাবে রোড় ট্যাক্স বিশগুণ বৃদ্ধি করা্‌ প্রাইভেটকারের মালিকের আয়কর নূন্যতম নির্ধারণে করতে হবে। ২.প্রাইভেটকারের জন্য ব্যবহৃত গ্যাসের দাম দশগুণ বৃদ্ধি করা, প্রয়োজনে পৃথক গ্যাস স্টেশন রাখার ব্যবস'া করা। ৩.বড় বাসের ক্রয় আমদানি কর ও অন্যান্য ট্যাক্স কমানো। ৪.বড় ও একাধিক গাড়ি/ফ্ল্যাট/প্লট ক্রয় ও রাখা নিরুঃসাহিত করার জন্য এলাকা ভিত্তিক ক্রমবর্ধমান হারে কর আরোপ করা । একইসাথে আয়কর বৃদ্ধি করতে হবে। ৫.নবায়নযোগ্য বিদ্যুেেতর প্রধান খরচ সংরক্ষণ বা ব্যাটারীতে সোলার বিদু্রতের খরচ কমাতে সরাসরি জাতীয় গ্রীড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহকারীকে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস'া রাখা। নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ব্যবহারের জন্য ব্যাটরিী উৎপাদন ও বিপননে প্রণোদনা দেওয়া। ৬.জৈব গ্যাস উৎপাদন বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনা দেওয়া। ৭.তামাক উৎপাদন ও বিপননে নিরুৎসাহিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস'া রাখা ৮.পরিবেশ দূষণকারী শিল্প স'াপন করতে বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধকতা যেমন ট্রিটপ্ল্লান্ট তৈরি ও চালু রাখার পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ পানির জন্য পৃথক দাম নির্ধারণ ৯.পরিবেশ বান্ধব শিল্প কে বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনা দেওয়া। ১০.ইলেক্ট্রিনিক বর্জ্যের ব্যবস'াপনা বন্ধ করা ও মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার স'াপনে আইন করে উচ্চহারে কর আরোপ করা। ১১.প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার, দোকানপাট, হাসপাতাল রেলস্টেশন জনসমাগম স'ানে পাবলিক পয়:প্রণালীর জন্য পৃথক বরাদ্দ করতে হবে। ১২.যানজট নিরসনে ও যাতায়াত ব্যবস'ার উন্নয়নের জন্য প্রাইভেটকার কেন্দ্রীক যাতায়াত প্রত্যাহার করে গণযোগাযোগ ব্যবস'ায় আসতে হবে। ১৩.কৃষি উৎপাদন ব্যবস'ায় রাসায়নিক ব্যবস'ার পরিবর্তে অর্গানিক কৃষি ব্যবস'ায় উৎসাহিত করে আমাদের প্রাণ বৈচিত্র্যকে ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস'া করতে হবে।


বার্তা প্রেরক
আতিক মোর্শেদ- ০১৮১৪৩৮২৩৪০, ০১১৯৮১৭৭১৫৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×