somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক যে ছিল মজার দেশ- সে দেশটা রুপকথার দেশের থেকেও সুন্দর ও স্বপ্নে ভরা

২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এতকাল তো রুপকথার গল্পে মজার মজার দেশের কথা পড়েছেন, শুনেছেন। তেমনই এক মজার দেশের মজার মজার গল্প শুনাবো আপনাদের- তবে মনে রাখবেন, সে দেশটা রুপকথার দেশের থেকেও সুন্দর ও সব চরিত্র কাল্পনিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত।

সেদেশের এক মন্ত্রী সদ্য অন্য মন্ত্রণালয় থেকে বিতাড়িত হয়ে ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ে যোগ দিলেন।

অফিসের প্রথম দিন- সবার সাথে পরিচিত হয়ে তিনি নিজের রুমে ঢুকলেন, এক ক্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে কম্পিউটারের দিকে ফিরলেন,

-একি! এর বোতাম গুলো সব উল্টাপাল্টা লাগানো কেন? কোন বেকুব এটি বানিয়েছে তাকে ৪৮ ঘন্টার মাঝে এনে ঠিক করানো উচিত।

মন্ত্রী প্রথমদিন অফিসে এসেই কি এমন কাজ করছেন তা দেখার জন্য তার জানালার সামনে কর্মকর্তারা ভিড় করতে লাগল। কারও সাথে কোন কথায় বলছেন না মন্ত্রী কাজের ঠেলায়। সবাই খুব খুশি হলেন তা দেখে।

কাজ শেষ করে যখন বাইরে আসলেন মন্ত্রী মহোদয়, তখন তার পিএস জানতে চাইলো,

-স্যার, এই মন্ত্রণালয়ে তো তেমন কোন কাজ নেই, আপনি কি এত করছিলেন মনোযোগ দিয়ে?
-কোন বেকুব কম্পিউটারের কি-বোর্ড আবিস্কার করেছে? ঠিক মত ইংরেজি বর্ণ গুলোও সাজাতে পারে না। তাই আমি সারাদিন বসে বসে কি-বোর্ডের বর্ণ গুলো সারিবদ্ধভাবে সাজিয়েছি
-এ............!

তো, সেই দেশে ছিলেন আরেকজন বিরাট ধনী মন্ত্রণালয়ের ধনী মন্ত্রী যার কাছে টাকা হল পানি ভাত।

গ্রামের এক স্কুল পরিদর্শনে গেলেন তার মন্ত্রণালয়ের এক অফিসার।

ক্লাসে ঢুকে এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন বলতো, খোকা সোমনাথের মন্দির কে ভেঙ্গেছে?
ছাত্র বললো, আমি ভাঙিনি স্যার!
পরিদর্শক রেগে শিক্ষককে বললেন আপনার ছাত্র এ সব কী বলছে!
শিক্ষক নরম গলায় বললেন স্যার, আমি জানি ও মন্দির ভাঙার মতো ছেলেই না।
পরিদর্শক গেলেন প্রধান শিক্ষক এর কাছে নালিশ দিতে, আপনার ছাত্র শিক্ষক এসব কি বলছে তারা নাকি সোমনাথের মন্দির ভাঙেনি!
শিক্ষক বললেন জি স্যার আমি জানি আমার ছাত্র শিক্ষক এমন কাজ করতেই পারেনা।

পরিদর্শক রেগেমেগে গেলেন সেই মন্ত্রীর কাছে।। গিয়ে সব খুলে বলেন এবং স্কুলটাকে বাতিল ঘোষনা করতে বললেন।

মন্ত্রী বললেন,সামান্য একটা মন্দির ভাঙার জন্য এত কথা! টাকা নিয়ে যান নতুন একটা বানিয়ে দেন!!

সে এক আজিব দেশরে ভাই, দুঃভাগ্যক্রমে সে দেশে আরেকজন ভিতু মন্ত্রী ছিলেন, যিনি নড়াচড়া ভয় পেতেন।

তো তিনি যাচ্ছিলেন একবার বিদেশ ভ্রমণে। বিমানে তাদের সাথে যাত্রী ছিল এক মা ও তার ৫ বছরের বাচ্চা। বিমানটি যখন আকাশে আরামচে যাচ্ছে তখন বাচ্চা ছেলেটি বিমানের ভিতর দৌড়াদৌড়ি খেলতে লাগল। উড়ন্ত অবস্থায় বিমান নড়াচড়া করে এটিই স্বাভাবিক, কিন্তু মন্ত্রী মহোদয় ভাবলেন ছেলেটির দৌড় খেলার কারণে বিমান কাপঁছে!

তিনি বাচ্চাকে ধমক দিয়ে বললেন,
-এই ছেলে বাইরে খেলতে যাও। বাইরে খেলতে পারো না!

মন্ত্রীদের সৌভাগ্য ছিল বলা যায়, কারণ তাদের দেশে যে বিরোধীদল ছিল বা যারা মন্ত্রীদের কাজের ভূল গুলো ধরিয়ে দিবে তারা তখন ছন্নছাড়া উটপাখি। নিজেদের বাঁচাতে গর্তে বসে থাকেন। আর দুষ্টু দুষ্টু বুলি আওরান। যেন ক্ষমতায় না যেতে পারলে দেশের জন্য কিছুই করার নেই, কিছুই দেখার নেই। বাইরেই বের হওয়া ছেড়ে দিতে থাকলেন তারা।

তো তাদেরই এক নেতা অন্য আরেক নেতার বাসায় গেলেন দেখা করতে।
কলিং বেল টেপার পর ভিতর থেকে জানতে চাইলেন
-কে?
-আমি
-আমি কে?
-আপনি কে তা আমি কি করে জানবো!

তবে মজার ও আর্শ্চয্যের বিষয় ছিল, সে দেশের মানুষ গুলো খুবই রসিক প্রকৃতির ছিল। শুধু মজার সন্ধানে থাকতো।

মজা পাওয়ার জন্য এবং মজার স্বাদ পরিবর্তনে তারা ৫বছর পর পর নতুন দল নির্বাচিত করতো। তারপর নিশ্চিন্তে মজা নিতো মজা মেরে।

এই মজা মারার দিন বেশি দিন মনে হয় টিকবে না সে দেশের মজাদার মানুষ গুলোর!
শোনা যাচ্ছে নতুন এক তরুণ দল তৈরি হচ্ছে, এরা কিছুতেই মজা পছন্দ করে না। উল্টা মজা দিতে এলে প্রতিবাদ করে বসে! কি সাংগাতিক কথা তাই না?
তারা মানুষ গুলোকে নিজেদের মাধ্যমে নিজেদের মজা দিতে উৎসাহিত করে।

সে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার নয়, আলোকিত হবে বলেই মনে করেন সে দেশের বুদ্ধিজীবিরা, যদিও তারা নিজেরাও মজা পাওয়ার জন্য পাগল প্রায়, যে যেভাবে পারে মজা উঠিয়ে নিতে চায়।

দেখা যাক সে দেশের ভাগ্য কোন দিকে যায়!

বি:দ্র: আমি যে এতক্ষণ সে দেশ নিয়ে কথা বলেছি এটা কিন্তু কাওকে বলবেন না। সেদেশের মন্ত্রী, মানুষ ও তরুণ সব বিষয় কাল্পনিক, কারও সাথে মিলে গেলে কাক-কোকিল তালিয় মাত্র।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুরনো ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেই নতুন ধর্মের জন্ম

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×