জলমাতাল রেইন ফরেস্টে
মেঘের লাবণ্যআলো ছুঁয়েছি যেদিন,
দেখেছি চৌচির মরা বৃক্ষবাকল
সময়ের ক্যাকটাস
অসময়ের বেলিগন্ধা নার্সারি,
স্মৃতিচিহ্নের আলোহীন ল্যাম্পপোস্ট গুলো
প্রহরীর মত দাঁড়িয়েছে দূরগামী পথে
যেইখানে রয়ে গেছে মায়াবাদ
সংগোপিত ভ্রমণ
আরোপিত অন্ধকার
উদ্ধত বিরহবিলাস।
একটা সমুদ্ররাত
এখনও সুন্দরের বর্ণপরিচয় হয়ে আছে।
যতই পরিখা খুঁড়ি বিস্মরণের – হননের
যতই ধরে রাখি সুমিত আবেগ
চুপমারা আজ এই সুবৃষ্টি দিনে
ফিনিক্স পালকের বজরায় ভেসে এসেছে
মৃত্তিকার হিরামন,
কলঙ্কিত মৌহারী বাঁশী।
আমাদেরই অনুগামী হয়ে ওঠে
প্রসন্ন হয়ে ওঠা
আজ এই প্রথাগত দিন,
ঘরোয়া কথার খুঁটিনাটি
দু’জনার সংহিত গ্রহদোষ
প্রতিবেশীর ফিসফাস।
আঁধারার্থ ভুলে যায়
বহুরূপী মেঘরৌদ্রমন –
কবিতাহীন দিন আর মন্ত্রপূত মাদুলি ছুঁড়ে ফেলি
এ কোন বিসর্জিত জাগরণ !
ঘোর লাগা পথে আজ
চিরল সন্ধ্যা হারিয়েছে
সুন্দরের উপনাম হয়ে গেছে এই প্রাঙ্গন;
নখরঞ্জনীর ঘ্রাণে
সুস্বপ্ন–দুঃস্বপ্ন একাকার হয়ে গেছে
আজ এই গোধূলি বেলায়,
দোদুল দেবদারু জেনে গেছে
সুরদোলা হাওয়ার ডাকনাম
পাথর দু’চোখে আজ বসে গেছে
বৃন্দার বনিতার চোখ -
বিনীত আকাশ রূপ-রেখা।
ফিরে এসেছে স্থিরঅনুভব -
পূর্বরাগের আড়চোখ
কক্ষচ্যুত যত তারা সব
উচ্ছন্নের উল্লাস
আজকেই জমে গেছে
ক্রীতদাসের লুটতরাজ
আজ এই সুবৃষ্টি দিনে
গীতিময় হয়ে গেছে সব ছায়াবোধ
আঙ্গুল ছুঁয়েছে আজ অধীরা সরোদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১০ রাত ১২:০২