somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাদরামী সমুহ - ২ ( কিন্চিৎ ১৬+ )

০৫ ই মে, ২০১০ রাত ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু বাদরামির ঘটনার কথা মানুষ কোন দিনই ভুলতে পারে না আবার সব সময় মনেও থাকে না, হঠ্যাৎ করে মনে পড়ে আবার ভুলে যায়।এই জাতের কিছু ঘটনা নিচে তুলে ধরব।

ক্লাস ৬ এর কাহিনি ..... পাকনা পুলাপানের চাহিদা মিটাইতে ক্লাসে নতুন নতুন কিছু জিনিস আমদানী সবে শুরু হইছে :P তার মধ্যে জনপ্রিয় ছিল ছোট ছোট কার্ড ;) ক্লাসে আদিল নামে এক ছেলে তার ৩ জনের গ্রুপ নিয়া এই জিনিসের বেশ ভালো ব্যবসা করতো সম্ভবত পার পিস ৩ টাকা সেল করতো আর ১ টাকা হারে ভাড়া দেয়া হইতো । যাই হোক আমাদের সাথে তাদের ক্যাচাল শুরু অন্য বিষয় নিয়া। একদিন আরবী ক্লাসে আমাদের গ্রুপের কেউ হোমওয়ার্ক করে নাই কিন্তু আগের দিনের হোমওয়ার্কের সাইন দেখায়া বাইচা যাবার প্লান করতেছি, এমন সময় ঐ গ্রুপের একটা স্যাররে কয় স্যার আপনি তো আজকে লাল কালি দিয়া সাইন করছেন ওদের টা নীল কালিতে করা কেন?? X( ব্যাস আর কি স্যার বেত দিয়া আমাদের ভালোই আদর সোহাগ করিলেন X((
আমরাও সেই দিন থিকা ঐ গ্রুপের পিছে লাগলাম। এবং তাদের কে সহ: প্রধান শিক্ষক ওরফে মাইর রাজ্জাকের কাছে ছেচা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। এই জন্য ক্লাসের সবচেয়ে দুর্বল এবং ভদ্র পোলা হিসাবে পরিচিত ত্বাহা কে কাজে লাগানো হইল । ত্বাহাকে দিয়া আদিলরে ১০ টা কার্ড আনতে দেয়া হইল , এবং অগ্রিম হিসাবে ১৫ টাকা দেয়া হইল যা আমরা বহন করছিলাম । আমাদের প্লান ছিল কার্ড সহ আদিলরে মাইর রজ্জাকের কাছে ধরায়ে দেয়া । কিন্তু তার আর দরকার পড়ে নাই যেদিন ওর কার্ড ডেলিভারি দেওয়ার কথা সেই আদিল ক্লাসে লেট করে আমাদের ক্লাস টিচার তার ডাইরী দেখার জন্য ডাইরী খোলা মাত্র ১০-১৫টা কার্ড মাটিতে পড়ে যায় :D ক্লাসটিচার ছিলেন ম্যাডাম তিনি আর কি ধোলাই দিবেন তিনি আদিলরে সোজা মাইর রাজ্জাকের কাছে প্রেরণ করিলেন। এবং সে গ্রুপের সবাইরে নিয়াই ধোলাই খাইবার প্রত্যাশায় সবার নাম ফাস করে দিছিল।পরে অবশ্য আদিল জানছিলো আমাদের প্লানের ব্যাপারে কিন্তু ততদিনে সে দন্থহীন বাঘ :D

ক্লাস ৮ এ আমাকে বৃত্তি কোচিং এ পাঠানো হয়েছিল যেখানে আমি মুলত দরকার বাদে বই খাতার কাছে যাইতাম নাহ।যাই হোক সেখানে এক মেয়েকে আমাদের ৩-৪ জনের মারাত্বক মনে ধইরা গেল তার নাম ছিল রেশমি। কিন্তু কিছুদিন পরে এর পিছনে সিনিয়র পুলাপানের লাইন দেইখা বুজা গেল উনি আমাদের এর রেন্জের বাহিরে। যাই হোক আমরা সবাই আশা ছাড়লেও ছাড়লো না আবির নামে আমাদের ক্লাসের এক মিচকা পোলা। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে সে অনেকটা এগিয়েও গেল :-/ এবং যথারীতি আমাদের মেজাজ বিলা হইতে শুরু হইল .... এমন অবস্তায় এক দিন ক্লাসে গিয়া শুনি আজকে রেশমির জন্মদিন আর সে সব মেয়েদের সাথে তার ঐ হবু প্রেমিক কেও সে ক্লাসের শেষে তার বাসায় দাওয়াত দিছে। আর কোন পোলা ঐ দাওয়াত পায়নাই X(( । আবার ক্লাসে আবিররে ও দেখা গেল বেশ ফিটফাট হইয়া আসছে । ব্যাস ফন্দি আটা শুরু হইল কি করা যায় কিন্তু তেমন কোন কার্যকর বুদ্ধি আসে নাহ :| লাষ্ট এ সবাই হাল ছাইড়া দিলে আমার মাথায় একটা প্লান আসলো তা হইলো শেষ ক্লাসের সময় কোন একভাবে ওর প্যান্ট ভিজায়া দিলে কেমন হয় ;) যাতে সবাই মনে করে সে হিসু করে দিয়েছে :P এবং পরে সেই আইডিয়া সবার সম্মতিক্রমে পাস হইয়া গেল। ৫ম ক্লাসের(শেষ ক্লাস) মাঝামাঝি টিচার্স অফিস থেকে একটা জগে কইরা পানি ক্লাসে আনা হইলো এই বলে যে পোলাপান পানি খাবে :) এর মধ্যে ঘন্টা পড়লে আবির ব্যাস্ততার সাথে উঠে দড়ালো এবং সিড়ির দিকে রওনা হইল এই অবস্তায় আমাদের এক পুংটা আকিব জগ হাতে ঠিক ওর সামনে গিয়া নিখুত ভাবে উষ্টা খাইলো এবং জগের পানি ওর গায়ে ছলকে পড়লো মানে ঢাইলা দিল আরকি B-) ব্যস তাহাতেই প্রেমকুমারের প্রেমের সমাপ্তি রচিত হইলো :D বেচারা ভিজা প্যান্ট নিয়া আর রেশমির জন্মদিনে যাইতে পারে নাই, আর ঐ দিকে রেশমির বান্ধবীরাও রেশমি রে এই বইলা ক্ষেপাইছিলো যে দেখছো ও একটা অহংকারী পোলা :D কারন সে রেশমির মত মেয়ের কথা শুনে নাই মানে দাম দেয় নাই আরকি B-)
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×