somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডঃ মারূফী খান যেন বংলাদেশের ডঃ মোঃ জাকির নায়েক...!!!!

০৪ ঠা মে, ২০১০ সকাল ৮:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডঃ মোঃ জাকির নায়েক, জন্ম ভারতে। এই পৃথিবীতে তিনি একজন অন্যতম জনপ্রিয় বক্তা। আমি তার একজন প্রিয় শ্রোতা। বেশ কিছুদিন আগে টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেল ঘুরতে ঘুরতে এক সময় চোখে পড়ল বাংলাদেশের ইসলামিক চ্যানেলটি। তখন দেখলাম একজন বক্তা সুন্দর করে ধর্ম নিয়ে বক্তব্য রাখছেন, যদিো তাঁর কথার সংঙ্গে ঠোঁট মিলছে না। পরে বুজতে পারলাম এটা ডাবিং করা।

তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন আর এর সংঙ্গে ভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে কত পৃষ্ঠায় কত তম লাইনে আছে সে কথা তা বলে যাচ্ছেন অনর্গল ভাবে! আমি দেখে ো শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কিভাবে একটি লোকের কাছে পৃথিবীর সকল ধর্ম গ্রন্থের সকল তথ্য মনে রাখা সম্ভব।

যাই হোক লিখতে বসেছি গতকালের একটি সন্ধ্যা নিয়ে।একটি সুন্দর সন্ধ্যা আমার জীবনে। আমার উপলব্ধি ধর্ম নিয়ে কেনোই বা আমাদের এত বিভেদ, কেনোই বা এত মারামারি, অশান্তি সৃষ্টি।

গতকাল ছিল শ্রী শ্রী আনন্দময়ীর ১১৫তম আবির্ভাব উৎসব। প্রতিবারের ন্যায় এবারো সিদ্ধেশ্বরী কালি মাতার মন্দিরে এ উপলক্ষে একটি আলোচনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এখানে চিফ গেষ্ট হিসেবে ধর্ম মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোঃ শাহজাহান মিয়া-কে আমন্ত্রন জানানো হয়। কিন্তু তিনি কোন কারন বশত: আসতে পারেননি। এছাড়া অন্যতম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় বিচারপতি গৌর গোপাল সাহা।এছাড়া আমি দেখলাম প্রধান আলোচকবৃন্দের মধ্যে আছেন একজন বুদ্ধিদীপ্ত মহিলা যার নাম ডঃ মোঃ মারূফী খান। উনার পরিচয়- সন্মানিত অধ্যক্ষ, শহীদ নজরূল ইসলাম কলেজ, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।

উনার বক্তব্যের শুরুতে জানতে পারলাম, উনাকে বক্তব্য দানের জন্য পৃথিবীর অনেক দেশে যেতে হয়, বিশেষ করে ভারতে বিভিন্ন হিন্দু সন্মেলনে অনেক বার গিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি গিয়েছিলেন ভারতের আসামে। উনি একজন অন্যধর্মের হলেো উনাকে কেন-ই বা ডাকা হয় তার প্রমান গতকাল পেলাম।উনার প্রায় ৪৫ মিনিটের বক্তব্যে উপস্থিত সকলে যেন পিন-পতন নীরবতা নিয়ে উপভোগ করলেন। কি দারুন তার কথা, কি দারুন তাঁর যুক্তি খন্ডন। তিনি যেন হিন্দু-মুসলিম ধর্মকে এক করে দিলেন তার যুক্তি দিয়ে। তিনি বলেছেন ইসলাম ধর্মের কথা , সেখানে বলেছেন- বিবি আয়েশা, বিবি খাদিজা; তেমনি বলেছেন হিন্দু ধর্মের মা শ্রী শ্রী আনন্দময়ীর কথা, বলেছেন মা সারদা দেবীর কথা। তিনি হজ্ব করে আসা তাঁর এক বন্ধুর কথা উল্লেখ করেছেন, তেমনি উল্লেখ করেছেন ভারতে তার বিভিন্ন হিন্দু তীর্থ স্থান ভ্রমনের কথা। তিনি যেন এক মহান ঞ্জানের ভান্ডার। আমরা জনাব জাকির নায়েকের কথা শুনতে যেমন পছন্দ করি, তেমনি গর্ব করি আমাদের এই মহান ব্যাক্তিটিকে নিয়ে আর তিনি হলেন আমার পরম শ্রদ্ধেয় ডঃ মারূফী খান।

তার বক্ত্যবের কিছু সারাংশ উল্লেখ করলাম:

তিনি বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, "জীবনকে উপভোগ করো, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত নয়।"

তিনি বলেন "ধর্ম কখনো মহান সৃষ্টকর্তাকে খন্ডিত করে না, অধর্ম মহান সৃষ্টকর্তাকে খন্ডিত করে"

তিনি বলেছেন, আমাদের পাথরের বা মাটির মুর্তিকে পূজো করার কথা, আমরা কেনোই বা একে এত শ্রদ্ধা ভক্তি করি, তিনি এক্ষেত্রে বলে বুঝিয়েছেন বিশ্বাস এর কথা। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ্ বা ইশ্বর সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান। তাই আমরা বিশ্বাস করে পাথরের বা মাটির মুর্তিকে জীবন্ত মনে করে পূজো দেই। তাঁর এ কথাগুলো আমাদের ভাবিয়ে তোলে, মন-প‌্রাণ যেন ভক্তিতে ভরে যায়। মনে হচ্ছিল্ল তার কাছে গিয়ে তার শিষ্যত্য গ্রহন করি।

জানিনা, আবার কবে তার কথা শোনার সৌভাগ্য হবে।

পরিশেষে, আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, প্রার্থনা করি তিনি দীর্ঘজীবি হউন, তিনি আমাদের মাঝে ঞ্জানের আলো ছড়িয়ে দিয়ে সারা জীবন বেঁচে থাকবেন।
১০টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×