রাজধানীতে সমাবেশ করতে গিয়ে আটক হতে হয়েছে সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকিসহ গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কয়েকজন নেতা-কর্মীকে।
Published : 22 May 2013, 01:26 PM
বুধবার বিকালে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে তাদেরসহ ১২ জনকে ধরে মিরপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তবে তিন ঘণ্টা পর সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়।
অনুমতি না নিয়ে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা সমাবেশ করতে চাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘ভুল’ স্বীকার করে মুচলেকা দেয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সরকার সম্প্রতি বলেছে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, নিরাপত্তাহীনতা কিংবা নাশকতার আশঙ্কা থাকলে সভা-সমাবেশের কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেবে না সরকার।
কার্যত সমাবেশ নিষিদ্ধের এই পদক্ষেপ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।
বাম মোর্চা বলছে, জোটের নেতা-কর্মীদের আটকের মধ্যদিয়ে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবেরই প্রকাশ ঘটেছে।
সাইফুল হক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং জোনায়েদ সাকি গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক।
তাদের সঙ্গে আটক করা হয়েছিলো- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আবু বকর রিপন, হারুনুর রশিদ মাহমুদ, বাসদের কিরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মাসুদ, সাদিক রেজা, মোর্শেদ জাহান মিথুন, পরিবহন শ্রমিক নেতা খায়ের, রঞ্জনকে।
“দুপুর আড়াইটার দিকে হঠাৎ করেই তারা বিকাল সাড়ে ৪টায় মিরপুর ১০ নম্বরে সড়কে পথসভা করবে বলে ঘোষণা করেন। এজন্য তারা পুলিশের কোনো ধরনের অনুমতি নেননি।”
নেতা-কর্মীদের আটকের নিন্দা জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বাম মোর্চার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্বালাও-পোড়াও-ভাংচুর-সহিংসতা বন্ধের অজুহাত তুলে সমাবেশ বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা মূলত জনগণের টুঁটি চেপে ধরারই অপতৎপরতা।”