somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই,চিরদিন কেন পাই না

০২ রা মে, ২০১০ রাত ১১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(ইদানিং 'হিমি'র বেশ নাম ডাক হয়েছে।সবাই ফোন করে 'হিমি'র খোঁজ খবর জানতে চায়।হাজার টা মেইল করে ।সেদিন লন্ডন থেকে একজন ফোন করে জানতে চাইলেন 'হিমি' কেমন আছে?আর তরুনী মেয়ে গুলো প্রথমে জানতে চায় আচ্ছা,'হিমি বলে কি কেউ সত্যি আছে?আর অনেকে জানতে চায় কতদিন হয়ে গেল কেন 'হিমি'কে নিয়ে কিছু লেখা হচ্ছে না?আমি কারো প্রশ্নের ঊওর দেই না,ছোট করে একটু হেসে দেই শুধু।)

এক আশ্চর্য সুন্দর মেয়ের নাম 'হিমি'।মনের ভেতর একসঙ্গে খেলা করে তার প্রকৃ্তির মতো সরলতা আবার জটিলতা ।আঁষাঢ় মাসের মেঘের মতো মনের আকাশে ভেসে বেড়ায় তার সাদা মেঘের ভেলা।হেমন্তে বয়ে আসে অচিন লোকের মাতাল হাওয়া।শীতে কুয়াশায়,শিশিরে শিশিরে সুক্ত হয়।
আমার আশে পাশে অদৃশ্য ভাবে সব সময় একজন থাকে।তার নাম 'হিমি'।তার অনেক ক্ষমতা।সে আমার সমস্ত দুঃখ কষ্ট নিমিষে ভুলিয়ে দিতে পারে।

হিমি'তোমার জন্য প্রবল তৃষ্ণা পুষে রেখেছিলাম বলেই কি তোমাকে পাবো না?আমি কি তোমাকে আনন্দ দিতে পারবো না কিংবা সুখ?কিসে একটি মানুষ সুখী হয়?বৃষ্টির রাতে হাত ধরাধরি করে,যখন আমরা এক সাথে ভিজব,তখন কি গভীর আবেগ তোমাকে এটুও আচ্ছন্ন করবে না?
'হিমি' বুকের মধ্যে এক ধরনের ব্যাথা হয়।তখন নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়।সে সময় একটি সুখকর স্পর্শের জন্য মন কাঁদে।কিন্তু তুমি দূরে দূরে রইলে!আহ্ তোমাকে কতদিন দেখি না!তোমার গোলগাল আদুরে মুখ।মাঝে মাঝে তোমার জন্য খুব কষ্ট হয়।ইচ্ছে হয় আবার নতুন করে শুরু করি।তাহলে ভুল গুলো শুধরে নিতে পারব।আমার-তোমার সম্পর্ক শেষ ভাবলে নিজেকে খুব তুচ্ছ ও সামান্য মনে হয়।তোমার দেয়া সামান্য আঘাত আমার জন্য তীব্র রুপ ধারন করে।'হিমি' তুমি-আমি বড় বেশী অভিমানী হয়ে জন্মেছি।'হিমি' ভালোবাসা ধরে রাখার ক্ষমতা হয়তো আমার নেই।আর হয়তো এ কারনেই আমি আজ বিচ্ছিন্ন।

"যে চলে যায় সে তো কভু,আসে না আর ফিরে
যে ছবি আঁকা হয়,সে কভু যায় না মুছে"।
মনে করো যেন আকাশ পেরিয়ে-সাগর ছাড়িয়ে
বহু দূরে ওই দিগন্তের ওপারে আমি তুমি।
দিগন্তের শেষে অন্যভুবন,অন্য জগৎ আদ্যন্ত ভালোবাসা।"

একদিন সকালে 'হিমি' আমাকে ফোন করে জানতে চায় বলতো "For God's sake,hold your tongue and let me love"এই কথাটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কোন লেখায় বলেছিলেন।
আমার খুব রাগ লাগলো।ঘুম থেকে তুলে এই রকম প্রশ্ন করার মানে কি?রাগ টা দমন করে হাসি মুখে বললাম।এই কথাটা রবীন্দ্রনাথ চুরি করেছেন।এবং তার শেষের কবিতা উপন্যাসে ব্যাবহার করেছেন।তার পর আমি "দোহাই তোদের এতোটুকু চুপ কর/ভালোবাসিবার দে মোরে অবসর' এই কথাটা বলেই ফোন কেটে দেই।

দুঃখ কেন পাবো মাঝে মাঝে ভাবি,হিমি।তোমার 'দেখা' আমার জন্য বয়ে এনেছিল তা দুঃখে-সুখে মেশা এক মিশ্র অনুভূতি।সারল্য ও সততার মূল্য তো আমি একাই দিচ্ছি না।কড়ি গোনাতে তুমিও তো আছো আমার সঙ্গে ,কি?পুরোপুরি তো আছো?তাছাড়া,তোমার সব বক্তব্যই শেষ হয়ে গেছে বলে আমি মনে করি না।সিদ্ধান্ত দুজনের এক সাথে নিতে হবে।আমি তো কোনো সম্পর্ক গড়ার জন্য তেমন তাড়া অনুভব করিনি।তার পরেও হঠাৎই তুমি এলে এবং আমার মনে হলো -কোনো অদৃশ্য সুখকারী দেবী'র দানেরই মতো,শ্রাবনের ঝঁড়ের ফুল অথবা ভুলেরই মতো।

আমার কোনো তাড়া ছিল না।কিন্তু সব কথা অকপটে আমাকে প্রথমবার জানানোর পর থেকেই তোমার খুব তাড়া ছিল।তবুও তোমার জন্য জানতে পেরেছি যে-কোন অন্তজগৎ এখন ও বেঁচে আছে এই পৃথিবীতে ,যে পৃথিবীতে 'হিমি' নামের একটি মেয়ে বাস করে,যার দু'চোখে কৌতুহল,যার অন্তরে নির্মল সততা,সুরুচি সম্পন্ন মানসিকাতা এবং সংবেদনশীলতা।'হিমি' আমি চাই সব সময় তোমারই জয় হোক।মনটা ভিষন খারাপ হয়ে আছে ।আমাকে একটি সুন্দর চিঠি দিবে।যে চিঠি পড়ে আমার মন ভালো হয়ে যাবে।

'হিমি' তোমাকে আমি ভালোবাসি।যেহেতু তুমি আমার কাছে কখনো ছিলে না,ইচ্ছে হলে যখন তখন তোমাকে দেখতে পেতাম না।চাইলে বা না চাইলেও কাছে পেতাম না।তাই তোমাকে আলাদা করে কিছু ভাবিনি।নিজের ছায়াকে তো মানুষ গুরুত্ব দেয় না।দিন দুপুরে ছায়াহীন মানুষের কষ্ট কি তা এখন বুজতে পারছি।
'হিমি' কে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।'হিমি' বলে কি কেউ আছে?হয়তো কেউ নেই।সবই মায়া।সব রহস্যের সমাধান আছে।একদিন সব রহস্য জানা হয়ে যাবে।সেই একদিন টা কবে?একদিন বিকেলে আমি ঘুমিয়ে আছি,তখন 'হিমি'আমার ঘরে এসে বালিশের নীচে একটা চিরকুট রেখে যায়।লিখেছিল- উওর পাড়া যাবা না/ভাজা পোড়া খাবা না/আমি যে কবিরাজ কাউরে কবা না।এই কথাটার মানে কি কে জানে!আজও বের করতে পারিনি।কিন্তু একটা জিনিস পেরেছি।একটা কবিতা লিখে ফেলেছি।

হিমি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাসছে।
কিন্তু কি নিরব সেই হাসি!
তার হাতে চায়ের কাপ।
হিমি'র চোখে নক্ষএ।
কিন্তু কি বিকট তার দীপ্তি!
হিমি'র ঠোটে চাঁদ।
কিন্তু চাঁদের মতো হিম নয়,
আগুনের মতো উওপ্ত।
নীল শাড়ি,সবুজ পাড় মাথার চুল খোলা
শঙ্গশাসা হাত
হিমি স্থির চোখে তাকিয়ে আছে।



(পৃথিবীতে অনেক নারী আছে,অনেক পুরুষ আছে।কিন্তু বিশেষ কোনো নারী,বিশেষ কোন পুরুষ কে প্রত্যাক্ষান করলে-দীর্ঘ পরিচয়ের পরেও সেই পুরুষের ব্যক্তিত্বে দারুন একটা আঘাত লাগে।)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×