somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিপু নাম্বার ওয়ান; পচাঁনিমুলক পোস্ট ;)

০১ লা মে, ২০১০ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
দিপু নামটা সুনলেই যে কথাটি প্রথম মাথায় আসে তা হচ্ছে দিপু নাম্বার টু। মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লিখা একটা জনপ্রিয় কিশোর উপন্যাস, যা আমার ভাল লাগা উপন্যাসগুলোর একটি। যাই হোক আজ যে দিপুর গল্প করব সে নম্বার টু না; নাম্বার ওয়ান!!
গোসল করা নিয়ে আমার একটা থিউরি আছে, ‘গরমের সময় দুপুরে গোসল না করে, সন্ধ্যায় গোসল করা। এতে একটা স্বিগ্ধ ভাব থাকে; লেখাপড়া ভাল হয়। :| (অবস্য শীতের সময় দুপুরেই গোসল করি :) ) আমার এই ব্যাপারটার সাথে অয়ত অনেকেই একমত হবেন, কিন্তু কেউ যদি বলে ‘Stable থাকলে গোসলের দরকার কি? তা শীত কাল হোক বা গরম কাল!!’ :|| তবে কি বলবেন? কিন্তু এই কথাটি বলে আমার দেখা most peculiar man, দিপু নাম্বার ওয়ান! এক রকম প্রচন্ড গরমের মাঝেও সে ১২/১৩ দিন গোসল না করে stable থাকে! X( এই stable থাকার রহস্য অবস্য নাম জানা না জানা কসমেটিক্স। আমার ধারনা সে যত ধরনের কসমেটিক্স use করে, খুব কমই মেয়ে আছে যে তার সাথে পাল্লা দেবে। :#)
কারো সাথে পরিচিত হবার তার একটা নিজস্ব স্টাইল আছে, ‘’I’m Depu, D for Dhaka.’’ :P তার বাড়ি যে ঢাকা তা গর্বের গর্বের সাথে ঘোসনা করে। আর আমরা বলি, “He is Depu, D for D-G-Tal & P for pagol!” ;)
দিপু ভায়ের সাথে আমার যে ব্যাপারটি নিয়ে তুলনা হয় তা হচ্ছে স্বাস্থ্য; দুজনাই টিন টিন টাইপের পাতলা। :( তারপরো তুলনা শুরু হলে আমার একটাই জবাব,‍ “গাধার সাথে আমার তুলনা করছেন! আমি কি এতটাই খারাপ হয়ে গেছি? ;) ” আমার এই মাইনাস ফিগারের রহস্য আমি মেসের খাবার খেতে পারি না; এত পচা লাগে। ভার্সিটতে ভর্তী হবার আগে মা আমাকে খাইয়ে দিত, তক মজা করে খেতাম; আর এখন। :( আমি মেসে খেতে পারি না আর দিপু ভাই মেসে (নিয়মিত) খায় না। সকালে ক্যাম্পাসে যাবার সময় একটা টাইগার তার ব্রেকফাস্ট, আর দুপুরে ঠিকমত খায় না কারন ক্যাম্পাসে ভাজা পোড়া খেয়ে আসে। খাওয়ার ব্যাপারে তার থিউরি হচ্ছে, “ দেহে এনার্জি পেলেই হল, তা এনার্জি ড্রিং থেকে হোক বা ভাত থেকে!“ :P
আমাদের দুর্ভাগ্য যে এপ্রিল মাসে মিল ম্যানেজার ছিল দিপু ভাই। সে মাছ খায় না (তার পুরো পরিবার নাকি মাছ খায় না) আর মাংস দিলে মিল রেট বেশি পড়ে যাবে, তাই মিলে ডিম দেয়া শুরু করল (তবু আবার আধা :( ) সে তো নিজে মেসে ঠিকমত খায় না, তাই তার কোন প্রব্লেম নেই; কিন্তু আমরা যারা মেসে খাই তাদেরতো অবস্থা খারাপ। মাসের মাঝ মাঝি এসে আমাদের কেলটু দা (রুশো ভাই, তাকে নিয়েও একটি পোস্ট দিব ভাবছি ;) ) খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন; বললেন, “সিজান যে হারে দিপু ডিম খাওয়াচ্ছে, শেষে টয়লেটে গিয়ে না আবার ডিম পাড়তে হয়! :P
এত কিছুর পর ডিম ম্যানেজার উপাধিটা দিপুর জন্য অবধারিত হয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা ডিম ম্যানেজার দিপুর জন্য সংবর্ধনার ব্যাবস্থা করলাম। বেলুন ফুলানো হবে, কিন্তু আমরাতো বড় হয়ে গেছি, তাই বেলুন না ফুলিয়ে কনডম ফুলানো হল। :) এই মহান দ্বায়িত্ব পালন করলেন সুজন ভাই। দিপু ভাই যখন মেসে ছিল না তখন সেটা তার দরজায় লাগিয়ে দেয়া হল (দিস ক্রেডিট গোজ টু মি), কেলটুদা সেখানে বেশ সংবর্ধনার বাণী লিখে দিলেন। দিপু ভাই রুমে ফিরে এই অবস্থা দেখে প্রথমে একটু লজ্জা :!> পেল, (ছবি উঠানোর সময় মুখ ঢাকার চেস্টা চলছে) কিন্তু প্রোগ্রাম শেষে বলল, “বেশ মজা হল ঘটনাটাতো গার্লফ্রেন্ডকে জানাতে হয়!” :-* এখন বুঝেন, আমরাতো আর এমনি বলি না, “হি ইজ দিপু, নাম্বার ওয়ান ডিজিটাল পাগল!” :-0
দিপু ভায়ের সংগীত প্রেম নিয়ে একটা ঘটনা না শেয়ার করলেই নয়, সে সব সময় কানে হেডফোন লাগিয়ে র্যাপ সংগীত শুনে। তার কাছে সেটাই সংগীত বাকি সব ভুয়া। ক্ল্যসিক্যাল সং নাকি একচুয়ালি সং না। :| কিছু বললেই বলে “রেপ সং কে ২০০২ এ সীকৃতি দেয়া হয়েছে, কিন্তু ক্ল্যাসিক্যাল সং, যে সং তার প্রমাণ কি?” X( X(( বুঝেন এবার! মাঝে মাঝে কেলটুদা এমনিই বলেন না, “দিপুর সাখে কথা বলা আর নিজের সম্মান নিয়ে টানা টানি করা একই কথা।“ :D



(চতুরে প্রকাশিত)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৬
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×