somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সত্য কথন তিক্ত বচন। সত্য জানা উচিৎ!

২৩ শে মে, ২০১৩ ভোর ৫:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গল্পোটা বিশ তারিখের, হ্যাঁ আমাকে সেটা গল্পোই বলতে হবে । কেনো বলছি সেটা জানা যাবে শেষের দিকে ।

বিশ তারিখ সন্ধার দিকে শুরু হয়েছিলো ঘটনাটা।
স্থানঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল ক্রসিং। প্রধান চিত্র সিনজি এর ভিতর।

পাত্র-পাত্রিঃ একজন মাস্টার্সে পড়ুয়া বড় আপু, তার ডিপার্টমেন্টে পড়ুয়া সেকন্ড ইয়ারের ছোট ভাই আর একজন যার বাবা ভার্সিটির চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী।

সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রটা বুথ থেকে টাকা তুলে ফিরছিলো। মানে ঘটনাটা ভার্সিটিতে আসার পথে। সিএনজির ভিতরে বসার পজিশনটা বলা দরকার, সেকন্ড ইয়ারের ছেলেটা বসে ছিলো একে বারে সাইডে তার পাশে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মোচারীর ছেলে বয়স আনুমানিক ছাব্বিশ কি সাতাশ। তার পাশে বড় আপু।

কেউ একজন বড় আপুর বুকে হাত দেয়। অবধারিতভাবে বড় আপু চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে । এক পর্যায়ে সিএনজি গতি কমায়, তিনি লাফিয়ে পড়েন ।
লোক জন জড় হয়। সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেটা ভেঁবাছ্যাঁকা খায়। তার পকেটে দশ হাজার টাকা এইটা একটা টেনশন, লোক জন জড় হচ্ছে ...।
ছেলেটা ধমকের সুরে বড় আপুকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে ।
বড় আপুটা তাকে জানায় অন্য যে ছেলেটা ছিলো সে তার বুকে হাত দিয়েছে। এই বলে তিনি সপ্তমস্বরে চেঁচাতে লাগলেন আবার , মূহহুর্তেই মানুষজন এসে লোকে লোকারন্য।
দুজন কেই আটক করে জনতা, নিয়ে আসা হয় ভার্সিটিতে পুলিশের কাছে সোপার্দ করে, মেয়েটা প্রক্টরের কাছে স্টেইটমেন্ট দেয় চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারীর ছেলেটা তার শ্লিলতার হানী ঘটায়(ছেলেটার একটা নাম দেয়া দরকার, সত্য নামই দেয়া উচিৎ, এই সব রাবিশ বর্বরদের সবাই চিনে রাখা দরকারঃ ছেলেটার নাম মুহাম্মদ আলী)। সাথে সেকন্ড ইয়ারের ছেলেটাকে বানায় সহযোগি।

কাহিনী এই পর্যন্ত এই ভাবে এগোল। তার পরের দিন মামলা হবে ।

রাতের মধ্যেই পরিবর্তন হয় হিসাব নিকাশ। কি রকম , সেকন্ড ইয়ারের ছেলেটা ভার্সিটিতে পলিটিক্স করে , কোন দল করে ? ছাত্রলীগ করে। ওঁকে! তাহলে হিসেব মিলানো সোজা। এইবার ফাঁসানো যাবে ছাত্র লীগ কে । তার পরের দিন মামলা করার সময় , মেয়ের স্বিকারুক্তি বদলে যায়, কি রকম? গত রাতে সে প্রক্টরের কাছে বলেছে “মুহাম্মদ আলী তার শ্লিলতার হানী ঘটিয়েছে , আর আজ মামলা করার সময়ে স্বিকারুক্তি দিয়েছে সহযোগিকে এক নাম্বার আসামী করে। বুঝা যাচ্ছে কিভাবে পোলিটিসাইড করা হচ্ছে বিষয়টাকে!
কারা করছে ? বাম ধারার দল গুলো। কিভাবে বুঝা গেলো তারাই করছে , তারা প্রকাশ্য ছাত্রিলীগের ছেলেটার বিরুদ্ধে জনমত গঠন করছে আর মেয়েটা যাদের স্বাক্ষি রেখে স্টেটমেন্ট দিয়েছে তারা ছাত্র ফন্টের পোস্টেট ফেইস!
তার পরে ? তো একনাম্বার আসামী করে দিলো মামলা ঠুকে , নিয়ে গেলো ছেলেটা কে জেলে। সাথে মুহাম্মদ আলী কে ।
সহযোগি কিভাবে একনাম্বার আসামী হয়? সেটাই তো প্রশ্ন। এর উদ্দেশ্য কি?
কেনো একটা নিরিহ ছেলে কে এই রকম জঘন্য বিষয়ে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দেয় হলো? রাজনীতি ! বাম ধারার দল গুলা ত ভালো শুনেছি! সেটা ভাই, বহু আগের কথার পুনরাবৃত্তি করছেন আপনি।
সব মাদার চুদ। দেখবেন মুখে খুব ফেনা তুলে ফেলছে আমেরিকার পুঁজিবাদীদের সমালোচনা করে , একটু অন্য মুডে জিজ্ঞেস করে দেইখেন তো ভাই বিদেশে যাইতে চাইলে কোন দেশ আপনার বেশি পছন্দ? বেটা দ্বিতীয়বার আর চিন্তা না করেই বলবে , আম্রিকা! মুহুর্তেই ভুলে যাবে শালে কমিউনিজমে বিশ্বাসি!
তারপরে? ছেলেটাকে আমি চিনি ভাই বুঝলেন, ভালো ছেলে, পড়ে সোসিওলজিতে কিন্তু মনটা পড়ে থাকে বাংলায়, লেখালেখি করে যেমনই লিখুক না কেনো, লিখে তো, বুঝলেন ভাই, যখনি দেখা হতো, দেশের কথা বলত, দেশ নিয়া ভাবতো। কেমন বিচ্ছিরি একটা ব্যপারে তারে রাজনীতির শিকার বানানো হলো!
তাকে কোর্টে চালান করে দিয়েছে । এই ঘটনার বিরুদ্ধে শনিবারে মানব বন্ধন হবে , হওয়া উচিৎ, আমি বলি। কিন্তু ভাই নির্দোষ ছেলেটার নাম বার বার উচ্চারণ করা হবে । ভার্সিটিতে ছেলেটা কে সবাই খুব অন্য চোখে দেখতো। বাউল টাইপ পোলা।
শনিবারের মানব বন্ধনে তার ভার্সিটি কেরিয়ার ধূলিসাৎ হয়ে যাবে ।
দেখলেন তো রাজনীতি কি ভাবে নিজের কাজে ব্যবহৃত হয়।
এই লেখার জন্য আমারে দিবো ছাত্রলীগের ট্যাগ! কি বাল হইবো আমার ! আমি ত জানি আমি কি!
তাদের ট্যাগ্রে আমি কি চুদি নাকি!
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×