অহোরাত্র তুই বন্ধুর খোঁজে -
চিকচিকে রোদ্দুর
মেখে নেবে দুই চোখ
তোর চোখে চেয়ে-
ঠিকানার হয়ে যা
সমুদ্র হয়ে যা
এক ফোঁটা মেয়ে !
দেহ-মন অনাত্মীয় হলে
চুরমার হয়ে যায়
প্রথাগত দিন
পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায় রাত,
কষ্টাবদ্ধ হৃৎপিণ্ডে থেমে যায় ধামনিক স্রোত;
বুলেট বোমার ভয়ে
জালিয়াত জাদুগর বলে বলে
অভিশাপ দিয়ে যায়
ঝলসানো রুটি হাতে মধ্যবিত্ত মন।
মরিয়া পানোৎসবে
তাই বন্ধুর খোঁজ চলে
সন্ধ্যারেখার কাছে ডুবে যায় চোখ
রাত্রিসময়ে চলে তারার জরিপ
স্নিগ্ধ ভোরের দিকে মুখ করে
সেরে নেই শুদ্ধ প্রণাম।
মুক্তিকামী মিছিলে যায়নি তো মিতাচারী আজ !
আড়ি পাত মেঘ, শুনে রাখ্
ছন্দবিয়োগ বোধ;
পুড়ে যাওয়া রাত, দেখ্ দগ্ধফসল
ছলাহতের জন্মবসতি দেখে যা।
উড়োচিঠি কোনোদিনও কোনোখানে
নেয়নি যে নির্জন ক্যাফে'র খবর
ফিরে এসে বারবার
ঘুরে গেছে জালিয়াত মেঘ,
অদূর আদর
আলাপী ঠোঁটের কাছে খুঁজে ফিরি
কিছু কিছু আপন আলাপ -
রুধিরাখ্য মালা
দোলরঙা দিন মেয়ে
বরষার বিজন মাদক;
বৃষ্টিই হয়ে যা
কোন এক সজল দেশের কাছে
রয়ে গেছে আমারই শমীশৈশব,
শোকবর্জিত রূপকথা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫০