somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ VS কানাডা

২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিরোনাম দেখেই সবাই হয়তো ভাবতে পারেন, ফুটবল অথবা ক্রিকেট খেলা বিষয়ক কোন লেখা লিখতে বসেছি। ব্যাপারটা আসলে তা নয়। এই লেখার মূল উদ্দেশ্য অন্য। উদ্দেশ্যটা বলছি। তার আগে জানিয়ে রাখছি, অনেক অনেক দিন পর প্রিয় সামহোয়্যারইন ব্লগে লিখছি। শত ব্যস্ততার মাঝেও বার বার ফিরে আসতে চাই প্রিয় সামুতে।

এবার লেখা প্রসঙ্গে আসি। আজ সকালে বাসে করে ডাউনটাউনে যেতে যেতে হঠাৎ মাথায় আসলো যে, এই যে কানাডায় আছি, এখানকার জীবন-যাত্রাসহ অনেক কিছুই ভালো লাগেনা আমার। এমন অনেক বিষয় আছে, যেগুলোতে বাংলাদেশের নিয়মকানুন-ই আমার কাছে হাজারগুণে ভালো। এই এলোমেলো চিন্তাগুলো থেকেই এ লেখার সূত্রপাত।

সুতরাং চলুন জীবনযাত্রা বিষয়ক এবং অন্যান্য সাম্প্রতিক প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বাংলাদেশ বনাম কানাডা এর তুলনামূলক চিত্রগুলো অবশ্যই আমার দৃষ্টিতে জেনে নেয়া যাক:

১. প্রথমেই আসবে ওয়েদার অর্থাৎ আবহাওয়ার কথা। কানাডার আবহাওয়ার মতো বিচিত্র কিছু পৃথিবীতে আছে বলে আমার বিশ্বাস নেই। সকালে হয়তো সুন্দর রোদ, দুপুরে বৃষ্টি, বিকালে ঠাণ্ডা আর রাতে হয়তো স্নো পড়ছে, মাইনাস ১০ বা ১৫ ডিগ্রী সে.। প্রতি ঘন্টায় আবহাওয়ার আপডেট রাখাটা যেন অত্যাবশ্যক। আর বাংলাদেশের আবহাওয়া? ডিসেম্বর-জানুয়ারির হালকা শীত ছাড়া সারাবছর মোটামুটি গরম থাকবে, এটা জেনেই ঘরের বাইরে বের হওয়া যায়।

২. এর পর যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে চাই, সেটা হয়তো অনেকেই পছন্দ করবেননা। ব্যাপারটা সিগারেট বিষয়ক। কানাডায় সবচাইতে কম দামী ২০ শলাকার সিগারেটের প্যাকেটেও দামও ৫ ডলার ১৫ সেন্ট। আমি পোডিয়াম-এর কথা বলছি। যদিও নেটিভদের কিছু সিগারেট সস্তায় পাওয়া যায় (যেমন, বি.বি/ডি.কে), কিন্তু সেগুলো মার্কেটে সহজলভ্য নয়, লুকিয়ে কেনা-বেচা হয়। এখানে খুচরা কোন সিগারেট বিক্রি হয়না। অথচ বাংলাদেশে? ইচ্ছে হলেই রাস্তার যেকোন টং দোকান থেকেই খুচরা বেনসন কিনে খেতে পারতাম। আহা! কি সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো!

৩. সিগারেটের মতোই এখানে রাস্তা-ঘাটে কোন টং দোকানে দুধ কিংবা কনডেন্স মিল্কের চা পাওয়াটা দুষ্কর। এখানে আছে টিম হরটন’স, সেকেণ্ড কাপ অথবা স্টার বাকসের কফির দোকান। বাংলাদেশের রাস্তার পাশের টং দোকানগুলোর মর্যাদা কানাডিয়ানরা বুঝতে পারলোনা। অনতিবিলম্বে কানাডার রাস্তাঘাটে টং দোকানে পান-চা এবং খুচরা সিগারেট বিক্রির ব্যবস্থা করা হোক - এই দাবী জানিয়ে গেলাম।



৪. প্রতিবছর অক্টোবর থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত প্রচণ্ড শীতে এখানকার সুন্দরী এবং আকর্ষণীয়া রমণীকূল শরীরে বেশ ভালোই কাপড় রাখেন। কিন্তু যেই শীত শেষে বসন্ত শুরু হলো, ওমনি রমণীকূলের শরীরের কাপড়ের সংখ্যা কমতে শুরু করলো (মুসলিম হিজাবী মহিলারা ব্যতীত)।
আর এখানকার মেয়েদেরকে আল্লাহপাক যেন নিজের হাতে বানিয়েছেন। একটার চেয়ে আরেকটা সুন্দর। কিন্তু এই যে তারা তাদের দেহ বল্লরীর সৌন্দর্য্য এভাবে খুল্লাম-খুল্লা দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন, এটা কি ঠিক? আমাদের বাংলাদেশের মা-বোনদের কথা তখন ভাবি (গুলশান-বনানীর ছোট কাপড় পরিহিতা রমণীকূল ব্যতীত)।
কত সুন্দর তারা পর্দা করে চলেন।



যদিও টরন্টো শহরের সাবওয়ে কিংবা রাস্তা-ঘাটে ছেলে-মেয়েদের অবর্ণনীয় কৃতকর্ম (পাঠককূল নিজ দায়িত্বে বুঝে নিবেন আশা করি) কম দেখা যায়, কিন্তু অন্যান্য শহরে সাবওয়ে ট্রেনের ভেতর কিংবা চিপা-চাপায় যুবক এবং যুবমহিলাদের যা চলে, তা আর নাই বা বলি। আল্লাহপাক এদের হেদায়েত করুন। আমিন। (’যুবতী’ শব্দটা না বলে ’যুবমহিলা’ শব্দটি লিখলাম, কেননা বি.টি.ভি-তে খবর পাঠক-পাঠিকারা যুবতীদের ’যুবমহিলা’ বলেন)



৫. কানাডায় ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়াটা একটা বড় বিষয়। ড্রাইভিং পরীক্ষার আগে লেসন নিয়ে, G1, G2, G টেস্ট দিয়ে পরীক্ষায় পাশ করে লাইসেন্স নিতে হয় যা অনেক কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার বলেই আমি মনে করি। তার উপরে এই লাইসেন্স বাবদ খরচের কথাতো আছেই। অথচ বাংলাদেশে কত আরামে ছিলাম। আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ৮-১০ বছর মোটর সাইকেল চালালো বিনা লাইসেন্সে। পুলিশ ধরলেই ১০০-২০০ টাকা ঘুষ দিয়ে ছাড়া পেয়ে যেতো। গাড়ির যে লাইসেন্সটা তুলেছিল সে, সেটাও ঘুষের টাকা দিয়ে তোলা। কত আরাম!

কানাডার ট্রাফিক আইন বড় কঠিন বিষয়রে ভাই। একটু এদিক-ওদিক অমান্য করলেই পুলিশের গাড়ি পেছন থেকে এসে খপ্ করে ধরে বিশাল অঙ্কের টিকিট ধরিয়ে দেবে। শুধু তাই না, অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী লাইসেন্সের পয়েন্ট কেটে নিতে পারে কিংবা লাইসেন্স বাতিল-ও করে দিতে পারে। আর পার্কিং? দু:খের কথা কি বলবোরে ভাই, বাংলাদেশে বড়ই আরামে ছিলাম। ইচ্ছা মতো পার্কিং করা যেত। যেন আমার শ্বশুড়ের রাস্তা, আমার ইচ্ছা মতো পার্কিং করবো, কার কি? আর এখানে? রাস্তা-ঘাটে পার্কিং করতে শুধু ডলার আর ডলার গুণতে হয়। পার্কিং ফি না দিয়ে চুরি করে গাড়ি পার্কিং করার আরেক হ্যাপা। পার্কিং পুলিশ ছোঁক ছোঁক করে। ধরতে পারলেই বিশাল অঙ্কের ফাইন করে দেবে। সেই ফাইন না দিয়ে পালাবে কোথায়?

৬. কানাডায় রিক্সা বা সি.এন.জি নেই কেন? এই প্রশ্ন জাতির বিবেকের কাছে করলাম আজ। ঢাকায় কি সুন্দর রিক্সার মেলা। জ্যামে জর্জরিত হলেও রিক্সায় বসে খোলা আকাশ দেখতে দেখতে গন্তব্যে যাওয়া যায়। আর সি.এন.জি ভাড়া করতে হলে সি.এন.জি ড্রাইভারদের পা ধরতে হলেও সি.এন.জির সবুজ রঙ কিন্তু দেখতে ভালোই লাগতো। আর এখানে? কি আর বলবোরে ভাই, টরন্টো শহরে আছে টিটিসি (টরন্টো ট্রানজিট কমিশন), মিসিসাগা শহরে আছে মাই-ওয়ে ট্রানজিট। এরকম এক এক শহরে এক এক ট্রানজিট দিয়ে রেখেছে কানাডা সরকার। তার মানে হলো যে শহরের ট্রানজিট ব্যবহার করবেন, সেই শহরের ট্রানজিটের ডলার গুণতে হবে। এমন না যে, মাত্র ২০-২৫ টাকা দিয়ে উত্তরা থেকে বাসে করে গুলিস্তান চলে গেলাম। আর কানাডার ট্যাক্সি ভাড়াতো নাই বা বললাম। শুধু এতটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের কালো বা ইয়েলো ট্যাক্সিক্যাবে ছিনতাই ভয় থাকলেও ট্যাক্সি ভাড়া অনেক অনেক কম।



৭. আমার দৃষ্টিতে পৃথিবীর খারাপ মানুষগুলোর মধ্যে র‌্যাঙ্কিং করলে সেখানে টরন্টো পুলিশ-ও থাকবে। কেন বলছি এ কথা জানেন? ট্র্যাফিক আইন অমান্য করলে এখানে পুলিশ নির্দয়ের মতো জরিমানা করে। কোন কথাই শুনতে চায়না। অথচ বাংলাদেশের সার্জন্টরা কত ভালো, অপরাধ করলেও নিজেদের মধ্যে ’আপোষ’ করে নিতে পারতাম!

আর এখানে ক্রাইম হলে কি হয়? টরন্টো পুলিশ চিরুণী দিয়ে আাঁচড়ানোর মতো করে নিমিষেই ক্রিমিনাল খুঁজে বের করে ফেলে। কত খারাপ! আর বাংলাদেশের সুযোগ্য ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ কিংবা পুলিশ ভাইরা বিডিআর হত্যা রহস্য, সাগর-রুণী হত্যাকাণ্ডসহ আরও কত হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলতে দীর্ঘ সময় নিয়ে গবেষণা করেন। এই ’গবেষণা’ বিষয়টা বাংলাদেশী পুলিশভাইরা টরন্টো পুলিশদের একটু শিখাতে পারেননা? আর বাংলাদেশের পুলিশ কিংবা থানা মানেই হলো টাকার লেনদেন। আর টাকার লেনদেন মানেই হলো সহজে ’কাজ’ হয়ে যাওয়া। টরন্টোসহ সমগ্র কানাডায় থানায় ডলারের লেনদেন কেন হয়না, এটা আমার বোধগম্য নয়।

৮. কানাডাতেও ফকির দেখেছি আমি। ’ফকির’ শব্দটা বলা ঠিক হবেনা হয়তো। কারণ এরা সাবওয়ে-তে গান গেয়ে, যন্ত্রানুসঙ্গিত বাজিয়ে টাকা উপার্জন করে। আর যারা নিতান্তই দরিদ্র এবং গান বাজনা জানেনা অথবা থাকার জায়গা নেই (হোমলেস) কিংবা ’বাম’, তারা হয়তোবা কালে-ভদ্রে আপনার কাছে এসে টাকা বা সিগারেট চাইতে পারে। অর্থাৎ এখানে ভিক্ষা দিতে চাইলেও সহজে আপনি সরাসরি ফকির-কে দিতে পারবেননা। কিন্তু বাংলাদেশ-ই ভালো ছিল। পথে-ঘাটে ফকির-মিসকিন। আপনার টাকা দিতে ইচ্ছে করলেই দেখবেন একসাথে কয়েকশত ভিক্ষা ব্যবসায়ী ভিক্ষুক মানুষ এসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ঝামেলা একেবারেই কম।

৯. কানাডার শহরগুলোর ভেতরে এরা গাছ-পালা দিয়ে নয়নাভিরাম পার্ক বানিয়ে রেখেছে। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো, কানাডিয়ানরা এখনো বাংলাদেশীদের থেকে শিখতে পারেনি কিভাবে পার্কের ভেতর উচ্চস্বরে গান বাজাতে হয় এবং শব্দ-দূষণ ছাড়াও পার্কে আবর্জনা ফেলে কিভাবে পার্ককে দূষিত করতে হয়। বাংলাদেশের পার্কের হকারদের মতো কাউকে এখানে খুঁজে পাওয়াটা দুষ্কর। এই বিষয়টা আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। কারণ, ঢাকা শহরের পার্কগুলোতে ছিনতাইকারীর ভয় থাকলেও হকার এবং গভীর রাতের নিশি পাখিদের উপদ্রব না থাকলে পার্কে বসে চা-পান-বিড়ি এবং বিনোদন কিভাবে মিলবে?



১০. কানাডার রাস্তাগুলোর প্যাঁচ আমি এখনও ধরতে পারিনা। রাস্তায় নামলে যেদিকে তাকাই শুধু ফ্লাইওভার আর ফ্লাইওভার। আমার প্রশ্ন এত ফ্লাইওভার বানানোর যৌক্তিকতা কি? কানাডিয়ানরা কি জানেনা যে, চট্রগ্রামের বহুল প্রত্যাশিত বহদ্দারহাটের ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙ্গে কত মানুষ মারা গেল? তারপরেও কানাডা সরকার এত এত ফ্লাইওভার কেন বানায়? এদের মনে কি ভয়-ডর বলে কোন কিছু নেই?

১১. আমার মনে প্রায়-ই একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায়, এই কানাডিয়ান জাতি কি ’হরতাল’-এর নাম শোনেনি? কি আজব এক জাতি, এখানে ক্ষমতায় যাবার জন্যে বাংলাদেশের মতো হরতাল করে দেশের ক্ষতি, গাড়ি ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ মারা - এগুলোর কিছুই হয়না! আশ্চর্যের বিষয়! বাংলাদেশের থেকে কত পিছিয়ে আছে কানাডিয়ানরা তা যদি তারা বুঝতো!

১২. সেদিন আমার এক কানাডিয়ান বন্ধু জ্যাক আমাকেতো বলেই বসলো, এই যে সাভারে রানা প্লাজায় এ্যাত মানুষ তোমাদের মারা গেল, সরকারপ্রধান ক্রিমিনালদের ব্যাপারে কিংবা উদ্ধার কাজে কি ব্যবস্থা নিয়েছে? উত্তরে গর্বের সাথে তাকে আমি বললাম, আমাদের সরকার প্রধান এবং তার মন্ত্রীরা নিজেদের দলের লোকজনদের বড়ই ভালোবাসেন। এখানে মানুষ মারা যাওয়াটা মুখ্য বিষয় নয়, মুখ্য বিষয় হলো কে কার ওপরে দোষ চাপিয়ে পার পেতে পারে এবং নিজের দলের লোককে সেভ করে সরকারের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে পারে -- বিবেচ্য বিষয় সেটাই। কানাডার কোন মন্ত্রী কবে সেটা করতে পেরেছে? আর কিছুদিন যেতে দাও, আবার নতুন ঘটনা আসবে, নির্বাচনের মওসুম আসবে, বাংলাদেশের হতভাগ্য ইমোশনাল মানুষজন আরও বড় চোরদেরকে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় বসাবে। নির্বাচনের উত্তাপে রানা প্লাজার নিরীহ মানুষগুলোর মৃতদেহ নিয়ে কারও মাথা ব্যাথাই থাকবেনা।

১৩. কানাডায় ’কালো বিড়াল’ আছে কিনা, সেটা জানার সুযোগ এখনও হয়নি। আমাদের বাংলাদেশ-ই ভালো। কালো বিড়াল থলে থেকে বের হয়ে এলেও দপ্তরবিহীন মন্ত্রীত্বতো কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি! আর পদ্মা সেতু নিয়ে কানাডা সরকার যা করছে, সুযোগ থাকলে তার বিরোধিতা করতাম। না হয় একটু ’লেনদেন’ হলোই বা। এত বড় একটা সেতু করতে বড় মানুষদেরকেতো খুশী রাখতেই হয়। এ নিয়ে এত মাতামাতির কি আছে?

আর আমাদের সরকারের মদদপুষ্ট সংবাদমাধ্যমগুলোকেও ধন্যবাদ জানাই আমি। খুব বেশিদিন কোন খবরের ফলোআপ না থাকলে এমনিতেই মানুষ ভুলে যায় সবকিছু। নিত্যনতুন খবর দিয়ে মানুষজনের মন অন্য দিকে সরিয়ে বাংলাদেশীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার মতো মহান কাজ তারা করে যাচ্ছেন অবিরত।

*******************

শেষ করছি আমার সেই বোকার হদ্দ কানাডিয়ান বন্ধু জ্যাকের কথা দিয়ে। সেদিন হঠাৎ-ই সে আমাকে প্রশ্ন করে বসলো, তোমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মুখে দুর্নীতিবিরোধী কথা বলেন, অথচ তার বর্তমান মন্ত্রীসভাতেইতো দুর্নীতিগ্রস্ত চোর-বাটপারদের আখরা!
উত্তরে আমি তাকে সাবধান করে দিয়ে বললাম, আমাদের বর্তমান সরকারপ্রধানের কতগুলো ডিগ্রী আছে তুমি জান? জ্যাক একটু অবাক হয়ে বললো, না জানিনা। আমি তখন তাকে তার চোখে আঙ্গুল দিয়ে জানালাম, আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বুঝে শুনে কথা বলবে, বুঝলে? কেননা তিনি অনেকগুলো ডিগ্রীর অধিকারী! বোকার হদ্দ জ্যাক কি বলে জানেন? বলে যে, পদ্মাসেতুর দুর্নীতি বিষয়ে সিবিসি নিউজের সাক্ষাতকারে যেভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি তার পরিবার এবং মন্ত্রীদের দুর্নীতি বিষয়ক প্রশ্ন করা হয়েছে, সেখানে নাকি মানসিকভাবে অসুস্থ বাংলাদেশের নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী ’লিসেন’ ’লিসেন’ করতে করতে কোন উত্তরই ঠিক ভাবে দিতে পারেননি।

আমিও জ্যাকের কথার উত্তর না দিয়ে মাথা নিচু করে ওর সামনে থেকে চলে এলাম।

বি.দ্র: ছবিগুলো ইন্টারন্টে থেকে সংগৃহীত
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুরোনো ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেই নতুন ধর্মের জন্ম

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×