somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কা ফের সিরিজের শেষ কবিতা

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কালের পরিধি বিস্তার করে অস্তিত্বে
নাস্তিতেও ঠিক থাকে তার উপস্থিতি
জীবনের কাছে জড় ও অজড় অনড়
যোগ ও বিয়োগের মাঝে লিঙ বদলের খেলা।

ভাঙ্গেনা কিছুই যার স্বীকৃত শখ
নিত্য অনিত্য মুদ্রার ভাষা
হাওয়ার গতিতে বদলাবে তালের চরিত
কাক ময়ূর কিংবা মিঠাপানির নাচ।

কথারা দেয়না কিছুই
ছিলছিলা বদল করে স্বদল বলে
এরই মাঝে দুয়েকটা প্রানীর কন্ঠ
নলের ভেতর দিয়ে ধাবমান গনিত।

নাম ও নমে যাওয়ার ইতিহাস হাসে
পাখার তল থেকে উঁকি দেয় গোপালের মুখ
চার পায়ের ওপর খাড়া হয়ে দাড়ায় দাবার গুটি
শুকনো মৌশুমে প্রজাপতি দক্ষিনা পায়।

মানুষের আগেও থাকে আরেক বলয়
সংখ্যার ভিড়ে তত্ত্বের তুরি
মুখ আটকানো বাক্যের শ্রবণ ক্ষমতা
মাতাপিতাহীন ঝুলন্ত মৌচাক।

চলমান স্থিরতা দাবী অহেতুক নয়
হেতু গোপন ও প্রকাশ্যে তৎপর
জাহের বাতেনে আমি নেই যেন জাহ্নবী
খড় কুটোর ভেতর পাখির আশ্রম।

ওঁরাও সাম্রাজ্য মজে ছিলো ধ্যানে
দু'পুরে রাত নামে একই নাম ধরে
ধারার বাহিকতা কাতরায় লজ্জার উঠান
প্রতির প্রত্যাখ্যানে চিঠি আসে প্রেরক সমিপে।

পিতা পলায়ন করে কার আগে পরে?
মাতামুহুরি বরাবর মাতা ও মুহুরি
স্তন্য পান উন্মুক্ত হবে না এবার
কলির উনুনে জ্বলে শুক্কুরবার।

ফেরা হবেনা আর পাকস্থলির কাছে
ঘরের ভেতর ঘর কাছাকাছি কাছারি
জন্ম মানেই যুবক যুবতী যৌবন বার্ধক্য নয়
দু'টি চোখ কেবল মৃত্যুর আগের ঘটনা দেখে।

তবুও তাবুর ভেতর গতিশীল পইঙখার ডানা
ওড়াউড়ি হলেও হাল পায় না পাখা
বাতাস পেলে পাল সটান দাড়ায় দরিয়া
কোনো তলেই তালহারা হবে না ফরিয়া।

ঋতুমুখী ফল ফলাও করে বীজোৎসব
বৃক্ষের শরীরে রাবোর পোশাক পুরোহিত
জ্ঞান অজ্ঞান মিলে মেলা বসে বাৎসরিক
গুনের ঘরে বৃদ্দ্বি পেলো বেগুনের নীলগতি।

মতিবিভ্রম পুরুষ বেকার নিরাকার
ফকিরের গানে গহিন তন্তুর জাল
তারহীন একতারা মানে বিধবা বিশ্ব
শুকনো খালের ওপর মিছামিছি সাঁকো সংযোগ।

জুড়াবে কন্ঠ যখন আমার নামই ইতিহাস
সমাপ্তির রঙগুলো উৎরিয়ে যাবে পশ্চিমে
বাক বদলের নির্দেশিকা থাকুক তোলা আসমানে
বর্ষার আরেক নাম বিষমাখা সুঁচ।

নকশি কাঁথায় বাঁধা আঙুলের অতীত
বাল্যকাল ব্যাক্তির বক্তব্যে প্রকাশ
বাক্য গঠিত থাকে হাওয়ার গতিতে
ব্যাক্ত মিলেয়ে যাবে ভবিষৎ পাশাপাশি।

বনের ভেতর শ্রাবণ ও বোন
ইন্দন যোগাবে জ্বালাতে আগুন জলে
কাঠে কাঠ ঠোকরায় নিখুঁত
বর্ণমালা ঝুলে আছে ত্রিশন্কুর মতো।

নানা নামে জলের ঘনত্ব প্রকাশ
ভাব ভকতি ভগবত অবনত নোকতা সমেত
সোমত্ত অক্ষরগুলো দাড়িয়ে আছে বাক্যের শেষে
দাড়াবার জায়গা দখল করা মৃত্যু ফলক।

পালক ডিঙ্গিয়ে যাই পালকির কাছে
অচেনা অসুর প্রকাশিত রাশিচক্র
নিজস্ব বৃত্তে বৃদ্দ্বি ও বিলয় মাকড়সা
কবে থেকে আমাদের নাম হবে মরুভূমি?

ভূমি মানে গোলের গেরস্থালি
আবৃত রেখার ভেতর কাজল কানন গড়ে
জলের সাথে অবিরত মৎসের বিরোধ
খাবার টেবিলে যার পরিনতি অনশন।

উধাও দরিয়ার দরদ,দরদী বকুল
জীবনের দাম দরদে বুঝি বলে ঝরে পড়ি
পাড়াপড়শি তখন স্বপ্নের পুকুরে বড়শি ফেলে
জারুলের কোন প্রতিবেশী নেই ।

কৃষ্ন কি শেকড়ে না চূড়ায় চূড়ান্ত খেলা দেখায়
উভয়ের ভেতর লাল নেই আছে লীলা
রাধা কেবল মধ্যের মাজার হবে
পতঙের মিছিলে দ'য়েকটা অঙ্গ কি খ'সে গেল?

আকর্ষণ করো শ্বব্দ স্পর্শ রূপ রস গন্ধে
কর্ষণ করে ফলাও তোমার ফলাফল
আকার প্রাপ্ত অস্তিত্বের আবহাওয়া জলবায়ু
নিজেকে নিরাকার করার আগে সন্তানদেরও নিরাকার করো।

অসম সমস্ত দিন রাত হয়
বাড়ী ফেরে অসমাপ্ত কাজের ক্ষুধা
তুমি অব্যাহত থেকে যাও অধরা দিবালোকে
অথর্ব্ব বেদের কান্ডকারখানা অবৈদিক।

দিকে দিকে কান্না শেখায় শখ
রাধাচূড়া চূড়ান্ত খেলা দেখাবে আজ
রক্তের বদলে রক্তিম ফুলের তোড়া তাড়া করে
তোমাকে আমাকে পৌঁছে দিলে কৃষ্নের দ্বারে।

হাওয়ারা পাল্টিয়ে দিলো দেহের তাপ
মাত্রা মেপে কবিরাজ রাজা হলো
হওয়া বা না হওয়ার ইতিহাস নবীন
বিনীত প্রত্যাখ্যান করি সৃস্টির উপাখ্যান।
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×