বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনের প্রাথমিক যুগে বহুজাতিক কোম্পানীর বাইরে বাংলাদেশ বিমানের বিজ্ঞাপনগুলো ছিলো রুচিশীল ও সৃজনশীলতায় ঋদ্ধ। যেমন-আকাশে শান্তির নীড়, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী।
আজকালকার পৃথিবীতে ক্রিকেট ম্যাচের আকৃতি দেখে বিমানের পৃথিবী ছোট হয়ে আসার কথাই মনে পড়ে গেলো। এখনকার আইসিসি'র পূর্বসূরী ছিলো এমসিসি (মেরিলিবন ক্রিকেট ক্লাব)। তাদের প্রাথমিক আইনে ৩/৪ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়া টেস্ট ম্যাচের জন্য দিন সংখ্যা নির্ধারিত ছিলো না। উভয় দল দুই ইনিংস করে খেলতে যতো দিন লাগতো ততোদিন খেলা চলতো। এরপর সেটা ৫ দিনে স্থির করা হয়।
সত্তরের দশকে আসে একদিনের ম্যাচ। শুরুতে একদিনের ম্যাচের প্রতি ক্রিকেট বোদ্ধাদের মনোভাব নেতিবাচক ছিলো। প্লেয়াররাও ভালো চোখে দেখেননি। কিন্ত বহুল বিতর্কিত কেরি প্যাকার ( চ্যানেল নাইনের মালিক) সিরিজের পর ক্রিকেটে অর্থপ্রাপ্তি শুরু হলে এর প্রতি ক্রিটোরদের মনোভাব বদলাতে শুরু করে। এখন একদিনের ম্যাচ সর্বজনগ্রাহ্য।
এরপর হংকংয়ে সিক্স এ সাইড একটা ক্রিকেট চালু হয়েছিলো। সেটা এখনো কল্বে পায়নি।
কিন্তু টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট এসে অল্পদিনে ভালোই ঠাঁই করে নিলো। সোজা বিশ্বকাপই চালু হয়ে গেলো। দু'খানা আসর হয়ে গিয়ে তৃতীয়টি চলে এসেছে হাতের কাছে। সাথে আছে আইপিএল উন্মাদনা। তার ছাপ পড়েছে বাংলাদেশে। শুরু হয়েছে পিসিএল (পোর্ট সিটি ক্রিকেট লীগ) দিয়ে। দেখতে দেখতে পিসিএল-এর দু'টি আসর হয়ে গেলো। বিসিবিও মাঠে নামলো এনসিএল নিয়ে। প্রথম আসর শেষ হয়ে এসেছে। শুধু ফাইনাল বাকী। মাঝে হয়ে গেলো বিগবস টি-টুয়েন্টি লীগ।
শুরু হয়েছিলো অনির্দিষ্ট দিন দিয়ে। এখন সেটা কমে এক বেলার সমান (কম বেশী ৩ ঘণ্টা) হয়েছে।
এরপর কোথায় নেমে আসবে ক্রিকেট ম্যাচের আয়তন ? সেদিন এক কমেন্টেটর বলছিলেন, এক সময় হয়তো ''টি-টেন'' (দল প্রতি ১০ ওভার) শুরু হবে।
আপনাদের কী মনে হয় ? এমপি-থ্রি, এমপি-ফোর, উইনজিপ জেনারেশনের হাতে এটা অসম্ভব মনে হচ্ছে না। অসম্ভব মনে হচ্ছে না এমনকি ফাইভ-ফাইভ ক্রিকেটও ( দলপ্রতি ৫ ওভার)। আসলেই ছোট হয়ে আসছে ক্রিকেট পৃথিবী।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১০