সরকারি ব্যয়-সংকোচ ও সংস্কারের মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে ইউরোপ তার ঘর সামলাবার চেষ্টা করলেও চরম বেকারত্ব ও মন্দার মতো সমস্যার ফলে মানুষের মনে অসন্তোষ বাড়ছেই। গতকাল বুধবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ইউরোপে বেশ কিছুদিন ধরে অনেক সংকট বিচ্ছিন্নভাবে আলোচিত হচ্ছে। গতকাল ব্রাসেলস-এ একদিনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন শীর্ষ সম্মেলনে সেগুলি নিয়ে সার্বিক আলোচনা হয়। তবে আলোচনায় বিশেষ প্রাধান্য পায় চরম বেকারত্ব ও ইউরো এলাকায় মন্দার আশঙ্কা।
আপাতত গোটা এলাকায় বেকারদের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ।
তাছাড়া প্রায় ১৮ মাস ধরে মন্দা চলছে, যা একটা রেকর্ড। মোটকথা তাত্ত্বিক আলোচনার বাইরে দ্রুত এমন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চাপ বাড়ছে, যাতে এখনই কর্মসংস্থান বাড়ে, অর্থনীতি চাঙ্গা হতে শুরু করে। ধৈর্যের বাধ ভেঙে পড়ার মুখে।
জার্মানিতে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো জন্মহার কমছে, আর বাড়ছে প্রবীণদের সংখ্যা।

ইটালির বিশাল ঋণভার, স্পেনের উপর বাড়তি নজরদারির প্রয়োজন, সেøাভেনিয়ার জন্য বেলআউটের মতো বিষয়ও ইউরোপীয় নেতাদের ভাবাচ্ছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে ব্রিটেন গণভোটের মাধ্যমে ইইউ’র সদস্য থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তার আগে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ব্রিটেনের জন্য আরও ছাড় আদায় করার চেষ্টা করে চলেছেন।
তবে এমন চাপের মুখে বাজেট ঘাটতি কমানো বা সংস্কারের গতি কমে যাবে, এমন সম্ভাবনা মোটেই দেখা যাচ্ছে না। তবে এই ধরনের পদক্ষেপের সুফল যাতে দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে, তার জন্য কী কী করা প্রয়োজন, সেই বিষয়টি বাড়তি গুরুত দেয় হচ্ছে। জার্মান অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে এ ক্ষেত্রে ইইউ প্রতিষ্ঠানগুলির সুত্র