খবরের পাতা উল্টাতেই
চোখ পড়ল এক কিশোরীর মুখের উপর
বুকের ভেতরটা কেমন কেঁপে উঠল ,
তার বোবা চাহনিতে একোন কষ্ঠের আর্তি ?
হাত দুটি বাঁধা লোহার শিকলে
বুকের মাঝে কান্নার স্তুপ
প্রকাশের ব্যাথায় মুহ্যমান
পৈশাচিকতার নির্মম শিকার সে
চোখ দুটিই এর জলন্ত সাক্ষী
কিন্ত্ মুখের ভাষা অনড়
অস্ত্রের মুখে জিম্মি প্রতিটি অব্যক্ত উচ্চারণ ।
কিশোরীর এলো চুলে হয়ত কোন-
নষ্ট হাতের থাবা পড়েছে ।
আগ্নেয়গিরির বুকের জ্বালা যেমন অগ্নুৎপাতে ঘটে,
যেমন করে বের করে দেয় যন্ত্রনার স্তুপগুলি
তেমনি চিত্রকরও কি দেখেছে
সেই কিশোরীর কষ্টের পুন্ঞ্জিভূত স্তুপের নির্গমন?
এ কিশোরী শৃংখলিত সময়ের হাতে বন্দী
নিষ্ঠুর পিশাচ কোন শোষকের বেড়াজালে,
যুদ্ধের এ কেমন নিয়ম?
মানুষ খেকো মানুষের সব
শুধু খুঁজে তাজা প্রাণ
আর তারা অত্যাচারের নতুন ধারার
সর্ব্বোচ্চ মাপকাঠি খোঁজে
যাতে করে তিলে তিলে নিঃশেষিত হয়
তার হাতে বন্দীর প্রানটি
এ কেমন যুদ্ধ মানবের?
হত্যা আর ধ্বংসের মাঝেই কি মিলে সমাধান?
যুক্তিতে নয় , বুদ্ধিতে নয়
বিবেকের এ কেমন ক্ষয় ?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:৪৯