বালিকা জানেনা তার দুঃখের সীমানা কতদূর!
সুঁচের এফোড় ওফোড় কেড়ে নেয় তার জন্মাবধি দুঃখ-বিলাস।
বালিকা কি জানে তার দুঃখের জড়োয়া নিয়ে ইতিহাস হয়,
বিপ্লব হয়
তার ঘামের দামে প্রাসাদের শীততাপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের চাকা সচল থাকে
তার দেশ আয় করে বৈদেশিক মুদ্রার মত উচ্চমানের মুদ্রা
ডলার পাউন্ড আর ইউরো...
বালিকার কষ্টের দাম মিঠে না ভিনদেশী মুদ্রায়
মাস শেষের দিনগুলোয় বালিকা তাই অনাহারী হয়
তার দুঃখবোধের কাছে পরাজিত সকল প্রাসাদ, অট্রালিকা
বালিকা অভিমানে কাঁদে না হয়তো, কান্না তাকে মানায় না বলে
চোখের জলে যদি দুঃখ চলে যায় তবে বালিকা কান্নাবতীই হত
জন্মাবধি...চিরটাকাল...