এই মাত্র ফিরলাম হলে,বিশাল যানজট পেরিয়ে।মিরপুর ১১ থেকে আজিমপুর আসতে সময় লাগলো পাক্কা ২ ঘণ্টা,তাও আমি রওনা দিছি রাত ৮:১৫ আর পৌছালাম ১০:১৫।মিরপুর রোড ও সারা ঢাকায় যানজটে যে ভয়াবহ অবনতি তাতে আমার কিছু পরামর্শঃ
দ্রুত ভিত্তিতে যা করা যায়ঃ
১)সারা ঢাকা শহরের মেইন রোড থেকে রিকশা দূর করতে হবে।
২)দোতলা বাসের(ভলভো বা ভালো মানের যাতে জনগণ চড়ে,অশোক লেল্যান্ড না)সংখ্যা অনেক বাড়াতে হবে।অনেক।
৩)নিউমার্কেট সংলগ্ন এলাকায় ও ঢাকার অন্যান্য এলাকায় সবগুলো মার্কেটের নিচের তলায় দোকান রাখা চলবে না।সেখানে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে।গাড়ি পার্কিং এর স্থান ছাড়া এরা মার্কেট বানানোর অনুমতি পায় কি করে তা বুঝি না।
৪)ভি,ভি,আই,পি(প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির) চলাচলে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করতে হবে।তারা ও আমরা সবাই নিরাপদ থাকলাম!!!
এগুলো খুব দ্রূতই করা যাবে যদি সরকার আন্তরিক হয়।১ মাসের ভেতরই...
মধ্যমেয়াদে করা যায়ঃ
৫)ঢাকার আশেপাশে ট্রেনের ব্যবস্থা করা যাতে ঢাকার উপর মানুষের চাপ কিছুটা কমে।
৬)কিছু অধিদপ্তর ঢাকার বাইরে সরানোর ব্যবস্থা করা।
এগুলো করা যাবে ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে
দীর্ঘমেয়াদের জন্যঃ
৭)ঢাকায় অবস্থিত সব কলকারখানা ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।তেজগাও শিল্পাঞ্চল,বিভিন্ন এলাকায়(মিরপুর,শেওড়াপাড়ায়) গড়ে ওঠা গার্মেণ্টস ইন্ডাস্ট্রি,পুরনো ঢাকায় গড়ে উঠা ক্ষুদ্র শিল্পাঞ্চল ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।এককথায় ঢাকায় কোন কলকারখানা থাকবে না।কেবলমাত্র আবাসিক নগরী হবে।এতে যেমন ঢাকার উপর জনসংখ্যার চাপ কমবে তেমনিভাবে দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
৮)নিম্নোক্ত মন্ত্রনালয় এসব এলাকায় নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।সবগুলো মন্ত্রনালয় ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের আওতায় আনা যেতে পারে যাতে আন্তঃমন্ত্রনালয় যোগাযোগে কোন সমস্যা না হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম--চট্টগ্রাম
নৌবাহিনী সদর--চট্টগ্রাম
বস্ত্র ও পাট---খুলনা
মৎস্য---বরিশাল
পেট্রোবাংলা---সিলেট
কৃষি---রাজশাহী
বন ও পরিবেশ---খুলনা
নৌপরিবহন---চট্টগ্রাম
এতে দেশের সব অঞ্চলেই উন্নয়ন ও স্থানীয় লোকজনের উন্নয়ন ও হবে।আর কোন মন্ত্রনালয়ের সাথে সরাসরি সম্প্রীক্ত লোকজনের সর্বোচ্চ সুবিধাও নিশ্চিত করা যাবে।
এগুলো ৩-৫ বছরে করা সম্ভব।
এই ছিল আমার ২ ঘণ্টার থিসিস!!!