আমি কিছুতেই মেঘ হবোনা
হে মেঘবতী, তুমি আমাকে মেঘ হতে বলোনা- আমি কিছুতেই মেঘ হবোনা। মেঘ মানেইতো বৃষ্টি আর বৃষ্টি মানেই কান্না। আমি কান্না সইতে পারিনা, তুমি আমাকে কিছুতেই মেঘ হতে বলোনা। শরতের নীলাকাশ যতই দিক হাতছানি, আমি থামবোনা। তোমার পায়ের চিহ্ন দেখে দেখে হেঁটে যাবো দূর থেকে বহুদূর, খুঁজে নেবো কোন শ্যামল বৃক্ষের ছায়া, যেখানে তোমার মায়া জড়িয়ে আছে। আমি তোমাকে রেখে দেবো সবুজের সীমানায়। আমি পাহাড়ের কোলজুড়ে হয়ে রবো সজীব ফসিল। তবুও এই মাটি ও পাহাড় ছেড়ে আমি কখনোই দেশান্তরী হবোনা। আমি কিছুতেই মেঘ হবোনা।
সূর্যের প্রখর তাপে আমি একটুও কাতর হবোনা। গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে আমি মোটেও তৃষ্ণার্ত হবোনা। এই দেহ জ্বলে যায় যাক, আকাশে যদি মেঘের সামিয়ানা না’ও থাকে- তবু আমি মানবজমিনে বইয়ে দেবো ভালবাসার ফল্গুধারা। সেই ভালবাসায় তোমায় সিঞ্চিত করবো এক জনমের মগ্ন তপস্যায়। তবুও, কিছুতেই আমি মেঘ হবোনা।
আকাশ ভেঙ্গে যদি আসে ঝড়, আসে কালবৈশাখী কিংবা সিডোর, যদি আসে প্রচন্ড জলোচ্ছাস আমি একটুও ভীত হবোনা। ঝড়ের প্রলয়-তান্ডবে যদি সবকিছু দুমড়ে মুচড়ে যায় যাক, পাল্টে যাক পৃথিবীর রূপ-আমি বিদ্ধস্ত জনপদে গড়ে তুলবো নতুন বসতি। তোমার আশ্রয় ছেড়ে আমি কোথাও যাবোনা- আমি কিছুতেই মেঘ হবোনা।
যদি আঁধারে ঢাকে এই পৃথিবী, যদি আকাশজুড়ে কোন তারা না’ও জ্বলে, যদি পাহাড়ের আড়ালে লুকায় রূপালী চাঁদ- আমি ঝর্ণার জলে পা ফেলে ফেলে খুঁজে নেবো তোমাকে, ডানকানা মাছের পিছু পিছু ঠিক পৌঁছে যাবো তোমার কাছে। তুমি অবাক হয়ে তাকিয়ে বলবে, “কোথায় পেলে আমার ঠিকানা”? আমি জলের স্রোত দেখিয়ে বলবো ওইতো আমার পথের ঠিকানা। আমি মেঘ হয়ে ছুটবোনা।
যদি শ্রাবণের রাতে মনে পড়ে আমায়, যদি আকাশের কান্না আর কিছুতেই না থামে, তবে নিজের চোখের জলটুকু ছুঁয়ে দেখো- তাতে মেঘের ছোঁয়া থাকবেনা। রাতের শিশির হয়ে আমি ছুঁয়ে যাবো তোমাকে, তুমি কান্না ভুলে যাবে। আকাশের সব মেঘ নিমিষে হারিয়ে যাবে। তাইতো- আমি কিছুতেই মেঘ হবোনা।
যদি আকাশের কোল জুড়ে দেখো রঙধনুর উল্লাস, যদি মেঘ এসে হোলি খেলে যায় তোমার ভাবনার দিগন্তে। আমি মনের উঠোনে দাঁড়িয়ে তোমাকেই হাতছানি দিয়ে ডাকবো। সমুদ্রের লোনাজলে মনের কষ্টগুলো ভাসিয়ে দেবো কোন এক অজানা বন্দরে। তুমি গাঙচিল হয়ে ছুঁয়ে যাবে আমার মনের তট। আমি ভালবাসার ঢেউ ছড়িয়ে দেবো নির্জন উপকূলে। তবুও তুমি মেঘে মেঘে আমায় খুঁজোনা- আমি কিছুতেই মেঘ হবোনা।
(অনেকদিন আগে ব্লগার সহেলী'র একটা কবিতার সূত্র ধরে লেখা)
ছবিসূত্রঃ নিজের তোলা ছবির সংগ্রহ থেকে।
আলোচিত ব্লগ
আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।
আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার
মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের
আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন
ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান
উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!
এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন