somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্যার ওয়েস্টার্ণ মিলন [এ মিনি রিসার্চ]

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


স্যার ওয়েস্টার্ন মিলন-কে আপনারা অনেকে হয়তো চেনেন। কিংবদন্তি মিউজিসিয়ান 'স্ল্যাশ' যার কাছে অনুপ্রাণিত হয়ে মিউজিকে হাত দিয়েছেন। এর আগে পান্না ভাই, ঘাসফুল আপু সহ আরো কয়েকজন ব্লগার যার প্রতিভার কথা আপনাদের জানিয়েছেন। আজ আমি স্যারের একজন নগন্য ভক্ত হিসাবে স্যার এর মহাত্ম বর্ণনা করবো।

প্রথমে স্যারের দুই-একটা গানের ভিডিও দেখা যাক:



নিচের গানটার মিউজিক কম্পোজিশন ও সুর দিয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই জন বিশিষ্ট ব্যান্ড সিন্গার জেমস ও বিপ্লব(প্রমিথিউজ)।



টেম্পো রিমিক্স:




এখন আসল আলোচনায় আসা যাক। প্রথমে আলোচনা করা যাক মিলনোলজি নিয়ে ..

মিলোনলজি হলো বিজ্ঞানের একটা শাখা যেখানে সাধারণত স্যার ওয়েস্টার্ণ মিলন এবং তার লাইফস্টাইল সম্পর্কে পড়ানো হয়। মিলনোলজি সম্পর্কে এক দার্শনিক বলেন, "কোনকিছু সম্পর্কে কিছুই না জেনে তা করার বৃথা চেষ্টাকে মিলনোলজি বলে।" মিলনোলজিতে স্যার ওয়েস্টার্ণ মিলনের প্রতি আসক্ত মানুষদের মিলনো-হলিক এবং তার ফ্যানদেরকে মিলনেটস্‌ বলা হয়।

মিলনোলজি শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞানের একটা শাখা না বরং এটাকে এক প্রকার বিশ্বাস এর সাথে তুলনা করা হয়। যদিও আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান ও দূর্বল মস্তিস্ক নিয়ে মিলনোলজিকাল বিশ্বাস এর সম্পূর্ণ বোঝার সামর্থ্য হয় নাই তবে এ বিষয়ের একজন ক্ষুদ্র রিসার্চার হিসেবে আমি বলতে পারি যে, এই শতাব্দিতে স্যারের মতো এমন প্রতিভা দ্বিতীয় কেউ নাই।

স্যার ওয়েস্টার্ণ মিলনের পোষাক সচেতনতাও দেখার মতো। তার গানে তার অপরূপ সুন্দর পোষাকের সাথে পিংক কালারের সানগ্লাসের যে কম্বিনেশন তাতে করে ব্রাড পিটকেও স্যারের পাশে সত্যিই নস্যি মনে হবে।

এবার স্যারের কনফিডেন্স নিয়ে আলোচনা করা যাক। কলিকালের এ যুগে পৃথিবী যখন ধংশের মুখে তখন স্যার ওয়েস্টার্ণ মিলন তার দৃঢ় সংকল্প ও সাধনার মাঝে আমাদের মিউজিকে নিয়ে এসেছেন এক নতুন বিপ্লব। যারা কোনদিন সাহস করে গান গাইতে পারেন না, গান গাইতে গেলে যাদের বুক কাঁপে ও গলা শুকিয়ে যায়, স্যার তাদের জন্য এক আদর্শ। শুঢুমাত্র গিটার হাতে নিলেই যে গিটারিস্ট হওয়া যায় না- এ প্রজন্মকে সেটা বোঝানোর জন্য স্যার নিজ হাতে গিটার তুলে নিয়ে তা থেকে ডিস্‌টরশন বের করে বুঝিয়েছেন।

স্যারের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গবেষণা করে আমরা দেখতে পাই যে স্যারের প্রাক্তন প্রেমিকার নাম মৌরি। তার গাওয়া প্রথম অ্যালবাম "এই নগরে"-তে মৌরি নিয়ে দুইটা গান গেয়ে তিনি তার প্রাক্তন প্রেমিকার প্রতি ভালোবাসা আমাদেরকে বুঝিয়েছেন। ১৯৯৫ সালের ১৬ই জুন স্যারের প্রেমিকা স্যারকে ছেড়ে চলে যায়(স্যারের গান অনুসারে)। তারপরেও তিনি এই ২০০৯-১০ সালে ১৪-১৫ বছর পরেও তার প্রেমিকার প্রতি অশেষ ভালোবাসায় "মৌরি" শিরোনামে ২ টি গান রচনা করেন এবং তা আমাদের সাধারণ দর্শকদের কাছে পৌঁছিয়ে দেন। আমি বুকে বামহাত রেখে বলতে পারি, ১৫ বছর ধরে এই ওয়ান-সাইটেড সত্যিকারের ভালোবাসার আর একটা দৃষ্টান্তও এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

স্যারের "মৌরি" নিয়ে গাওয়া গানদুইটার লিংক আপনাদের জন্য নিচে দেওয়া হলো:

Mouri-1

Mouri-2

ধিক্কার এই মৌরিকে যে আমাদের স্যারের এই সরল মনটাকে নিয়ে খেলা করেছে। স্যার(মতান্তরে ষাড়) এর সাথে ফোনালাপে জানা যায় যে, মৌরি এখন অন্য একজনকে বিয়ে করে ইংল্যান্ড প্রবাসী। আর স্যারের নগন্য শীর্ষ হিসেবে আমরা "স্যার ওয়েস্টার্ণ মিলন এক্সট্রিমিস্ট গ্রুপ" এর পক্ষ থেকে ২০১০ সালের ১৬ই জুন(১৫ বছরের শোক পালন উপলক্ষে) একটা "ওয়েস্টার্ণ মিলাদ"-এর আয়োজন করেছি। আপনারা সবাই পর্যাপ্ত পরিমান টিস্যু পেপার(স্যারের শোকে চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে) নিয়ে আমন্ত্রিত।


স্যার ওয়েস্টার্ন মিলন সম্পর্কে অজানা ৩টা তথ্য:

১। স্যার ওয়েস্টার্ণ মিলন ইংলিশ ছাড়া পৃথিবীর সকল ভাষা জানেন (পশুপাখিদের ভাষা সহ)।
২। স্টিভেন টেলর এবং স্ল্যাশ এর মতো রকস্টাররা স্যার ওয়েস্টার্ণ মিলন এর কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন এবং তারা স্যারের মতো সুঠাম স্বাস্থ ধরে চেষ্টা করছেন।
৩। প্রাচীন সময়ে স্যার ওয়েস্টার্ণ মিলনের গানগুলো এতো সুরেলা ছিলো যে তিনি যখন গান গাইতেন তখন আকাশ থেকে বৃষ্টি নামতো। কিন্তু স্যারের মহত্ব ও ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে কোথাকার কোন "তানসেন" স্যারের এই ক্রেডিট চুরি করেছে। তারপরেও আজকাল স্যারের গান এতটাই সুমধুর হয়েছে যে স্যারের গান শুনামাত্র আমাদের চোখ দিয়ে বৃষ্টি পড়ে।



জানি আপনারা কেউ এরকম গাইতে পারবেন না তবুও স্যারের গান যদি কেউ গিটারে প্রাকটিস করতে চান তবে তাদের জন্য স্যারের গানের গিটার ট্যাব নিচে দেওয়া হলো-

গানের নাম: "গিটার হাতে ......"

বসে আছি ........
Am Em Am Em
বন্ধুরা কেউ আসে নি .....
Dm G Dm Emajor
আ: আ: আ:
Am Em


গানের নাম: "মৌরি"

ইনট্রো:
Em................. D...... Em
মৌরি মৌরি মৌরি, তুমি গেছো চলে ......

ভার্স-১:
Em .......................Am........................ G
মাই ডিয়ার মৌরি, তুমি তো গেছো চলে, আমায় কিছু না বলে .....
...............D .............C.... Em
তোমার আমার শেষ দেখা নাইন্টি ফাইভ সিক্সটিন জুনে .....

ভার্স-২:
Em ......................................G
ভালো বাসতে গেয়ে চুরি করেছি মায়ের গয়না ....
............D....................... Em
প্রেম-প্রীতি ভালোবাসা জাত-চুরি সয়না .....
Em .............D
ওগো কাল নাগিনী, তোমায় আমি ভূলিনি (২)

[পরবর্তী ভার্স সেম থাকবে]

**** বিশেষ দ্রষ্টব্য: উপরের দেওয়া গিটার ট্যাব-এ গিটারের কর্ড চেন্জ না হলে করার কিছু নাই ...... স্যারের গান বলে কথা।


স্যারের গানের নেক্সট স্টেজ পারফর্মের জন্য আমরা এক মডেল খুঁজে পয়েছি। দেখেনতো, পছন্দ হয় কিনা ...




ফেসবুকে স্যারের ফ্রেন্ডক্লাবে জয়েন করুন (এখন পর্যন্ত ৭৯৯ জন মেম্বার):
Western Milon Friends Club

স্যারকে সত্যিকারের ভালোবাসলে ফেসবুকে স্যারের এক্সট্রিমিস্ট গ্রুপে জয়েন করুন (এখন পর্যন্ত ৫২৭ জন মেম্বার):
SIR Western Milon Extremists Group

স্যার ওয়েস্টার্ণ মিলন সহ বাংলাদেশের সকল এক্সট্রিম ট্যালেন্টদের সকল ভিডিও দেখতে জয়েন করুন নিচের গ্রুপে [আমার বানানো গ্রুপ B-)] (এখন পর্যন্ত ২০৪ জন মেম্বার):
Extreme Talents


পোষ্টটা পড়ার জন্য স্যার ওয়েস্টার্ণ মিলনের পক্ষ থেকে আপনাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা।
৩৫টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×