Published : 23 May 2013, 04:27 PM
আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভেদ সংলাপের মধ্য দিয়ে কেটে যাবে বলে আশা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্যে তিনি এই আশার কথা জানান।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের ফলে আগামী নির্বাচন মহাজোট সরকারের অধীনে হবে। তবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না দাবি করে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে।
দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের পরস্পরবিরোধী এই অবস্থানে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কার মধ্যে এই মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতাকে সংলাপের আহ্বান জানান।
এরপর বিএনপি বলে, নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিলেই তার রূপরেখা নিয়ে সংলাপ হতে পারে।
“নির্বাচন সাংবিধানিকভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। আর তা শান্তিপূর্ণ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্যও হবে,” বলেন তিনি।
রাজধানীর রাজমনি ঈশাখাঁ হোটেলে ‘সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক ওই সেমিনার হয়, যাতে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও-কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে আওয়ামী লীগ নেতা দীপু মনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধেও তিনি ছিলেন সোচ্চার।
বর্তমান সরকারের অবস্থানও সব ধরনের সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে, বলেন তিনি।
সেমিনারে নেপাল পিস অ্যান্ড সলিডারিটি কাউন্সিলের সদস্য জ্ঞানেন্দ্র বাহাদুর শ্রেষ্ঠা বলেন, সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাই সমাজ ধ্বংসের মূল কারণ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এস এন বেরা বলেন, সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা এখন নতুন রূপ নিয়ে বিশ্বে আবর্তিত হচ্ছে।
এই ‘নয়া সাম্রাজ্যবাদের’ হুমকি মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম এ কাশেম বলেন, “চীন, ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ আঞ্চলিক দেশগুলোকে পরস্পর সহযোগিতার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদীদের প্রতিহত করতে হবে।”
শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, “সাম্রাজ্যবাদীরা সাপ হয়ে দংশন করে আবার ওঝা হয়ে ঝাড়ে। তারা আফগানিস্তানে তালেবান তৈরি করেছে আবার তাদেরকেই প্রতিহত করতে জঙ্গী বলে হামলা করেছে।”
সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু বলেন, “ইসরাইল ও আমেরিকার মতো সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে আমাদের এ অঞ্চলের দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার বিকল্প নেই।”
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব শান্তি পরিষদের নির্বাহী সম্পাদক ইরাকলিস সাভদারিদিস।