সংবাদটা কিছুটা হলেও স্বস্তির, কিন্তু স্বস্তি পেলাম না। কারণ, খুব স্পষ্টভাবেই লেখা আছে "দুই ঘণ্টা পর পর দুই ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের বদলে এখন থেকে এক ঘণ্টা পর পর এক ঘণ্টা করে অর্থাৎ আগের নিয়মেই লোডশেডিং হবে।" অনেকের কাছেই মনে হতে পারে যাক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আসলে কিন্তু কিছুই হয়নি। যেই নরকে ছিলাম সেই নরকেই আছি আমরা সবাই। বাংলাদেশের মানুষকে একটু ঘোলাপানি খাওয়াতেই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন যাতে পরবর্তীতে "একই অবস্থায়" ফিরিয়ে নেওয়া হলে কিছুদিনের জন্য শান্ত থাকি আমরা।
হবেও ঠিক তা-ই। এখনই সবাই বলতে শুরু করেছে "যাক, একটু হলেও শান্তি পেলাম।" আসলে যে আগের অবস্থায়ই রয়েছি আমরা সবাই, তা বুঝতে আপামর জনসাধারণের কিছুদিন সময় হয়তো লাগবে। ঠিক সেটাই সরকারের প্ল্যান। দেখা যাবে এভাবে পাঁচ বছর কাটিয়ে দেয়া হবে। তারপর পরবর্তী নির্বাচনের সময় বাহানা দেখানো হবে আমরা তো উন্নয়নের কাজে এখনও হাতই দিতে পারিনি।
খারাপ লাগে যখন দেখি সরকার যাদের ভোটে জয়ী হলো তাদের সঙ্গেই চালবাজি করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৪৫