somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুরে এলাম সুন্দরবন

০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন।আমরা বন্ধুরা কয়েকজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম সুন্দরবন ঘুরতে যাব।লেখক নিজে ও তার বন্ধুরা নয়ন,সুলতান,হানিফ,মাসুম,সুজন এবং আমাদের সবার ছোট ভাই ইমরান এই ব্যাপারে খুব উৎসাহি ছিলাম।আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না কবে আমরা যাত্রা শুরু করব।নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমরা ডিসেম্বরের ৬ তারিখে সকাল ৬.৫০ এর কপোতাক্ষ ধরে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।রাজশাহী থেকে খুলনার যাতায়াতের সবচেয়ে উত্তম পথ রেলপথ।রাজশাহী থেকে খুলনার ট্রেন ভাড়া মাত্র ১২৫ টাকা।আমদের যাত্রার দিন খুব কুয়াশা ছিল।এতই কুয়াশা ছিল যে আমরা পাকশি সেতুর উপর থেকে সামান্য দূরের লালন শাহ সেতু দেখতে পারছিলাম না।খুলনা ট্রেন থেকে নেমেই খুলনা জাহাজ ঘাটে আমরা লাইটার জাহাজ দেখতে পাচ্ছিলাম।এর আগে আমরা কখনো জাহাজ দেখিনি তাই আমরা জাহাজ দেখে টপাটপ ছবি তুলতে লাগলাম।খুলনা শহর খুব উন্নত শহর কিন্তু এর রাস্তাঘাটের অবস্থা খুব খারাপ।খুলানার পথে পথে আমরা অনেক বড় বড় বিল্ডিং দেখতে পেলাম যা খুলনার অর্থনৈতিক অবস্থার পরিচয় দিচ্ছিল।আমরা সেদিনিই খুলনা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে মংলার উদ্দেশ্য রওনা দিই;উদ্দেশ্য দিনে দিনে মংলায় পৌছে যাওয়া।খুলনা থেকে মংলার বাস ভাড়া মাত্র ৪৭ টাকা।সময় লাগে দেড় ঘন্টা।মংলাতে বাস থেকে নেমে নদী পার হয়ে মূল মংলা শহরে যেতে হয়।মংলা শহরের দুটি অংশ,একটি মংলা ই পি জেঢ ও অপরটি মংলা মূল শহর।মংলাতে থাকার মত বেশ ভাল কিছু হোটেল আছে ভাড়া ১৫০ থেকে ৫০০ টাকার মত।আমরা এরকমই একটি মানসম্মত হোটেলে উঠলাম।আমদের মধ্যে নয়ন এর আগেও মংলাতে এসেছে তাই সে জানত কিভাবে সুন্দরবনে যাবার ব্যাবস্থা করতে হয়।আমরা তার কথা অনুযায়ী সেদিন সন্ধ্যা বেলাতেই একটা ছোটখট ট্রলার ভাড়া করে নিই।একটা বিষয় লোক্ষণীয় সবাই সুন্দরবনে বলে করমজল নামে যে জায়গাতে যায় তাকে সুন্দরবন না বলে একটা ছোটখাট পার্ক বলা যেতে পারে তাই কেউ যদি সুন্দরবনে যেতে চায় তবে তাকে এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে।আমরা আগে থেকে জানতাম তাই আমরা ট্রালার মালিকের সাথে দফারফা করে নিলাম যে আমরা একেবারে সুন্দরবনের ভিতরে যাব।ভাড়া ঠিক হল ২০০০ টাকা।পরেরদিন আমরা সুন্দরবনের দিকে যাত্রা শুরু করলাম।আমরা যতই সুন্দরবনের কাছাকাছি পৌছতে লাগলাম ততই আমরা উত্তেজিত বোধ করতে লাগলাম।প্রায় এক ঘন্টা পরে আমরা পৌছে গেলাম পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে।সুন্দরবনের ভিতরে ঢুকতে গেলে করমজলে সরকারি অনুমতি নিতে হয়।সুন্দরবনে ঢুকার খরচ খুব বেশি।নান খাতে টাকা দিতে হয়।সরকার যদি এই খরচটা কমায় তবে আরও পর্যটকের সমাগম হবে।আমরা সুন্দরবনের একেবারে ভিতিরের দিকে ঢূকে গিয়েছিলাম।সুন্দরবনের ভিতর দিক দিয়ে ছোট ছোট খাল ভিতর দিকে চলে গিয়েছে।এ রকমই একটি খাল দিয়ে আমরা সুন্দরবনের ভিতরের দিকে ঢুকে গেলাম,আমরা শুধু বিভিন্ন রকম পাখি দেখতে পাচ্ছিলাম কিন্তু বানর,হরিন এসব দেখতে পাচ্ছিলাম না।অবশ্য আমরা বাঘ দেখার আশা করিনি কেননা আমরা যে অঞ্চলে গিয়েছিলাম সে অঞ্চলে বাঘ থাকেনা।বাঘ থাকে কটকা হিরণ পয়েন্ট,দুবলার চর প্রভৃতি অঞ্চলে।একটূ পোরে আমরা বানর দেখতে পেলাম।আমদের দিনে দিনে ফিরে আসার চিন্তা থাকায় আমরা সন্ধ্যার মধ্যে মংলায় ফিরে আসি।আমরা সবায় উপলব্ধি করতে পারছিলাম সুন্দরবনের মত বড় বন একদিনে দেখা সম্ভব না।আমরা চিন্তা করেছি আমরা আবারও সুন্দরবনে যাব।মংলা থেকে ফিরে আমরা বাগেরহাটের দিকে যাত্রা শুরু করি।মংলা থেকে বাগেরহাট পর্যন্ত সরাসরি কোন বাস না থাকার জন্য আমরা কাটাকাটি ভাবে বাগেরহাট শহরে পৌছালাম।খান জাহান আলীর পবিত্র ভূমি বাগেরহাট।মংলারমত বাগেরহাটেও ভাল মানের হোটেল আছে।বাগেরহাট শহরটা খুব ছোট।বাগেরহাট শহরে দেখারমত আছে পি সি কলেজ,রামকৃষ্ণ মন্দির,ভৈরব নদীর তীর।আমরা এর সবই দেখলাম।শহরটা খূব ছোট বিধায় রিক্ষায় করে সমস্ত শহর ঘুরে দেখা যায়।বাগেরহাটে আরও দেখারমত ষাটগুম্বজ মসজিদ ও খান জাহান আলীর মাজার আছে।ষাটগুম্বজ মসজিদ দেখার মত একটা জায়গা।আমরা ভেবে অবাক হচ্ছিলাম বহু বছর আগে কিভাবে পাথর দিয়ে এই মসজিদটা তৈরি করেছিল।এরপর আমরা খুলনা শহর ও বেনাপোল দেখে রাজশাহী এর উদ্দেশ্যে রওনা দিই।

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ড্রেনেই পাওয়া যাচ্ছে সংসারের তাবৎ জিনিস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০



ঢাকার ড্রেইনে বা খালে কী পাওয়া যায়? এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) একটি অভুতপূর্ব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। তাতে ঢাকাবাসীদের রুচিবোধ অথবা পরিচ্ছন্নতাবোধ বড় বিষয় ছিল না। বড় বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×