মতিঝিল থেকে ফিরছিলাম। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম। আমার অটো রিক্সার চালক ভাইয়ের সাথে কথা বলেই তাই সময় পার করার একটা চেষ্টা চালালাম। কোথায় থাকা হয় জানতে চাইলেই বললেন জুরাইন থাকেন। আমার ছোট বেলা কেটেছে পূর্ব জুরাইনে। অনেক ছোট ছিলাম বলে ঠিক লোকেশনটা চালক ভাইকে বোঝাতে পারছিলাম না।
পরে আমার বর্ননা শুনে আর নিজের সৃতি শক্তিকে ব্যবহার করে আমার ছোটবেলার বাসস্থানটি বের করলেন আর বললেন আমি যে জুরাইন দেখে এসেছি আর এখনকার জুরাইন এক না।
আমি থাকতাম মেডিকেল রোড এ । নোয়াখালির বাড়ি বলে পরিচিত একটা বাড়িতে। বাসার মালিকের তিন ছেলে। পলাশ, জুয়েল আর কামাল। কামাল আমার সাথে পড়ত। আমি পড়তাম ডলফিন কিন্ডার গার্ডেন নামের একটা স্কুলে। আমার শিক্ষা জীবনের দ্বিতীয় স্কুল। শীত কিন্বা গরম সব মাসেই আমাদের ইউনির্ফম ছিল একটা খাকি কালারের হাফ পেন্ট আর খাকি কালারের একটা শার্ট। আমার কেন জানি মনে হয় আমার সময় পড়া লেখাটা খুব একটা বিরক্তি কর ব্যাপার ছিল না। মজাই লাগত বলে এখন মনে পরছে । অবশ্য বয়স কম ছিল বলে মজা কিন্বা বেমজা কোনটাই বুঝতাম না।
আমার তখন সকালের পিটি খুব ভাল লাগত। বোধহয় এটা অনেক ভোরে হত বলে। কারন পরবর্তী পর্যায়ে এটা আমার অত্যন্ত বিরক্তি কর কাজ ছিল।
আমার ক্লাশ টিচার ছিলেন জান্নাতুল ফেরদাউস ম্যাডাম। ওনার নামটা যে একটা বেহেশতের নাম এটা ওনার কাছ থেকেই জানা। ম্যাডামের বাসা আমার বাসার পাশেই ছিল বলে আমাকে বেশ আদরই করতেন।
প্রচন্ড সুন্দরী ছিলেন ম্যাডাম। বোধহয় এই কারনে ম্যাডাম এখনো সৌন্দর্যের একক আমার কাছে।