আমি আগামী তিনদিন মোটেই দৌড়ের উপরে নেই, হাতে ধীরে ধীরে ফুরন্ত সময় আর তাই দুইটা স্ট্রবেরী দই, দুইটা বিস্কিটের প্যাকেট আর তিনটা কোকের ক্যান নিয়ে ( সারা দিনের খাওয়া-দাওয়া দেখছেন কত জোস!) কম্পিউটারের সামনে বসছি। এইটাই একটা হয়েছে বিড়াট জ্বালা। কাজের সময় হায় হায় করি কখন ছুটি হবে, আর কাজ না থাকলে খেয়ে-দেয়ে কোন কাজ পাইনা।
হুট করে ফেসবুকও বন্ধ করে দিয়েছি। আই মিস য়্যূউ মা ফেসবুকি! আবার কবে রি-একটিভেট করবো-ঠিক নাই। এক সপ্তাহের জন্য অফ রাখবো ভেবেছিলাম, কিন্তু মনে হচ্ছে আরো বেশীদিন ডিএকটিভেট থাকবে এবার। এইটা ব্যাপারনা।ব্যাপার হলো ফেসবুক থাকলে সময়গুলা সাফল্যের সাথে নষ্ট করতে পারতাম, এখন তা্রও উপায় নেই। রিসেন্ট সব মুভীও দেখে ফেলছি।
হাউটু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন মুভিটা ভাল করে নাই, খারাপও করে নাই।গত-বাধা সিন-সিনারি তারপরেও দেখতে পারেন। তবে ফর্রেষ্ট গাম্প মুভীটা ভাল। টম হ্যাঙ্সএর। ১৯৯৪ সালের মনে হয়। মন উদাস উদাস করে দেয়। তবে চরম মজা পেয়েছি সিইজ আউট অফ মাই লিগ মুভীটা দেখে। পারলে এইটা দেখেন।
এপ্রিলে ফুল হবো না হবো না করেও হয়ে গেলাম।কাহিনী হলো সময় হুট করে এক ঘন্টা আবার পিছিয়ে দিয়েছে।কাজে যাবার জন্য বাস স্যান্ডে গিয়েই ধরা। এক ঘন্টারও বেশী বসে থেকে একটা ট্যাক্সি নিয়ে গেলাম কাজে। ট্যাক্সি ভাড়া দেবার সময় ফাজিল ট্যাক্সি ড্রাইভার বলে আর দুইটা মিনিট বেশী ওয়েট করলে বাস পাইতে। সময় যে এক ঘন্টা পিছায় দিছে, খোজ রাখোনা? আমি বল্লাম, তুমার উচিত ছিলো এইটা আমাকে আগে বলা।এইভাবে আমারেতো তুমি ফুল বানাইতে পারোনা! ট্যাক্সি ড্রাইভার মিচকি হেসে বলে এপ্রিল মাসে দুই-চারবার ফুল হওয়া ব্যাপার না। কি আর করা! ব্যাপার না।
ইষ্টারের বন্ধ পুরা এলাকা ধরে, আর আমাদের দোকান খোলা। রাগে মুখ কট মট করে দোকানে ঢুকতেই বস তিনটা ইষ্টার এগ হাতে ধরায়ে দিল। আমিতো পুরা অবাক! ডিম আবার লাল হয় ক্যামনে! বসকে বল্লাম, বস্, বস্ আমি জীবনে মোটামুটি আজিব চিজ দেখছি, কিন্তু লাল ডিম কখোনোই দেখি নাই। এই ডিমগুলা কি মুরগীতে পাড়ছে? বস হাসতে হাসতে বলে, আমি রঙ করছি। এখন যা করতে হবে তা হলো একটা ডিম হাতে নিয়ে অন্য একজনের হাতে ধরা আরেকটা ডিমে ধাক্কা দিতে হবে।যারটা ভাঙবে, সে হারবে। এমনে তিনটা ভিতর যার বেশী ডিম আস্ত থাকবে, সে জিতবে। আমি এইটা শুনে, তিনটা ডিমই সাথে সাথে ভেঙ্গে খাওয়া শুরু করে দিলাম। বস হায় হায় করতে করতে জিজ্ঞাসা করলো গেম খেলবা না? আমি ডিম খেতে খেতে বাংলায় বললাম, তোমার গেমের খেতা পুড়ি।
ধুর ভাল্লাগেনা! সময় নষ্ট করে পড়ছেন এই জন্য থাঙ্কু। ব্যাপারনা। নিচে ইষ্টার এগ্গুলা কেমন ছিল একটা ছবি দিলাম
আলোচিত ব্লগ
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।
সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন