পাতা পড়লো কাল উপর থেকে। দুলতে দুলতে। আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম যথারীতি। মনের ভিতরে কে ডাকলো আমায়।
অনেক গভীর থেকে। ও....হে.......................।
থমকে দাঁড়াই। পথিক আমি। এ আমার পরিচিত পথ। পরিচিত কী ? সকাল বিকেলের চেনা গাছটা আমাকে ঠিক কি বলল ?
বাতাসে কার্বন আধিক্যে স্বজাতির ওষ্ঠাগত প্রাণ, শিকড়ে পর্যাপ্ত পানির অভাব, এগিয়ে আসা মরুময়তা না কি আমার মতো ভাববান্ধবদের বিরুপতা আর ইতরতার কথা সে শোনালো আমায় ?
কিছুই জানি না আমি। বুঝতে পারিনি কিছুই।
না কী কিছুই বলে নি বৃক্ষসখা ?
সখা সে তো অবশ্যই আমার। কিন্তু আমি কী ?
বন্ধু ? স্বজন ? পরিচিত ? কি জানি। বুঝতে পারিনা। নিশ্চিত নই।
সাত সকালে পাতা পড়ল উপর থেকে। কিছুই বুঝতে পারিনা।
একটা হালকা হাওয়া। উঁহু, কিছুই বুঝিনা। দীর্ঘ দিবস রজনীর প্রলম্বিত সহবাস-
সম্পর্ক কতটুকু এগোল আমাদের ? না কী এগোয় নি একদম ? ঠিক প্রথমবারের সংগমের মতই বুক ঢিব ঢিব, শঙ্কাকুল। প্রতিটি আগামী মুহুর্ত ঠিক সেই সময়ের মতো। খাদক ও খাদ্যের, শোষক ও শোষিতের, উপকারী আর কৃতঘ্নের, বিজয়ী আর বিজিতের। আমি কিছুই জানি না। সত্য স্বীকার অথবা অস্বীকারের সৎ সাহসটুকু আছে কি না, কথাটা মনে আসতেই চুপিসারে হেঁটে যাই গন্তব্যে। আরও একটা পাতা পড়ে। সে পাতা মাড়িয়েই....................
৩০/০৩/১০