somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইলেক্ট্রনিক্স মেলা কঠিন: বিশ্বাস না হইলে পইড়া দেখেন!-ধূসর গাংচিলের পোস্ট পইড়া এক্সাপায়ারড হইলাম!

৩১ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধূসর গাংচিলের এক পোস্ট দেইখা স্বপ্নে দেখলাম, ধারাবাহিক স্বপ্ন!

প্রিয় ভাই আমার আর বোইন আপনের!

জ্ঞান জিনিস খান ব্যাপক সরস মাগার বিজ্ঞান জিনিসখান ব্যাপক নিরস, ইহা বলিয়াছিলো আমারি এক স্কুলমেট, যদিও সে ম্যাট্রিক ফেল কইরা স্মাগলিং কইরা ঢাকায় পাজেরো হাকায় আর আমি মাগনা বোলগাই! যাই হোউক, ইদানিং রাস্তাঘাটে এতো ইন্জ্ঞিনিয়ার যে রিক্সাভাড়া ভাংতি দেওনের সময় কারো ধরলেই কয়,' পকেটে টাকা নাই, আমি কার্ড ইউজ করি!'

যদিও আমি এখন দেশান্তরী হইছি মাগার মন আমার দেশে থুক্কু বোলগে। ইলেক্ট্রনিক্স নিয়া কথা কইতে গেলে আগে ভাই কারেন্ট কি জিনিস সেইটা জানতে হইবো!

(অডিয়েন্স থিকা একজন খাড়াইয়া: ৫ মিনিট ধইরা খালি বুড়া মাইনষের মতো ফাও প্যাচাল পারতাছে, আসল জায়গায় আইতাছে না। আব্বে চাচাজান, সমস্যা কি চোথা বাড়িত রাইখা আসছেন নাকি?)

ভাই, ভাই শান্ত হোন। এখনই শুরু করতাছি। মাথা ঠান্ডা না করলে এই জিনিস মাথায় ঢুকতো না। অবশ্য এই জিনিস এমনিতেই মাথায় ঢুকে না। যাই হোক, কারেন্ট কি জিনিস? ধরেন ঝড় বাদলার দিনে দেখবেন মানুষ জন খাম্বার লগে সাইটা মইড়া থাকে। আবার ধরেন তারে লিক থাকলে যদি জায়গা মতো ধরেন তাইলে দেখবেন কোনোডা ধাক্কা মারছে আর কোনোডা আপনেরে ধইরা কয়টা ঝাকানি দিছে। এই যে যেই জিনিসটার কারনে এইটা হইলো সেইটাই কারেন্ট। বিজ্ঞানের পরিভাষায় পজিটিভ থিকা নেগেটিভে ইলেক্ট্রন লৌড়াইলেই কারেন্ট হইয়া গেলো!

এই কারেন্ট হইলো দুই প্রকার একখান হইলো ডিসি আরেক খান হইলো এসি! ডিসিরে আমরা খুব সহজ ভাবে কইতে গেলে ধরেন সময়ের সাথে যেই কারেন্ট এর প্রবাহ একদিকে থাকবো ঐটা কম বেশী হইবো না। মানে সবসময় কারেন্টের প্রবাহ পজিটিভে থাকলে পজিটিভ অথবা নেগেটিভে থাকেলে নেগেটিভ থাকবো।


(অডিয়েন্স থিকা আরেক ঘাউর পাবলিক: হ, তুমারে কইছে! আমাগো এলাকার ডিসি সাব শুনলে থানায় লইয়া থার্ড ডিগ্রির কিলানী দিয়া বুঝাইতো ডিসি র কি পাওয়ার!)

হ ভাইজান, পাওয়ারের ব্যাপার স্যাপার একটু পরে আইতাছি। এখন এসি হইলো সময়ের সাথে সাথে দিকের পরিবর্তন হইবো। এইটা সাধারনত নেগেটিভ পজিটিভ কইলেই আমজনতা বুঝবো!


এইখানে দেখবেন এখান ঢেউ খেইলা গেছে। যদি আমরা ধইরা নেই t সময়ে কারেন্টের প্রবাহের পরিমান মাত্র একবার যেই অক্ষাংশ থিকা শুরু করছে সেইখানে ফিরা আইছে তারে বলুম এক সাইকেল। সোজা বাংলায় দুই খান উপর নীচ অর্ধগোলক একসাথে করলে একখান বৃত্ত হইবো। ইহাকে বলে ফ্রিকোয়েন্সি এবং একক হার্জ।

এখন ইলেক্ট্রনিক্স দুই প্রকার একখান এনালগ আরেকখান ডিজিটাল। এনালগ ইলেক্ট্রনিক্স সর্বদা এই এসি নিয়া কাম করে, মাগার ডিজিটাল খালি কাজ করে ১ অথবা ০ নিয়া! ডিটেলসে গেলে জানবার পারবেন!

(অডিয়েন্স থিকা আরেক মাতুব্বর: কন কি? আপনি এখনও ডিটেলসে যান নাই, ৩০ মিনিট তো এইখানেই খাই দিলেন, মাইনষের কি কাম কাইজ নাই নাকি সব আপনের মতো বেকার মনে করতাছেন?)

হ আইতাছি। ইলেক্ট্রনিক্স নিয়া জানতে হইলে আগে এর ইলিমেন্ট নিয়া জানতে হইবো। ইলিমেন্ট মানে উপাদান, এইসব উপাদান নিয়া বিশাল বড় বড় বই লেইখা ফেলাইছে তাবৎ জ্ঞানীরা, মাগার আমি কমু সংক্ষেপে, কারন কারো টাইম নাই!

পরথমে শুরু করি রেজিস্ট্যান্স। এর কাম হইলো কারেন্ট রে আটকাই রাখা, আর ওরে আটকাই রাখলেই ওর চারপাশে ভোল্টেজ পাওন যাইবো। এইটা হইলো ওহমের সূত্রের বেসিক ধারনা। ওহম এই কারেন্টের সাথে ভোল্টেজের যে প্রেমের সম্পর্ক সেইটা আবিষ্কার করছে, যদিও ব্যাচারা সারা জীবন খালি পইড়াই গেলো, আর উঠবার পারলো না! যাই হোক সম্পর্ক খান হইলো যদি এখান রেজিস্ট্যান্সের মধ্য দিয়া বিদ্যুৎ চলাচল শুরু করে তাইলে যেই ভোল্টেজ পাওন যাইবো সেইটা হইলো ঐ কারেন্টের সমানুপাতিক আর ঐ সমানুপাতিক ধ্রুবক টা হইলো রেজিস্ট্যান্স।

তাইলে ভাই সকল আমরা এইটা বুইঝা নেই যেইখানেই রেজিস্ট্যান্স পামু সেইখানেই একখান রেজিস্ট্যান্স সোর্স ভোল্টেজ থিকা মাইনাস দিমু।

যাই হোক এখন আসি ইন্ডাক্টর এ।এইটা হইলো খালি তারের প্যাচানি মাঝখানে ধরেন কাচা লোহা থাকবার পারে, ধরেন একখান কয়েল। এর একক হইলো হেনরী। কথা হইলো এইটা ব্যাব হার করি কেন? এইটা ব্যাব হার করি এই জন্য যে এইটা কারেন্টের পরিবর্তন রে বাধা গ্রস্হ করে। আপাতত এতডুই জানেন কারন পরে যখন সার্কটি দুই একটা ডিজাইন পোস্টামু তখন এই প্রোপার্টিজ গুলান দিয়াই ব্যখ্যা দিমু!

(আরেক পোংটা অডিয়েন্স: মামা, আমাগো লগে দিগদারী কইরো না, সবতো দেখি চাঙ্গে উঠাই রাখলা, টাইম মতো তুমারে না পাইলে তখন কি করমু?)


হে হে ...সমস্যা নাই, রেফারেন্স দিয়া যামু! যাই হোক আরেকখান মেইন জিনিস নিয়া কথা কমু সেইটা হইলো ক্যাপাসিটর। এইটা হইলো চার্জ নিজের পেটের ভিতর জমায় রাখে আর সেই সুবাদে ভোল্টেজের পরিবর্তনরে
এ বাধা গ্রস্হ করে।


এখন আসি ট্রানজিস্টর। মেলা ভালো জিনিস, উপরে সবার দুই ঠ্যাং থাকলে এই বাবাজীর তিন ঠ্যাং। এইটা নিয়া মেলা বই আছে, অনেকে ফাটায়া ফেলাইছে, কিন্তু আপনি যদি ভালো ইলেক্ট্রনিক্স শিখবার চান এইটার অপারেশন খান ভালো কইরা বুঝনের দরকার। কারন আইসি মানেই এই ট্রানজিস্টর দিয়াই, এ্যামপ্লিফায়ারেও এই ট্রানজিস্টর। যাই হোউক আইজ এই পর্যন্তই পরে হইবো নে আর!

( বি.দ্র.হ: ইহা স্বপ্নে পাওয়া বক্তৃতা। সোজা বাংলায় ইলেক্ট্রনিক্স বুঝানোর জন্য লেখা, যদিও স্বপ্নে ভাষন দেওনের সময় যখনই মনে হয় পচা ডিম মারবো অডিয়েন্সে তখনই সেই পার্ট শেষ কইরা দিমু। টার্গেট আছে সার্কিট ডিজাইন কেমনে করে আর কেমনে একটা কাজের জন্য সার্কিট ডিজাইন করে সেইটা পর্যন্ত যাওয়া। সবাই এইখান পইড়া বুঝবো এইটা কখনোই মনে করি না, যদি বুঝতো তাইলে তো আমি আব্দুল্লাহ আল মুতী বা আসগর আলি হইয়া যাইতাম। যদিও আমি তাগো ধারে কাছেও না, খুব বেশী একটা জানিও না। তবু যা জানি তাই লিখলাম সাথে এইটাও বলি আমি আমাদের ক্লাসের ৬৫জন ছাত্রদের মধ্যে ৫৮ তম হইছিলাম অনার্সে, মাস্টার্সেই মনে হয় সেই ধারা অব্যাহত রাখবো!)

দ্বিতীয় পর্ব!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:১৪
১৭টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×