ভাবনার সরল দোলকটা কখন যে সরলতার গন্ডিসীমা পেরিয়ে তোমার সীমানায় চলে গেল বুঝেই উঠতে পারলাম না। তার আগেই বিজ্ঞানের তত্ত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আমার দোলক যেন তোমার প্রান্তে আটকে গেল।
ভাবনাগুলি থেকে যতবার পালাতে চেয়েছি,তত বারই ব্যার্থ হয়ে ফিরেছি-এটাতো এখন পরীক্ষিত।আর তাই আমার ভাবনার দোলক তোমাতেই আজ স্থির হয়ে আছে।
যা কিনা তুমি চেয়ে নাও নি আবার তোমাকে ঘটা করে দেওয়াও হয়নি।চন্দ্রালোকে স্নান শেষে অমাবশ্যায় যাপিত জীবনটা দৃঢ়চিত্তে বলতেও পারে না আমি তোমারই প্রতিক্ষাতে আছি আবার সত্যকে অস্বীকারও করতে পারি না।এ যেন কানামাছি খেলা কেউ কাউকে ধরতে পারছি না,ছুঁতে পারছি না।সুযোগ যে আসে না তা নয়।কিন্তু হাতের কাছে রেখেও যেন কেউ কাওকে পাকড়াও না করে পাশ কেটে যাই,তাই জানি এ খেলে হয়ত শেষ হবে না কখন। আর তাই আমিই চন্দ্রালোক হাতড়ে খুঁজি দু-চোখ বেঁধে রেখেই।তাতেই সুখ কম কিসে?
তোমার গ্রহনকালে আমিতো সবটুকু অন্ধকার একাই শুষে নেবার চেষ্টা করেছি,যখন কোন অধিকার তুমি আমাকে দেওনি।তবু অনধিকার চর্চাও যে করিনি তাতো তুমি জানো।
মহাকালের আবর্তে আলো অন্ধকারের অনেক চক্র শেষে আজ তোমার চন্দ্রালোকে স্নান করে যে জীবন সুধা পান করার অধিকার এসেছে জানিনা তার স্থায়িত্ব কাল কত...