somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাবানান এবং উচ্চারণ

২৮ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলা বর্ণের উচ্চারণ এবং বাংলা বানান
এ কে কামাল
তারিখ: ৭ জুলাই ২০০০ খ্রি.
একটি জাতির স্বতন্ত্র ভাষার অস্তিত্ব তখন দাবী করা যায় যখন ঐ ভাষার জন্যে পরিপূর্ণ একটি বর্ণসমষ্টি বা বর্ণমালা আবিষ্কার হয় এবং ঐ বর্ণগুলোর সুনির্দিষ্ট-সঠিক উচ্চারণ নির্ধারণ করা হয়। সেই নিয়ম মেনে আমাদের প্রিয় বাংলাভাষার জন্যেও একটি সুনির্দিষ্ট বর্ণসমষ্টি বা বর্ণমালা তৈরী করে তার একটি সুনির্দিষ্ট উচ্চারণবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই উচ্চারণবিধি অনুযায়ী আমরা পাই-
অআইঈউঊঋএঐওঔ স্বরে অস্বরে আহ্রস্ব ইদীর্ঘ ঈহ্রস্ব উদীর্ঘ ঊরৃএওইওওউ
১১টি

ব্যঞ্জণবর্ণের উচ্চারণ স্থান এবং উচ্চারণ স্থান অনুসারে তাদের নাম ঃ
ক খ গ ঘ ঙ কণ্ঠ বা জিহ্বামূল কণ্ঠ বা জিহ্বামূলীয় বর্ণ
চ ছ জ ঝ ঞ তালু তালব্য বর্ণ
ট ঠ ড ঢ ণ মূর্ধ মূর্ধন্য বর্ণ
ত থ দ ধ ন দন্ত মন্ত্য বর্ণ
প ফ ব ভ ম ওষ্ঠ ওষ্ঠ্য বর্ণ
র লশ
হ ড় ঢ় য়
ৎ ং ঃ ঁ
৩৯টি

অর্থাৎ ১১+৩৯=৫০টি বর্ণই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে। (যদিও কোন কোন বইতে ‘’ এবং ‘ব’ (অন্তঃস্থ ব) নামে বর্ণগুলো দিয়ে ৫১/৫২টি দেখানো হয়েছে)ক+ষ=, হ+ম=হ্ম, স+থ=স্থ, দ+ধ=দ্ধ এগুলো সংযুক্ত বর্ণ। অন্তঃস্থ ব নামে এই বর্ণের কোন প্রয়োগ নেই)
বর্ণের মাত্রাঃ
পূর্ণমাত্রার বর্ণ (৩২টি) অ, আ, ই, ঈ, উ,ঊ,ক,ঘ, চ, ছ, জ, ঝ, ট, ঠ, ড, ঢ, ত, দ, ন, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, ষ, স, হ, ড়, ঢ়, য়
অর্ধমাত্রার বর্ণ (৮টি) ঋ, খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ
মাত্রাহীন বর্ণ (১০টি) এ, ঐ, ও, ঔ, ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ

কিন্তু নিম্নলিখিত বর্ণগুলি কখন যে আমাদের অজান্তে বিকৃত হয়ে ভুল উচ্চারণে গর্হিত হয়ে যাচ্ছে তা আমাদের অনেকের জানা নেই। যেমন-
অ সরু
ৃ রৃফলা
ঙ উম
জ বৈর্কাজ্য
ঞ নিও
ণ মধান্যন্ন
ন দন্তান্ন
শ তালিব্যাশ্য
স দন্তাস্য
ং অনুষ্কার
ঃ বিসগ্যর
অথচ উল্লেখিত বর্ণগুলির সঠিক উচ্চারণ হওয়ার কথা
অ স্বরে অ
ৃ রৃ-কার
ঙ উঁঅঁ
জ বর্গীয় জ
ঞ ইঁঅঁ
ণ মূর্ধন্য ণ
ন দন্ত ন
শ তালব্য শ
স দন্ত স
ং অনুস্বর
ঃ বিসর্গ
কোনো ছেলে/মেয়ে এভাবে সঠিক উচ্চারণ করলে তার টিচার তার গালে থাপ্পড় মারার প্রমাণও রয়েছে।



ডিকশনারি বা সঠিক ব্যাকরণের অনুসরণে নিম্নলিখিত কতগুলো পর্যালোচনা তুলে ধরা হলো ঃ
দ্ব ব্যাকরণ বিধিবহির্ভূত কতগুলো ভুল পদ্ধতি যথা -মোঃ, ডাঃ, লিঃ, প্রোঃ, সঃ, পিং, পীং, ইং, নং, সাং/এস,এস,সি/এস.এস.সি/এইচ,এস,সি/এইচ.এস.সি/এম,এ/এম.এ/বি,এ/বি.এ/বি,এস,সি/ বিএস,সি/ষ্টোর/ষ্টেশন/ষ্টাফ/ষ্টার/ম্যাজিষ্ট্রেট/রেজিষ্টার/ঝ,ঝ,ঈ/ঝ.ঝ.ঈ/ঐ,ঝ,ঈ/ই,অ/ই.অ/ই,ঝপ/ই.ঝপ/গ,অ/গ.অ/ঈ,ড/ঈ.ড(ঈষধংং ডড়ৎশ)/ঐ,ড/ঐ.ড(ঐড়সব ডড়ৎশ) অনেক শিক তথা বিভিন্ন লেখকের বই বা ব্যাকরণে দাপটের সাথে রাজত্ব করছে যা বোধগম্য নয়।
অথচ
ব্যাকরণের সংিেপকরণের নিয়মানুযায়ী এগুলোর সঠিক রূপ হওয়ার কথা এভাবে - মো./মু., ডা., লি., প্রো., প্রা., স., পিতা, ইংরেজি (তারিখ লেখার েেত্র ইং বা ইংরেজি না লিখে খ্রিস্টাব্দ/খ্রি. খ্রীস্টাব্দ/খ্রী. হওয়ার কথা) /এস.এস.সি./এসএসসি/এইচ.এস.সি./ এইচএসসি/স্টোর/স্টেশন/ স্টাফ/স্টার/ ম্যাজিস্ট্রেট/ রেজিস্টার/রেজিস্ট্রার/ ঝ. ঝ. ঈ./ঝঝঈ/ঐ. ঝ. ঈ./ই. অ./ইঅ/ই. ঝপ./ইঝপ/গ.অ./গঅ/ঈ.ড./ঈড(ঈষধংং ডড়ৎশ/ঐ.ড. (ঐড়সব ডড়ৎশ) অর্থাৎ ব্যাকরণের সংক্ষিপ্তকরণের ক্ষেত্রে (হোক ইংরেজী হোক বাংলা) ‘. (ফুলস্টপ)’ এর কথা বলা হয়েছে। কোথাও , বা ঃ বিসর্গ) এর কথা উল্লেখ নেই।
এস. এস. সি এভাবে লিখেলে পুরো অর্থ দাঁড়ায় সেকেন্ডারী স্কুল সি। আর এস. এস. সি. এভাবে লিখলে পুরো অর্থ দাঁড়ায় সেকেন্ডার স্কুল সার্টিফিকেট।
বি. এ এভাবে লিখলে পুরো অর্থ দাঁড়ায় ব্যাচেলর অব এ। আর বি. এ. এভাবে লিখলে পুরো অর্থ দাঁড়ায় ব্যাচেলর অব আর্টস। তাহলে কোনটা লিখা উচিত?
দ্ব ইংরেজি বর্ণ ং, পব এবং ংং এর জন্য ‘স’ ব্যবহার করতে হবে তবে ত্রেবিশেষে ং এর জন্যে ‘জ’ ব্যবহার করা যায়।
দ্ব ংঃ -এর জন্যে স্ট ংরড়হ এর জন্যে ‘সন’ এবং ঃরড়হ এর জন্যে ‘শন’ ।
দ্ব বিদেশি শব্দে ঈ, ঊ, ঋ, ী-কার য়-কার ও ৃ কার ব্যবহার করা যায় না। আবার বিদেশি শব্দে ঙ, ছ, ঞ, ঢ, ণ, য, ষ, ৎ ও ঃ বর্ণগুলো কখনো ব্যবহার করা যায় না।
দ্ব স্কুল-কলেজের বিভিন্ন সনদপত্র/প্রশংসাপত্র লিখতে গিয়ে ‘সনদ’ এবং ‘পত্র’-কে আলাদা করে লেখা হয় যা মোটেও শুদ্ধ হতে পারেনা। শুদ্ধ হবে ‘সনদপত্র’(দুটি শব্দ সংযোগ করে)।
দ্ব যদিও ইতোমধ্যে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে বাংলা একাডেমী বা দৈনিক পত্রিকাগুলোতে। কিন্তু প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল বা কলেজের অনেক শিক, অফিস-আদালতের লোকজন সর্বোপরি স্কুলকলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যেন এসব ব্যাপারে মোটেও সচেতনতা ল্য করা যাচ্ছেনা।
দ্ব ণ-ত্ব বিধান বা ষ-ত্ব বিধান, সাধুভাষা-চলিতভাষা যদিও সবকাসের সিলাবাসভুক্ত এবং প্রায় পরীাও আসে কিন্তু বাস্তবেক্ষেত্রে এসে ৯৫% এগুলো বোঝে না। এমনকি ব্যাকরণ বইয়ের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েও সাধু-চলিত মিশ্রণ করে এবং যে প্রশ্নের মধ্যে উল্লেখ থাকে ‘সাধু-চলিত ভাষার মিশ্রণ দূষণীয়’ সে প্রশ্নপত্রেও অসংখ্যা সাধু-চলিত ভাষার মিশ্রণ ঘটানো হয়। যেমন Ñ বিভিন্ন অপরিচিত লেখকের ব্যাকরণ বইতে তো অসংখ্য অযৌক্তিক নিয়ম দেখা যায়। জনাব মাহবুব আলমের ডিগ্রীর জন্যে লেখা বইয়ের ২০০২ সালের বিভিন্ন বোর্ড-এর প্রশ্নপত্রেও ‘‘দুই, সেই, এই সেবার তাহাদের ...........” এ ধরনের বিভিন্ন সাধু-চলিত ভাষার মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বলা যায়, যেহেতু এগুলো স্কুলকলেজে স্টাবলিজড করা যাচ্ছে না সেহেতু এগুলোকে বৈধ ঘোষণা করলে ভাষার তেমন কোনো তি হয়না বরং ভুলের মহড়া দূর হয়।
দ্ব এছাড়াও পরাশ্রিত শব্দ বা বর্ণসমষ্টিগুলোকে আলাদা করে লিখে যেন লেখার নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। যেমন- বই গুলি, শিক বৃন্দ, বিচারক সহ, সম্মান জনক, জেলা ভিত্তিক, অনুগ্রহ পূর্বক, জন গণ, বাংলা দেশ ................... । এ শব্দগুলোর মাঝে ফাঁক না করে একসাথে লিখার কথা।

দ্ব স্টাম্পপোর্ড ইউনিভারসিটিকে নিয়ে বাংলার বিজ্ঞজনেরা পর্যন্ত যেন হৈ হৈ রৈ রৈ কাণ্ড ঘটান। অথচ তাতেও কোর্সগুলোর নাম লিখতে গিয়ে লিখেন- বিএস,সি/বিএস.সি ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং?
দ্ব বিসিএস পরীার বইতে লেখে ‘বি,সি,এস’
দ্ব এভাবে যারা বাংলাভাষার রকের ভূমিকায় তারাই যদি বাংলাভাষাকে ভন করে ফেলেন তাহলে আর কয়দিন ভাষা বেঁচে থাকবে।
দ্ব ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-কে লিখা হয় ডাঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
দ্ব হাজী মুহম্মদ মুহসীন-কে লিখা হয় হাজী মোহাম্মদ মহসীন

্র আধুনিক বানান রীতি অনুসারে ফেব্র“য়ারি, কলোনি, স্পিকার সঠিক
্র ইংরেজিভাষা থেকে আগত শব্দগুলোর ক্ষেত্রে ‘ী’ বর্জন করে ‘’ি ব্যবহার বাঞ্ছনীয়। তারিখ লিখতে লা, রা, ই বর্জন করাই শোভন এবং আধুনিক। প্রধানতঃ, সাধারণতঃ, মূলতঃ না লিখে প্রধানত, সাধারণত, মূলত লেখাই আধুনিক।
্র স-এর পর ন এবং ষ-এর পর ণ ব্যবহার করতে হবে।
্র ভূগোল ও দূরান্ত লিখতে ূ-কার হবে কিন্তু ভুবন ও দুরন্ত লিখতে ু কার হবে।
্র হিজরি, ইংরেজি, খ্রিস্টাব্দ, জানুয়ারি, ফেব্র“য়ারি, প্রাইমারি, লাইব্রেরি, লিগ, নোটিস, ডিগ্রি, ট্রাস্ট, স্ট্রিট, স্টিল, স্টেশন, পোস্ট অফিস, অ্যাকাডেমি উচিত, নাতসি, হেমায়েত, সাহাদাত, লুতফর, ফোরাত, পলহাত মুহূর্ত, মুমূর্ষূ, শুশ্রƒষা ইত্যাদি সঠিক বানান।
্র ‘পুনরায়’ শব্দটাকে অনেকে অনেকভাবে লিখে অথচ এর একমাত্র বানান ‘পুনরায়’ তদরূপ ‘পুনর্বাসন’ শব্দকেও কেউ ‘পূর্ণবাসন’, কেউ ‘পূন:বাসন’ বিভিন্নভাবে লিখে থাকে।
্র ‘সাক্ষী ’ শব্দটাকে যেন ব্যাপকভাবে ‘স্বাক্ষী’ হিসেবে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
্র আমাদের দেশে বা আমাদের ব্যাপকরণে ‘আত্মা’ কে আত্মা বা ‘আত্মীয়’ কে আত্মীয় উচ্চারণ করার প্রবণতা নেই কিন্তু ‘গ্রীষ্ম’কে কেন গ্রীষ্ম, ‘বিষ্ময়’ কে কেন বিষ্ময় উচ্চারণ করা হয় তা বোধগম্য নয়।
্র এই নিয়মগুলি শুধু কলকাতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বাংলা একাডেমীতে রয়ে গেছে। ছাপাখানার বইতে বা স্কুল কলেজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। এর কারণ হয়তো স্কুল-কলেজের বেশিরভাগ শিকগণ ডিকশনারি বা বাংলা একাডেমীর সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেন না।
্র মেডিক্যাল, সার্জিক্যাল, অপটিক্যাল, কেমিক্যাল, ফার্মাসিউটিক্যাল, অ্যাকাডেমিক্যাল, ক্যালসিয়াম সঠিক।
্র শ্রদ্ধাঞ্জলি বা গীতাঞ্জলি সঠিক।
্র ৭ম, ৮ম, শ্রেণীর জন্য প্রণীত ব্যাকরণ বইগুলোতে ভাষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বা সাধু-চলিত ভাষা লেখার নিয়মাবলীতে গিয়েও সব মিশিয়ে ফেলেন যেন হুজুরেরা ওয়াজ করেন পরের জন্য নিজের জন্যে নয়।
্র শুধু তাই নয় ২০ তম বা অন্য যেকোনো বিসিএস পরীার প্রশ্নপত্রেও (সেট নম্বর না লিখিলে উত্তরপত্র বাতিল হয়ে যাবে/দুটি বা দু’টি-কে লেখা হয়েছে দুইটি/মুর্ধন্য ষ-এর স্থলে লিখা হয়েছে নিত্য মূধণ্য ষ) এই সাধু চলিত ভাষার মিশ্রণ ঘটেছে।
্র নিম্নলিখিত লিঙ্গান্তরগুলো যদিও প্রায় ব্যাকরণ বইতে পাওয়া যায় কিন্তু বাস্তবতার সাথে মিলে না-
দুঃখ-- দুঃখিনী(‘দুঃখ’ শব্দটা দ্বারা কি পুরুষ বোঝানো হয়েছে)
গ্রাহক-গ্রাহিকা (‘গ্রাহক’ দ্বারা তো পুরুষ মহিলা উভয়ই বোঝানো হয়ে থাকে)
প্রেরক-প্রেরিকা (ঐ)
মানব-মানবী
ঈশ্বর-ঈশ্বরী
ফলবান-ফলবতী
ভগবান-ভগবতী
জ্ঞানী-জ্ঞানীনী
রাষ্ট্রপ্রধান-রাষ্ট্রপ্রধানী
আমি-আমিনী
তুমি-তুমিনী
জ্যেষ্ঠ-জ্যেষ্ঠী

একটি অদ্ভুত বিষয় যে, বিভিন্ন সার্টিফিকেট বা প্রত্যায়নপত্রের ক্ষেত্রে দেখা যায়, নাম-ঠিকানা লেখার পর প্রত্যায়নটা না করেই দাঁড়ি(।) দিয়ে দেয়া হয় অর্থাৎ
এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে যে, করিম, পিতা-রহিম, গ্রাম-মিলনপুর, উপজেলা- খাগড়াছড়ি সদর, জেলা-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। সে আমার পরিচিত/সে অত্র বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্র/সে অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত/সে অত্র জেলার স্থায়ী বাসিন্দা।
এখানে ২টি বাক্য। কিন্তু প্রথম বাক্যটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেল যার ইংরেজি অনুবাদ করাও সম্ভব নয়।
অথচ বাক্য ২টি একত্র করে নিম্নরূপ লেখার কথা-

এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে যে, করিম, পিতা-রহিম, গ্রাম-মিলনপুর, উপজেলা- খাগড়াছড়ি সদর, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা আমার পরিচিত। বা
এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে যে, করিম, পিতা-রহিম, গ্রাম-মিলনপুর, উপজেলা- খাগড়াছড়ি সদর, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা।
ইহাই একটি পূর্ণাঙ্গ অর্থবোধক বাক্য হয়। জেলার পরে দাঁড়ি ব্যবহার করলে পূর্ণাঙ্গ বাক্য হয় না।

আবার অনেকে চারিত্রিক সনদ লেখার ক্ষেত্রে বা অন্যকোন প্রত্যায়ন লেখার েেত্র ‘স্থায়ী বাসিন্দা’ বা ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বা আরও অনেক কথা উল্লেখ করে থাকে যা অপ্রাসঙ্গিক। স্থায়ী বাসিন্দা সনদ তো একজন ডাক্তার বা অফিসার দিতে পারেন না বা রাষ্ট্রদ্রোহীতার নিশ্চয়তাও দিতে পারেন না।


দরখাস্ত বা ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে মাননীয় বা জনাব-এর শেষে কমা(,) ব্যবহার কোনক্রমেই ব্যাকরণসিদ্ধ নয়।


মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বা বিজ্ঞমহলের একটু সজাগদৃষ্টির জন্যে আমার সামান্য প্রয়াস----



১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভুল শুধু ভুল নয়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৬

এক
লেখাটা একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি। ১৯৯৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে শফিপুর আনসার একাডেমিতে বিদ্রোহ হয়। ৪ ডিসেম্বর পুলিশ একাডেমিতে অভিযান চালায়। এতে চারজন আনসার সদস্য নিহত হয়েছিল। এটি ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। VF 3 Mini: মাত্র 60 মিনিটে 27 হাজার বুকিং!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪



আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি নেই কিন্তু কর্মসূত্রে বেঞ্জ , ক্যাডিলাক ইত্যাদি ব্যাবহার করার সুযোগ পেয়েছি । তাতেই আমার সুখ । আজ এই গাড়িটির ছবি দেখেই ভাল লাগলো তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ময়লাপোতার কমলালেবুর কেচ্ছা!! (রম্য)

লিখেছেন শেরজা তপন, ২১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩


বাংলাদেশের বিশেষ এক বিভাগীয় শহরে ময়লাপোতা, গোবরচাকা, লবনচোরা, মাথাভাঙ্গা, সোনাডাঙ্গার মত চমৎকার সব নামের এলাকায় দারুণ সব সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাস।
আমার এক বন্ধুর আদিনিবাস এমনই এক সম্ভ্রান্ত এলাকায় যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট: বন্ধ হয়ে গেল সচলায়তন

লিখেছেন করুণাধারা, ২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


বন্ধ হয়ে গেল সচলায়তন! view this link

সামহোয়্যারইনব্লগ থেকে কয়েকজন ব্লগার আলাদা হয়ে শুরু করেছিলেন সচলায়তন বা সংক্ষেপে সচল ব্লগ। এটি বন্ধ হবার মূল কারণ উল্লেখ করা হয়েছে দুটি:

১)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×