somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইডেন কলেজ প্রসঙ্গ........

২৫ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লজ্জায় ইডেন ছাড়ছে ছাত্রীরা

১০ দিনে ১৫৮ জনের ভর্তি বাতিল আবেদন


রাজধানীর ইডেন কলেজের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে লজ্জায় ইডেন থেকে ভর্তি বাতিল ও কলেজ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বহু ছাত্রী। ভর্তি বাতিলের জন্য অভিভাবক ও ছাত্রীরা রীতিমত কলেজের প্রশাসনিক ভবন ও বিভাগীয় অফিসে ভিড় করছেন। এর মধ্যেই গত ১০ দিনে ১৫৮ জন ছাত্রী ভর্তি বাতিল ও কলেজ পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। এছাড়া ভর্তি ও সিট বাণিজ্য হয়েছে কিনা এবং এর সাথে জড়িতদের চিহিপ্তত করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে বলে জানা যায়। কিন্ত– ইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্য মাহফুজা খানম এ ব্যাপারে নিশ্চুপ রয়েছেন।
ভর্তি ও সিট বাণিজ্যের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা এবং ছাত্রীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করাতে বাধ্য করা নিয়ে গত ১২ মার্চ ছাত্রলীগের দ্’ুগ্র“পের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে কলেজটিতে ছাত্রলীগ নেত্রীদের নানা অপকর্ম এবং এর সাথে জড়িতের নিয়ে সংবাদপত্রে নানা খবর প্রকাশিত হতে থাকে। এসব খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে অভিভাবকরা ছাত্রীদের ভর্তি বাতিল করিয়ে অন্যত্র ভর্তি করাচ্ছেন। অনেকে আবার একেবারে ভর্তি বাতিল করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরমধ্যে মার্কেটিং বিভাগেই ভর্তি বাতিলের আবেদন করেছেন পাঁচজন ছাত্রী।
ভর্তি বাতিলের আবেদন করা এক ছাত্রীর পিতা জানান, যেখানে ছাত্রীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করানো হয় সেখানে মেয়েকে ভর্তি করা যায় না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মেয়েকে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাব। কলেজের শিকরা জানান, সংঘর্ষের পর থেকে রেকর্ডসংখ্যক ছাত্রী ভর্তি বাতিল ও কলেজ পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্রী দ্বিতীয়বার বিশ্ববিদ্যালয়ে চা›স পেয়ে ভর্তি বাতিলের আবেদন করেছেন। তবে এ সংখ্যাটা খুবই নগন্য।
এদিকে, কলেজে কেন সংঘর্ষ হল এবং ছাত্রলীগের একাংশের অভিযোগ মতে, ভর্তি বাণিজ্যের সাথে কলেজের অধ্য অধ্যাপক মাহফুজা চৌধুরীর জড়িত থাকার অভিযোগ সঠিক কিনা তা নিয়ে তদন্ত করছে সরকারের শীর্ষ একটি গোয়েন্দা সংস্থা। ইডেনে সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের হ্যাপি-রীনা রানী রায় গ্র“প সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, সভাপতি জেসমিন শামীমা নিঝুম ও সাধারণ স¤পাদক তানিয়া চলতি শিাবর্ষে সাবজেক্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রায় ৭০০ ছাত্রীকে ভর্তি করিয়েছে। এেেত্র কলেজের অধ্য অধ্যাপক মাহফুজা চৌধুরীর প্রত্য ও পরো সহযোগিতা রয়েছে এমন অভিযোগ করেন তারা। এ বিষয়টিও তদন্ত করছে গোয়েন্দারা।

হ্যাপি-রীনা রানী রায় গ্র“প ভর্তি ও সিট বাণিজ্য ছাড়াও ইডেনের অধ্যকে নিয়ে নানা অভিযোগ করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, অধ্য উন্মুত্তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বইয়ে মুত্তিপ্তযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে জড়িত।
ইডেন কলেজ ছাড়াও ঢাকা কলেজ ও সরকারি বদরুন্নেসা কলেজে ভর্তি বাণিজ্য ও সিট বাণিজ্য নিয়ে তদন্ত করছে গোয়েন্দারা। স¤প্রতি তিনটি কলেজের ঘটনার পর তদন্তে নামে সরকারের শীর্ষ একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ভর্তি বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গত ১৬ মার্চ রাতভর ঢাকা কলেজে ছাত্রলীদের দ্ৗু৮২১৭;গ্র“পের গোল্ৗা৮২২৪;লি ও সংঘর্ষ নিয়েও তদন্ত করছে গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় ৭১ ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরমধ্যে গালিব নামের এক ক্যাডারের কাছেই পাওয়া যায় ৫২ রাউন্ড ্ৗ৮২২৪;লি। এ বছর ঢাকা কলেজেও সাবজ্ৗে৪০২; পরিবর্তনের মাধ্যমে তিন কোটি টাকার ওপরে ভর্তি বাণিজ্য হয়েছে। এেেত্র কলেজের অধ্য অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম ছাত্রলীগকে সহযোগিতা করেছেন বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দারা।
জানা গেছে, ইডেন কলেজ ও ঢাকা কলেজের তদন্ত শেষ পর্যায়ে। সংশিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইডেন কলেজের অধ্য অধ্যাপক মাহফুজা চৌধুরী ও ঢাকা কলেজের অধ্য অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামকে সরিয়ে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। বদরুন্নেছা কলেজের বিষয়েও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
ইডেন কলেজে বিপুল সংখ্যক ছাত্রীর ভর্তি বাতিল ও সাবজেক্ট পরিবর্তনের বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পূর্ব শিা ও স্কুল বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত ডীন ড. ফকির রফিকুল আলম বলেছেন, কতজন ছাত্রী এধরনের আবেদন করেছে এখনো তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি। তিনি বলেন, বিষয়টি সংশিষ্ট কলেজে খোঁজ নেয়ার পরই বলা যাবে আবেদনকারী কোন শিাবর্ষের ছাত্রী ও কেন আবেদন করেছে।


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×