somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইলেক্ট্রনিক্স কত সোজা /:) /:)

২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার প্রথম পোস্টটি ইলেক্ট্রনিক্স এর সবচাইতে বেসিক কিছু পার্টস নিয়ে , ধারাবাহিক ভাবে নবীন শিক্ষার্থীদেরকে পার্টস অ্যারেঞ্জমেন্ট করে সার্কিট বানানো শেখানো হবে ।
আমরা মুলত যে সকল ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করি তার প্রায় সবগুলোই কিছু পার্টসের পারমুটেশন , কম্বিনেশন । যেমন – ১। Resistor , ২। Capacitor ৩। Inductor , ৪।Diode , ৫। Power Source ইত্যাদি ।
প্রধানত এগুলোর মাধ্যমেই ট্রান্সফরমার , ট্রান্সিস্টর , আইসি , রিলে , এল ই ডি , এল ডি আর ও বিভিন্য সার্‌কিট প্রস্তুত করা হয় ।
আজকের পোস্ট এ আমরা শুধু প্রথম ৫ টি পার্টস নিয়ে আলোচনা করবো , দেখব তারা দেখতে কি রকম , কিভাবে সার্কিট লাগাতে হয় , কিভাবে কাজ করে ইত্যাদি।

পর্ব – ১

প্রথমেই রেসিস্টর ,

এটি আসলে কার্বন কোটেড একটি ছোট দন্ড বিশেষ যার রেসিস্ট্যান্স নির্ভর করে কার্বনের পুরুত্ব ও দৈর্ঘ্যের উপর । রেসিস্ট্যান্স এর একক ওহম (Ω)। ৩/৪বা মাঝে মাঝে ৫ বর্ণের কালার কোড থাকে যার মাধ্যমে তার মান পরিমাপ করা যায় । প্রতিটি বর্ণের জন্য নির্দিষ্ট মান আছে ,

যেমনঃ


সহজে মনে রাখার জন্য সবগুলো কালারের প্রথম লেটার নিয়ে , B.B. ROY Good Boy Very Good Worker



মান বের করার নিয়মঃ [( প্রথম বর্ণ * ১০ + দ্বিতীয় বর্ণ ) * গুনক ] +/- টলারেন্স ।
সুতরাং , ছবিটির রেসিস্টরের মানঃ [(২*১০+৫)*১০]+/- ১০% = ৫০ +/- ১০% = ৫৫ হতে ৪৫ ওহম । এছাড়াও মাল্টিমিটার দিয়ে খুব সহজেই এই মান সঠিক ভাবে বাহির করা যায় ।

সফ্টওয়ার এর সাহায্যে কালার কোড থেকে মান বের করতে ডাউনলোড করুন :

Click This Link

রেসিস্টরের কোন পোলারিটি নাই ।

এবার আসি ক্যাপাসিটরের কথায়


এর কাজ অনেকটা ব্যাটারীর মতই কিন্তু এর সুবিধা হলো এটি যে কোন পোলারিটিতেই চার্জ ধারন করে রাখতে পারে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ডিসচার্জ হতে পারে । ক্যাপাসিটর অনেক রকম হতে পারে , তবে মুল গঠন কিন্তু একই ,

দুটি চার্জবাহি প্লেটকে খুবই স্ব্ল্প দূরত্বে ইলেক্ট্রোলাইটে ডুবানো অবস্থায় পরঃপর হতে পৃথক রাখা হয় । এছারাও সিরামিক ক্যাপাসিটর এর গঠন একটু ভিন্ন , ছবিতে বিভিন্য ধরনের ক্যাপাসিটরের আকার আকৃ্তি দেখানো হলো ,


ক্যাপাসিটরের মান কে ফ্যারাডে এককে প্রকাশ করা হয় ।

সাধারনত ক্যাপাসিটরের গায়ে ভোল্টেজ রেটিং সহ তার মান লিখা থাকে । যেমনঃ 16V,100μF, 1F=1Coulomb/volt.
100 micro farad = it can take or release 100 micro coulomb charge when the potential difference is 1V.
16V is the rating of that capacitor. That means it can properly work upto 16V.
ক্যাপাসিটরের পোলারিটি থাকলেও সবসময় পোলারিটি অনুযায়ি লাগানোর দরকার হয় না ।


এবার ইন্ডাক্টর , :):)





ইন্ডাক্টর হচ্ছে স্প্রিং এর মত পেচানো এক গুচ্ছ তার , যার পুরটাই সুপার এনামেল নামক পাতলা কোটিং দিয়ে মোড়া থাকে , তারের দৈর্ঘ্য , ব্যাস , প্যাচ সংখ্যা প্রভিতির উপর এর মান নির্ভর করে ।ইন্ডাক্টর পরিবর্তনশীল কারেন্ট (A.C) এর জন্য তার প্রকৃত স্বভাব প্রদর্শন করে । D.C কারেন্টে সে সাধারন তার ছাড়া আর কিছুই নয়, তবে একে যদি চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখা হয় , তবে ডিসি কারেন্টেও সে বিদ্যুৎ প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে থাকে । এর মান কে হেনরী (H) এককে প্রকাশ করা হয় ।

ডায়োডঃ

একটি পি টাইপ (পজেটিভ টাইপ) ও একটি এন টাইপ (নেগেটিভ টাইপ) পদার্থ কে পরস্পর সংযুক্ত করলে ডায়োড তৈরি হয় । এর কাজ অনেকটা ভাল্ব এর মত , যে কোন একদিকে বিদ্যুত যেতে দিলেও বিপরীত দিকে যেতে দেয় না , এসি টু ডিসি কনভারটার বা রেক্টিফায়ার তৈ্রি ছাড়াও সার্কিটে এর বিভিন্য ব্যবহার রয়েছে ।ডায়োডকে পোলারিটি অনুযায়ি লাগাতে হয়। ডায়োডের সাদা দাগটির দিক নেগেটিভ সাইড এ লাগাতে হয় ।

পাওয়ার সোর্সঃ
পাওয়ার সোর্স মুলতঃ ২ প্রকারঃ যথা- এসি পাওয়ার সোর্স এবং ডিসি পাওয়ার সোর্স ।



আমাদের বাসা-বাড়ির মেইন লাইনে এসি পাওয়ার পাওয়া যায় । এসি পাওয়ার সোর্স এ কারেন্টের প্রবাহের দিক প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় । ১ সেকেন্ডে এই পরিবর্তনের হারকে বলে ফ্রিকোয়েন্সি । আমাদের বাসা-বাড়িতে এর মান ৫০ হার্টজ । তবে প্রয়োজনে এর মান সার্কিটে পরিবর্তন করা যেতে পারে । ট্রান্সফরমার এর মাধ্যমে ভল্টেজের মান বাড়ালে বা কমালে ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন হয় না ।

ডিসি পাওয়ার পাওয়া যায় ব্যাটারী হতে । এছাড়া এসি পাওয়ার কে রেক্টিফায়ার এর মাধ্যমে কনভার্ট করলেও ডিসি পাওয়ার পাওয়া যায় ।ডিসি পাওয়ার এর কোন ফ্রিকোয়েন্সি নেই । ডিসি পাওয়ারকে ট্রান্সফরমার দিয়ে বাড়ানো বা কমানো যায় না , অন্য ব্যবস্থা করতে হয়



আজকের শেষ কথাঃ আমার এই পোস্টটি একান্তই নবীনদের জন্য , অধিক জ্ঞানী কোন ব্যক্তি এখান থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করলে তা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার


সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৩
৫৯টি মন্তব্য ৪৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×